০৮:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

নীতি-নির্ধারকদের উদাসীনতায় নি:স্ব হচ্ছে ই-কমার্সের ক্রেতারা

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০২:১৬:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ১৫০৪ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গত ২০ বছরে দেশের ব্যবসা ক্ষেত্রে দারুণ সম্ভাবনা জাগিয়েছে ই-কমার্স।তবে, করোনাকালে ব্যাঙয়ের ছাতার মতো গজিয়ে উঠা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রতারণা বেড়েছে। ডিজিটাল দোকান খুলে ক্রেতাদের প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তারা। এ ব্যাপারে নীতি-নির্ধারকদের উদাসীনতার অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীরা। ১৪টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে নজরদারীতে রেখেছে সিআইডি, দুদকসহ সরকারি নয়টি সংস্থা। বিশিষ্টজনরাও মনে করেন, ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের প্রতারণার বিষয়ে সরকারের আরও আগে তৎপর হওয়া দরকার ছিলো।

নতুন সম্ভাবনা নিয়ে ১৯৯৯ সালে দেশে শুরু হয় ই-কমার্স বা ইলেকট্রনিক কমার্স। প্রযুক্তির বিকাশের সাথে সাথে ২০১৩ সালে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ও বেচা-বিক্রি বাড়ে কয়েকগুণ। গত বছর করোনাকালে ব্যাঙয়ের ছাতার মতো গজিয়ে উঠে বহু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান। শুরুতে ২৫ থেকে ৩০ বছর বয়সী তরুণ উদ্যোক্তারা এর মধ্য দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন । গত ২০ বছরে ই-কমার্সের ব্যাপক বিস্তার হয়েছে। ই-ক্যাব ও স্টক এক্সচেঞ্জের তথ্য অনুযায়ী দেশে আড়াই হাজার প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

এর মধ্যে ই-ক্যাবের সদস্য ১৬’শ। কোম্পানি আছে ২০টি। ফেসবুক পেজ খুলে অনলাইনে ব্যবসা করে পাঁচ লাখ। বছরে বেচা-বিক্রি হয় ১৬ হাজার কোটি টাকা। সম্প্রতি ই-কমার্সে ঢুকে পেড়েছে প্রতারক শ্রেনী। তাদের লোভনীয় প্রস্তাবের খপ্পরে পড়ে নি:স্ব হচ্ছে লাখ লাখ ক্রেতা। ই-ভ্যালি, ই-অরেঞ্জ, ধামাকা ডট কম, দালাল ডট কমের মতো বাহারী নাম আর লোভনীয় অফার দিয়ে ১৪টি প্রতিষ্ঠান ক্রেতাদের প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সরকারের উদাসীনতায় ই-কমার্স ব্যবসার নামে প্রতারণা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের প্রতারণার কারণে ই-কমার্স খাতের ব্যবসায়ীরাও বিব্রত। গ্রাহকদের মুখ ফিরিয়ে নেয়ার আশঙ্কা করছে তারা।

নিবন্ধন থেকে ভ্যাট ট্যাক্স প্রদান পর্যন্ত ই-কমার্সকে নজরে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা। আর, বিশ্বমানের পর্যবেক্ষন ব্যবস্থা গড়ে তোলার দাবি জানিয়েছে ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের সংগঠন ই-ক্যাব।

কনজ্যুমার এসোসিয়েশন এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ভোক্তাদের সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

প্রথম দিকে নিশ্চুপ থাকলেও, এখন নড়েচড়ে বসেছে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা। ধামাকা ডট কমের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছে সিআইডি। ই-অরেঞ্জের এমডি ও চেয়ারম্যানেক গ্রেফতার কতরেছে পুলিশ। ই-ভ্যালির এমডি ও চেয়ারম্যানের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দুদক।

তবে, এ ব্যাপারে যোগাযোগ করেও নীতি-নির্ধারকদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে টিআইবি।

পুরনো ব্যবসায়ীদের ভোক্তা বান্ধব এবং তরুণ উদ্যোক্তাদের সততার সাথে ই-কমার্স চালানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশিষ্টজনরা।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

