মুখরোচক হলেও ফাস্টফুডে কারমোসিন, টারট্রাজিন,ইনডিগো কারমিনের মতো ক্ষতিকারক রাসায়নিক থাকে বলে জানিয়েছেন পুষ্টিবিদরা। যকৃতের ক্ষতির পাশাপাশি ক্যানসারও সৃষ্টি করে এসব উপাদান। স্ট্রিটফুডেও ক্ষতিকারক ব্যকটেরিয়া পেয়েছে কৃষি গবেষণা কাউন্সিল। ক্ষতিকর উপাদান মেশানো হচ্ছে খাবার মশলায়ও। এ বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মাঠে নামবে বলে জানিয়েছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।

ঢাকার পথে বিক্রি হয় এমন খাবারের ১৪৯টি নমুনা সংগ্রহ করে, পরীক্ষা করে বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা কাউন্সিল। প্রায় সব খাবারেই মানব স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ টোটাল কলিফর্ম ও ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যায়। যেই ব্যাকটেরিয়া মূলত প্রাণীর মলে থাকে।

ফাস্টফুডের পছন্দ করেন না,এমন মানুষ হয়তো খুঁঝে পাওয়া দৃষ্কর। চটজলদি খিদে মেটালেও এসব খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ওজন বাড়ার সমস্যা, ডায়াবেটিস, হৃদরোগসহ নানা ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরির প্রধান কারণ ফাস্টফুড ।

২০১৮ সালে ৪৩টি ভোগ্যপণ্যের নমুনা পরীক্ষা করে প্রায় সব পন্যেই ভেজাল পায় জনস্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট।৷৷ ভেজালের পরিমাণ গড়ে শতকরা ৪০ ভাগ৷ এর মধ্যে ১৩টি পণ্যে ভেজালের হার প্রায় শতভাগ।

খাবার মশলায় কাপড়ে ব্যবহৃত রঙ, ধানের তুষ, ইট ও কাঠের গুঁড়া, নষ্ট মটর ডাল মেশানোর খবরও নতুন নয়। মশলায় ক্ষতিকারক রাসায়নিক ব্যবহারের বিষয়টি পরীক্ষা নিরিক্ষা করছে নিরাপদ খাদ্য কতৃপক্ষ।

গেলো এক বছরে অভিযান চালিয়ে প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকা জমিরানা করেছে বিএসটিআই । মামলা দায়ের করা হয়েছে ৯৫৪ টি।

বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযান চালালেও, অসাধু চক্রের কারণে তেমন কোনো ফল আসছে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।