ইউপি নির্বাচনকে আধিপত্য ও গোষ্ঠীর লড়াই উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, এখানে একটু ঝগড়াঝাটি, মারামারি হয়ই। তবে নিরাপত্তা বাহিনী বসে নেই। তারা ঠিকমতোই তাদের কাজ করে যাচ্ছে। অন্যদিকে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সজ্জন ও সফল ব্যক্তি। কিন্তু দেশের নির্বাচনসহ সার্বিক নিরাপত্তার বিভিন্ন বিষয়ে তাকে সহযোগিতার জন্য একজন প্রতিমন্ত্রী দেয়া উচিত। বিশেষ করে আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি বিবেচনার অনুরোধ জানান তিনি। দুপুরে সচিবালয়ে আলাদা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তারা।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতা রোধ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিশেষ সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। সভাশেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সংহিসতা হয়েই থাকে। তবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

এসময় আগামী ২৪ থেকে ২৯ নভেম্বর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় লোকজ মেলায় প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর অনুষ্ঠান নিয়েও কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এদিকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান। ইউপি নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সহযোগিতার জন্য একজন রানিংমেট প্রয়োজন।

প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব দিলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কাজ করার আগ্রহের কথাও জানান মুরাদ হাসান।