নীতি-নির্ধারকদের উদাসীনতায় নি:স্ব হচ্ছে ই-কমার্সের ক্রেতারা

আপডেট সময় : ০২:১৬:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

গত ২০ বছরে দেশের ব্যবসা ক্ষেত্রে দারুণ সম্ভাবনা জাগিয়েছে ই-কমার্স।তবে, করোনাকালে ব্যাঙয়ের ছাতার মতো গজিয়ে উঠা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রতারণা বেড়েছে। ডিজিটাল দোকান খুলে ক্রেতাদের প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তারা। এ ব্যাপারে নীতি-নির্ধারকদের উদাসীনতার অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীরা। ১৪টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে নজরদারীতে রেখেছে সিআইডি, দুদকসহ সরকারি নয়টি সংস্থা। বিশিষ্টজনরাও মনে করেন, ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের প্রতারণার বিষয়ে সরকারের আরও আগে তৎপর হওয়া দরকার ছিলো।

নতুন সম্ভাবনা নিয়ে ১৯৯৯ সালে দেশে শুরু হয় ই-কমার্স বা ইলেকট্রনিক কমার্স। প্রযুক্তির বিকাশের সাথে সাথে ২০১৩ সালে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ও বেচা-বিক্রি বাড়ে কয়েকগুণ। গত বছর করোনাকালে ব্যাঙয়ের ছাতার মতো গজিয়ে উঠে বহু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান। শুরুতে ২৫ থেকে ৩০ বছর বয়সী তরুণ উদ্যোক্তারা এর মধ্য দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন । গত ২০ বছরে ই-কমার্সের ব্যাপক বিস্তার হয়েছে। ই-ক্যাব ও স্টক এক্সচেঞ্জের তথ্য অনুযায়ী দেশে আড়াই হাজার প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

এর মধ্যে ই-ক্যাবের সদস্য ১৬’শ। কোম্পানি আছে ২০টি। ফেসবুক পেজ খুলে অনলাইনে ব্যবসা করে পাঁচ লাখ। বছরে বেচা-বিক্রি হয় ১৬ হাজার কোটি টাকা। সম্প্রতি ই-কমার্সে ঢুকে পেড়েছে প্রতারক শ্রেনী। তাদের লোভনীয় প্রস্তাবের খপ্পরে পড়ে নি:স্ব হচ্ছে লাখ লাখ ক্রেতা। ই-ভ্যালি, ই-অরেঞ্জ, ধামাকা ডট কম, দালাল ডট কমের মতো বাহারী নাম আর লোভনীয় অফার দিয়ে ১৪টি প্রতিষ্ঠান ক্রেতাদের প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সরকারের উদাসীনতায় ই-কমার্স ব্যবসার নামে প্রতারণা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের প্রতারণার কারণে ই-কমার্স খাতের ব্যবসায়ীরাও বিব্রত। গ্রাহকদের মুখ ফিরিয়ে নেয়ার আশঙ্কা করছে তারা।

নিবন্ধন থেকে ভ্যাট ট্যাক্স প্রদান পর্যন্ত ই-কমার্সকে নজরে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা। আর, বিশ্বমানের পর্যবেক্ষন ব্যবস্থা গড়ে তোলার দাবি জানিয়েছে ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের সংগঠন ই-ক্যাব।

কনজ্যুমার এসোসিয়েশন এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ভোক্তাদের সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

প্রথম দিকে নিশ্চুপ থাকলেও, এখন নড়েচড়ে বসেছে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা। ধামাকা ডট কমের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছে সিআইডি। ই-অরেঞ্জের এমডি ও চেয়ারম্যানেক গ্রেফতার কতরেছে পুলিশ। ই-ভ্যালির এমডি ও চেয়ারম্যানের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দুদক।

তবে, এ ব্যাপারে যোগাযোগ করেও নীতি-নির্ধারকদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে টিআইবি।

পুরনো ব্যবসায়ীদের ভোক্তা বান্ধব এবং তরুণ উদ্যোক্তাদের সততার সাথে ই-কমার্স চালানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশিষ্টজনরা।