১২:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

পার্বত্য এলাকা আবার রক্তাক্ত হবার আশঙ্কা

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ১০:২৫:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ এপ্রিল ২০২৪
  • / ২১৩৮ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পাহাড়ের আতঙ্ক হয়ে ওঠা সন্ত্রাসী সংগঠন- কুকি চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা কেএনএফের অপতৎপরতা এখনই থামানো না গেলে পার্বত্য এলাকা আবারও রক্তাক্ত হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের। তারা বলছেন, বাংলাদেশে কুকি চীনের পরিধি ছোট হলেও তা দ্রুত ভারতের মিজোরাম ও মিয়ানমারের চীন প্রদেশের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে সংযুক্ত হচ্ছে। নৃগোষ্ঠীর অধিকারের কথা বলে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তারা। তাই এদের ছোট করে দেখার সুযোগ নেই।

শান্তি চুক্তির পর পাহাড়ি জনপদের সঙ্গে সমতলের যোগাযোগ ব্যবস্থায় হয়েছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। এরপরও এমন অনেক দুর্গম এলাকা আছে যেখানে সমতলের মানুষের পা পড়েনি এখনো। আর এই দুর্গম এলাকাকে অনেকটা দুর্ভেদ্য করে তুলেছে আন্তর্জাতিক নানা সমীকরণ।

দুর্গম পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে চলছে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র। যার সবশেষ অনুষঙ্গ কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা কেএনএফ নামের এই সন্ত্রাসী সংগঠন। কেএনএফের আনুষ্ঠানিক জন্ম দুবছর আগে হলেও এর যাত্রা শান্তিচুক্তির পরপরই। বম, চাং, পানখোয়ার মতো অতিক্ষুদ্র নৃগোষ্টিকে ভুল বুঝিয়ে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে গড়ে তোলা হয় ভয়ঙ্কর এই সন্ত্রাসী সংগঠন।

জেএসএস কিংবা ইউপিডিএফের মতো কুকি চিনের আকার বড় না হলেও সক্রিয় তৎপরতা রয়েছে ভারতের মিজোরাম ও মিয়ানমারের চীন প্রদেশে।মেজর এমদাদ মনে করেন, কুকি চীনের আস্তানা সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় শুধু অপারেশন চালিয়ে তাদের দমন করা কঠিন হবে। আর ড. মাহফুজ পারভেজের মতে আঞ্চলিক নিরাপত্ত্বার ইস্যুকে প্রধন্য দিয়ে ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমন্বয় করে সন্ত্রাস দমনে উদ্যোগী হতে হবে

কুকিচীন সহ মোট ৫ টি সশস্ত্র সংগঠনের অপতৎপরতা রয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামে। সবকটি সংগঠনই স্ব স্ব জাতীগোষ্টির বঞ্চনাকে সামনে এনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাই সন্ত্রাস দমনে কঠোর হওয়ার পাশাপাশি পাহাড়ে বসবাস করা সব জাতি, ধর্ম ও বর্ণের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে সরকারকে উদ্যোগী হওয়ার আহবান জানান এই দুই বিশ্লেষক।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

পার্বত্য এলাকা আবার রক্তাক্ত হবার আশঙ্কা

আপডেট সময় : ১০:২৫:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ এপ্রিল ২০২৪

পাহাড়ের আতঙ্ক হয়ে ওঠা সন্ত্রাসী সংগঠন- কুকি চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা কেএনএফের অপতৎপরতা এখনই থামানো না গেলে পার্বত্য এলাকা আবারও রক্তাক্ত হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের। তারা বলছেন, বাংলাদেশে কুকি চীনের পরিধি ছোট হলেও তা দ্রুত ভারতের মিজোরাম ও মিয়ানমারের চীন প্রদেশের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে সংযুক্ত হচ্ছে। নৃগোষ্ঠীর অধিকারের কথা বলে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তারা। তাই এদের ছোট করে দেখার সুযোগ নেই।

শান্তি চুক্তির পর পাহাড়ি জনপদের সঙ্গে সমতলের যোগাযোগ ব্যবস্থায় হয়েছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। এরপরও এমন অনেক দুর্গম এলাকা আছে যেখানে সমতলের মানুষের পা পড়েনি এখনো। আর এই দুর্গম এলাকাকে অনেকটা দুর্ভেদ্য করে তুলেছে আন্তর্জাতিক নানা সমীকরণ।

দুর্গম পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে চলছে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র। যার সবশেষ অনুষঙ্গ কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা কেএনএফ নামের এই সন্ত্রাসী সংগঠন। কেএনএফের আনুষ্ঠানিক জন্ম দুবছর আগে হলেও এর যাত্রা শান্তিচুক্তির পরপরই। বম, চাং, পানখোয়ার মতো অতিক্ষুদ্র নৃগোষ্টিকে ভুল বুঝিয়ে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে গড়ে তোলা হয় ভয়ঙ্কর এই সন্ত্রাসী সংগঠন।

জেএসএস কিংবা ইউপিডিএফের মতো কুকি চিনের আকার বড় না হলেও সক্রিয় তৎপরতা রয়েছে ভারতের মিজোরাম ও মিয়ানমারের চীন প্রদেশে।মেজর এমদাদ মনে করেন, কুকি চীনের আস্তানা সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় শুধু অপারেশন চালিয়ে তাদের দমন করা কঠিন হবে। আর ড. মাহফুজ পারভেজের মতে আঞ্চলিক নিরাপত্ত্বার ইস্যুকে প্রধন্য দিয়ে ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমন্বয় করে সন্ত্রাস দমনে উদ্যোগী হতে হবে

কুকিচীন সহ মোট ৫ টি সশস্ত্র সংগঠনের অপতৎপরতা রয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামে। সবকটি সংগঠনই স্ব স্ব জাতীগোষ্টির বঞ্চনাকে সামনে এনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাই সন্ত্রাস দমনে কঠোর হওয়ার পাশাপাশি পাহাড়ে বসবাস করা সব জাতি, ধর্ম ও বর্ণের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে সরকারকে উদ্যোগী হওয়ার আহবান জানান এই দুই বিশ্লেষক।