০২:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪

নামের মিল থাকায় নিরপরাধকে ক্রসফায়ার, পুলিশের খাতায় মৃত, দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে আসামী

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৩:১৮:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ১৫০৫ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এক বছর আগে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত দেখিয়ে মামলার চার্জশিট থেকে আসামীর নাম বাদ দেয় পুলিশ। অথচ বাদী এসে আদালতে বললেন, তার আসামী দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। শুধু নামের মিল থাকায় কিশোর গ্যাংয়ের নেতা জয়নালের পরিবর্তে বায়েজিদ স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্র আরেক জয়নালকে গ্রেফতার করেছিলো পুলিশ। তাকে নিয়েই কথিত অস্ত্র উদ্ধার অভিযানের নামে জীবন প্রদীপ নিভিয়ে দেয়া হয় ওই নীরিহ কিশোরের। পুলিশ কমিশনার বললেন, সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব দিয়েই বিষয়টি তদন্ত করা হবে। এদিকে সন্তান হত্যার বিচার চান জয়নালের বাবা-মা।

গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন বায়েজিদ টেক্সটাইল ভকেশনাল ইনস্টিটিউটের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মোহাম্মদ জয়নাল। নিহত হওয়ার দু’দিন আগে গভীর রাতে তাকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর ৪৮ ঘন্টারও বেশী সময় অজ্ঞাত স্থানে রেখে আমিন জুট মিলের মাঠে বন্দুকযুদ্ধের কথা বলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয় পুলিশ। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন মৃত্যু হয় তার। ওই সময় পুলিশ জানায়, নিহত জয়নাল একটি কিশোর গ্যাংয়ের নেতা। তার বিরুদ্ধে শাহ আলম নামের একজনকে আহত করার অভিযোগে মামলা রয়েছে।

ঘটনার এক বছর পর ওই মামলার বাদী আদালতকে জানায়, তার মামলার আসামী জয়নাল এখনো প্রকাশ্যে ঘুরছে। ঘটনার ভেতরে গিয়ে জানতে পারে, নামের মিল থাকায় নিরীহ স্কুলছাত্র আরেক জয়নালকে ধরেছিলো পুলিশ। তাহলে কথিত বন্দুকযুদ্ধের ঘটনাটি আসলে কি ছিলো, সে বিষয়ে আদালতের নজরে আনার কথা জানান মানবাধিকার কর্মীরা।

সেদিনের ঘটনা জানাতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন জয়নালের বাবা-মা। বলেন, নিজেদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা না থাকায় মামলা করবেন না তারা। তবে প্রধানমন্ত্রী তাদের সন্তান হত্যার বিচার করবেন– এমন আশা আছে তাদের।

নিরপরাধ জয়নালের মৃত্যুতে আজও চোখের পানি ফেলছেন প্রতিবেশীরাও।

এদিকে, পুলিশ কমিশনার বললেন, ঘটনাটি নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে তদন্ত শুরু করেছেন তারা। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থার নেয়ার ঘোষণাও দেন তিনি।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

নামের মিল থাকায় নিরপরাধকে ক্রসফায়ার, পুলিশের খাতায় মৃত, দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে আসামী

আপডেট সময় : ০৩:১৮:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০

এক বছর আগে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত দেখিয়ে মামলার চার্জশিট থেকে আসামীর নাম বাদ দেয় পুলিশ। অথচ বাদী এসে আদালতে বললেন, তার আসামী দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। শুধু নামের মিল থাকায় কিশোর গ্যাংয়ের নেতা জয়নালের পরিবর্তে বায়েজিদ স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্র আরেক জয়নালকে গ্রেফতার করেছিলো পুলিশ। তাকে নিয়েই কথিত অস্ত্র উদ্ধার অভিযানের নামে জীবন প্রদীপ নিভিয়ে দেয়া হয় ওই নীরিহ কিশোরের। পুলিশ কমিশনার বললেন, সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব দিয়েই বিষয়টি তদন্ত করা হবে। এদিকে সন্তান হত্যার বিচার চান জয়নালের বাবা-মা।

গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন বায়েজিদ টেক্সটাইল ভকেশনাল ইনস্টিটিউটের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মোহাম্মদ জয়নাল। নিহত হওয়ার দু’দিন আগে গভীর রাতে তাকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর ৪৮ ঘন্টারও বেশী সময় অজ্ঞাত স্থানে রেখে আমিন জুট মিলের মাঠে বন্দুকযুদ্ধের কথা বলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয় পুলিশ। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন মৃত্যু হয় তার। ওই সময় পুলিশ জানায়, নিহত জয়নাল একটি কিশোর গ্যাংয়ের নেতা। তার বিরুদ্ধে শাহ আলম নামের একজনকে আহত করার অভিযোগে মামলা রয়েছে।

ঘটনার এক বছর পর ওই মামলার বাদী আদালতকে জানায়, তার মামলার আসামী জয়নাল এখনো প্রকাশ্যে ঘুরছে। ঘটনার ভেতরে গিয়ে জানতে পারে, নামের মিল থাকায় নিরীহ স্কুলছাত্র আরেক জয়নালকে ধরেছিলো পুলিশ। তাহলে কথিত বন্দুকযুদ্ধের ঘটনাটি আসলে কি ছিলো, সে বিষয়ে আদালতের নজরে আনার কথা জানান মানবাধিকার কর্মীরা।

সেদিনের ঘটনা জানাতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন জয়নালের বাবা-মা। বলেন, নিজেদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা না থাকায় মামলা করবেন না তারা। তবে প্রধানমন্ত্রী তাদের সন্তান হত্যার বিচার করবেন– এমন আশা আছে তাদের।

নিরপরাধ জয়নালের মৃত্যুতে আজও চোখের পানি ফেলছেন প্রতিবেশীরাও।

এদিকে, পুলিশ কমিশনার বললেন, ঘটনাটি নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে তদন্ত শুরু করেছেন তারা। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থার নেয়ার ঘোষণাও দেন তিনি।