প্রযুক্তির সাথে পাল্লা দিয়ে গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে না পারায় প্রতিবছর ৫০ হাজার গ্রাহক হারাচ্ছে বিটিসিএলের ল্যান্ডফোন। এক যুগে দেশে মোবাইল ফোন গ্রাহক ১৫ কোটি ছাড়ালেও ১০ বছরে ৫ লাখ গ্রাহক হারিয়ে মাত্র ৬ লাখ নিয়ে ধুকে ধুকে চলছে সরকারি সংস্থা- বিটিসিএলের ল্যান্ডফোন ব্যবসা। তবে উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ দেয়ায় গ্রাহকরা আবার ল্যান্ডফোনে ফিরতে শুরু করেছে বলে জানান বিটিসিএলের এমডি। এবার ক্যাবল টিভির সংযোগ দেয়া শুরু হলে বিটিসিএলের ল্যাণ্ডফোন সংযোগে ঘটবে নতুন বিপ্লব।

এক সময় দেশে টেলিযোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম বিটিসিএলের ল্যান্ডফোন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে গ্রহকরা। সেবা এবং সংযোগ পেতে গ্রাহকদের হয়রানীর কারণে রাষ্ট্রীয় এ প্রতিষ্ঠান উপর আর আস্থা রাখতে পারছে না মানুষ।

বিটিসিএলের হিসাবে, ২০১১ সালে দেশে ১০ লাখ ল্যান্ডফোন গ্রাহক থাকলেও ২০১৭ সালের দিকে গ্রহক সংখ্যা কমে সাড়ে ৪ লাখে নেমে আসে। ২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে ল্যান্ডফোনের বিনামূল্যে সংযোগ এবং ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবস্থা শুরু হলে আবারো কিছুটা চাহিদা বাড়ে ল্যান্ডফোনের। ২০২০ সালে নতুন সংযোগ নেন ৩২ হাজার। চলতি বছর একই সংখ্যক গ্রাহক ল্যান্ডফোন সংযোগ পায়।

গ্রাহক ফেরাতে ইতোমধ্যে অনলাইনে আবেদন, বিল প্রদান, ইন্টারনেট সংযোগ, কাস্টমার কেয়ারসহ তথ্য প্রযুক্তির নানা সুবিধা সংযোজন করা হয়েছে। এমন তথ্য এসএ টিভিকে জানান বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল রতন। বহুমুখি উদ্যোগের ফলে মানুষ ল্যান্ডফোনে ফিরতে শুরু করছে বলেও জানান তিনি।

তবে বিটিসিএল এর নেয়া এতোসব উদ্যোগের সুফল এখনো গ্রাহক পর্যায় পৌঁছেনি বলে জানান সাধারণ মানুষ। মাসের পর মাস অভিযোগ করেও সমস্যার সমাধান হয় না এমন বক্তব্য অধিকাংশ গ্রাহকের।

নিজেদের সীমাবদ্ধতার কথা স্বীকার করে গ্রহকদের অভিযোগের বিষয়ে বিটিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ল্যান্ডফোনের সুযোগ সুবিধা এবং সমস্যা সমাধানের উপায় সম্পর্কে গ্রাহকদের আরো সচেতন করতে কাজ করছেন তারা।

ল্যান্ডফোন সংযোগের সাথে যুক্ত থাকা ইন্টারনেট ও ক্যাবলটিভির সুবিধা নিশ্চিত করা গেলে ল্যান্ডফোন ব্যবহারে গ্রাহকরা আগ্রহী হবে । একই সাথে দুর হবে বাসা বাড়ির এবং নগরির তারের জঞ্জাট।

প্রযুক্তিগত সেবা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় বিটিসিএলের ল্যান্ডফোন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে মানুষ/ প্রতিবছর হারাচ্ছে ৫০ হাজার গ্রাহক/