সারাদেশে বেশিরভাগ জেলাতেই লকডাউন কর্মসূচি চলছে খুবই ঢিলেঢালাভাবে। তবে লকডাউন নিশ্চিতে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন।লকডাউনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে রাজশাহীতে বিক্ষোভ করেছে ব্যবসায়ীরা।

মানিকগঞ্জে ঢিলেঢালাভাবে লকডাউন মানতে দেখা গেছে সাধারণ মানুষকে। এদিকে, জেলা সদর হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, মানুষের জীবন রক্ষার জন্যই লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান, তিনি।

মার্কেট খোলা রাখার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে রাজশাহীর ব্যবসায়ীরা। এক পর্যায়ে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে ঘিরে রাখে বিক্ষোভকারীরা। এসময় বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তারা। এদিকে, দোকানপাট বন্ধ থাকলেও নির্দেশনা উপেক্ষা করে ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসছে মানুষ। তবে, প্রতিদিন চারটি ভ্রাম্যমান আদালত মাঠে থাকছে বলে জানিয়েছে, জেলা প্রশাসন।

চট্টগ্রামে ঢিলেঢালাভাবেই চলছে লকডাউনের প্রথম দিন। বড় বড় মার্কেট ও বিপনি বিতানগুলো বন্ধ থাকলেও, পাড়া-মহল্লার ছোট-খাটো দোকানগুলো খোলা রয়েছে। অনেকে এক সাটার বন্ধ রেখে দোকান করছে। সড়কে গণপরিবহন কম থাকলেও, ব্যক্তিগত গাড়ি চলছে অনেক। অটোরিক্সা কম, তবে বিপুল পরিমাণ রিক্সা চলাচল করতে দেখা গেছে।

শেরপুরে লকডাউনের প্রথম দিন কড়াকড়িভাবে মানা হচ্ছে। সকাল থেকেই শহরের সব দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। প্রশাসনও রয়েছে কঠোর অবস্থানে। জরুরি সেবার দোকান ও যান চলাচল করছে।

সিরাজগঞ্জ সদরের কেন্দ্রীয় এম এ মতিন বাস টার্মিনাল থেকে আন্তঃজেলা ও দুরপাল্লা রুটের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি ও লকডাউনের নিয়ম রক্ষায় শহরে টহল দিচ্ছে পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

খুলনায় বন্ধ রয়েছে বাস, ট্রেনসহ অন্যান্য গণপরিবহন। তবে, থেমে নেই দুরপাল্লার যাত্রীদের চলাচল। অটোরিক্সা, মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কারে বেশি ভাড়া দিয়ে যাত্রীরা যাতায়াত করছে। এছাড়া, নগরীসহ আন্তঃজেলার সব সড়কে ছোট যানবাহনে গাদাগাদি করে যাচ্ছে যাত্রীরা।

নেত্রকোনায় লকডাউন চলছে ঢিলেঢালাভালে। সকাল থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। তবে, জেলার ভেতরে ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা, রিক্সা, সিএনজি অবাধে চলাচল করছে। শহরে লোকজনের চলাচলও অব্যাহত রয়েছে।

বরিশালে ঢিলেঢালাভাবে চলছে লকডাউনের প্রথমদিন। নদী বন্দর থেকে অভ্যন্তরীন ও দূরপাল্লা রুটের লঞ্চ এবং দুটি বাস টার্মিনাল থেকে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। তবে শহরে থ্রি-হুইলারসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল প্রায় স্বাভাবিক। সেগুলোতে গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে। তবে, পুলিশের টহল অব্যাহত রয়েছে।

ময়মনসিংহে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে, দ্বিগুণ ভাড়ায় চলছে সিএনজি, মাহেন্দ্র, ট্রাক ও ব্যক্তিগত গাড়ি। এদিকে, সকাল থেকেই নগরীর মেছুয়া বাজারে ক্রেতা বিক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়।পুলিশ সুপার জানায়, মাঠে কাজ করছে তারা।

সিলেটে ঢিলেঢালাভাবেই চলছে লকডাউনের প্রথম দিন। শহরের ভেতরে সিএনজি-অটোরিকশা চলাচল স্বাভাবিক। স্ট্যান্ড থেকে নয়, কিছুটা দুর থেকে যাত্রী উঠা-নামা করছে।

চুয়াডাঙ্গায় লকডাউনের প্রথম দিনে রাস্তা-ঘাটে মানুষের চলাচল ছিল অন্যান্য দিনের মতোই। বড় বিপণি বিতান ছাড়া ছোট-খাটো দোকান খোলা রয়েছে। বাস-ট্রাক চলাচল না করলেও, ইজিবাইক, স্যালোইঞ্জিন চালিত যান এবং রিক্সা-ভ্যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানা হচ্ছেনা লকডাউন। সকাল থেকেই শহরে সাধারণ মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। তবে জেলা প্রশাসক জানান, স্থানীয় প্রশাসন তৎপর রয়েছে।

লকডাউনের নির্দেশনা বাস্তবায়নে সাভারে অভিযান করছে স্থানীয় প্রশাসন। বিভিন্ন পয়েন্টে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

চুয়াডাঙ্গায় কোর্ট মোড় ও শহীদ হাসান চত্বর এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে প্রশাসন। এছাড়া, জনগণকে সচেতন করতে শহরে মাইকিং করে পৌর কর্তৃপক্ষ।

লকডাউনের প্রথম দিনে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি স্বাভাবিক রয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কার্যক্রম চলছে। তবে, নির্দেশনা না মানায় পাঁচজনের জরিমানা করেছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

কুমিল্লায় ঢিলেঢালাভাবে লকডাউন চলছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে নগরীসহ বিভিন্ন স্থানে ছোট ও মাঝারী যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়।

গোপালগঞ্জে নিত্য প্রয়োজনীয় ওষুধের দোকান ছাড়া সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া সাধারন মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেনা। ঢাকা-খুলনাসহ দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীন রুটে যান চলাচল বন্ধ হয়েছে।

ঝিনাইদহে সকাল থেকেই বন্ধ রয়েছে স্থানীয় ও দুরপাল্লার সব ধরণের গণপরিবহন। ওষুধ ও খাদ্য ছাড়া সব দোকান বন্ধ রয়েছে। মাঠে রয়েছে পুলিশ।

এছাড়াও ঝালকাঠি, ফরিদপুর, নওগাঁ, গাইবান্ধা, সাতক্ষীরা, নরসিংদী, মাদারীপুর, কুষ্টিয়া, কুড়িগ্রাম ও নড়াইলে ঢিলেঢালাভাবেই চলছে প্রথম দিনের লকডাউন।