১২:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪

দেশের তৃতীয় চা অঞ্চল হিসেবে এরই মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে পঞ্চগড়

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৯:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ মার্চ ২০২২
  • / ১৫২০ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এক সময় সবাই ভাবতো চা চাষের জন্য পার্বত্য অঞ্চল বা সিলেটের মতো টিলা প্রয়োজন। সেই পুরোনো ভাবনা পাল্টে দিয়েছে পঞ্চগড়ের সমতলের চাষিরা। জেলার বিস্তীর্ণ সমতল ভূমি এখন ভরে আছে চায়ের সবুজ পাতায়। সিলেট-চট্টগ্রামের পর দেশের তৃতীয় চা অঞ্চল হিসেবে এরই মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে পঞ্চগড়। চায়ের মান প্রতিবেশী ভারতের দার্জিলিংয়ের মতো উন্নত হওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারেও ঢুকছে পঞ্চগড়ের চা।

খুব বেশি দিনের কথা নয়। পঞ্চগড়ের কয়েক হাজার হেক্টর জমি বছরের পর বছর ধরে পতিত পড়েছিল। এসব জমিতে তেমন কোন আবাদ না হওয়ায় গো-চারণ ভূমি হিসেবে ব্যবহৃত হতো যুগ যুগ। এক সময়ের সেই পতিত জমি এখন চায়ের সবুজ পাতায় ভরে গেছে। বড় বাগানের পাশাপাশি মাঝারি ও ক্ষুদ্র পরিসরেও চা চাষ বেড়েছে কয়েক গুণ। একবার চায়ের চারা লাগিয়ে আশি থেকে একশ’ বছর পাতা উত্তোলণ করার সুযোগ থাকায় দিনদিন বাড়ছে চা চাষের পরিধি। জেলার চা বাগানে উৎপাদিত চা প্রক্রিয়াকরণে জেলায় গড়ে উঠেছে ২২টি চা কারখানা। স্থানীয় চা চাষীদের কাছ থেকে নগদ মূল্যে কারখানা কর্তৃপক্ষ কাঁচা চা পাতা কেনায় চাষীরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। একই সাথে জেলার শিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত কয়েক হাজার বেকার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে চা-বাগান ঘিরে।

বাগান মালিক ও স্থানীয় চা শ্রমিকরা বলছেন, বাড়ির পাশে চা বাগান হওয়ায় তাদের যেমন স্থায়ী কর্মসংস্থান হয়েছে, তেমনি বেড়েছে রোজগারের পরিমাণ।

চা চাষীদের কাছ থেকে সরাসরি নগদ মূল্যে কাঁচা চা পাতা সংগ্রহ করায় লাভবান চাষীরা।

উৎপাদনের দিক দিয়ে সিলেটকে ছাড়িয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পঞ্চগড়। চা চাষীদের প্রশিক্ষণসহ প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা নিশ্চত করায় পঞ্চগড়ে চা চাষের পরিধি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানান স্থানীয় আঞ্চলিক চা বোর্ডের এ শীর্ষ কর্মকর্তা।

পঞ্চগড়সহ পাশ্ববর্তী এলাকায় প্রায় সাড়ে ১১ হাজার একর জমিতে চা চাষ করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে জেলায় ১ কোটি ৮০ লক্ষ কেজি কাঁচা চা পাতা উত্তোলন করা যাবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেছেন চা সংশ্লিষ্টরা।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

দেশের তৃতীয় চা অঞ্চল হিসেবে এরই মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে পঞ্চগড়

আপডেট সময় : ০৬:৫৯:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ মার্চ ২০২২

এক সময় সবাই ভাবতো চা চাষের জন্য পার্বত্য অঞ্চল বা সিলেটের মতো টিলা প্রয়োজন। সেই পুরোনো ভাবনা পাল্টে দিয়েছে পঞ্চগড়ের সমতলের চাষিরা। জেলার বিস্তীর্ণ সমতল ভূমি এখন ভরে আছে চায়ের সবুজ পাতায়। সিলেট-চট্টগ্রামের পর দেশের তৃতীয় চা অঞ্চল হিসেবে এরই মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে পঞ্চগড়। চায়ের মান প্রতিবেশী ভারতের দার্জিলিংয়ের মতো উন্নত হওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারেও ঢুকছে পঞ্চগড়ের চা।

খুব বেশি দিনের কথা নয়। পঞ্চগড়ের কয়েক হাজার হেক্টর জমি বছরের পর বছর ধরে পতিত পড়েছিল। এসব জমিতে তেমন কোন আবাদ না হওয়ায় গো-চারণ ভূমি হিসেবে ব্যবহৃত হতো যুগ যুগ। এক সময়ের সেই পতিত জমি এখন চায়ের সবুজ পাতায় ভরে গেছে। বড় বাগানের পাশাপাশি মাঝারি ও ক্ষুদ্র পরিসরেও চা চাষ বেড়েছে কয়েক গুণ। একবার চায়ের চারা লাগিয়ে আশি থেকে একশ’ বছর পাতা উত্তোলণ করার সুযোগ থাকায় দিনদিন বাড়ছে চা চাষের পরিধি। জেলার চা বাগানে উৎপাদিত চা প্রক্রিয়াকরণে জেলায় গড়ে উঠেছে ২২টি চা কারখানা। স্থানীয় চা চাষীদের কাছ থেকে নগদ মূল্যে কারখানা কর্তৃপক্ষ কাঁচা চা পাতা কেনায় চাষীরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। একই সাথে জেলার শিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত কয়েক হাজার বেকার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে চা-বাগান ঘিরে।

বাগান মালিক ও স্থানীয় চা শ্রমিকরা বলছেন, বাড়ির পাশে চা বাগান হওয়ায় তাদের যেমন স্থায়ী কর্মসংস্থান হয়েছে, তেমনি বেড়েছে রোজগারের পরিমাণ।

চা চাষীদের কাছ থেকে সরাসরি নগদ মূল্যে কাঁচা চা পাতা সংগ্রহ করায় লাভবান চাষীরা।

উৎপাদনের দিক দিয়ে সিলেটকে ছাড়িয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পঞ্চগড়। চা চাষীদের প্রশিক্ষণসহ প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা নিশ্চত করায় পঞ্চগড়ে চা চাষের পরিধি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানান স্থানীয় আঞ্চলিক চা বোর্ডের এ শীর্ষ কর্মকর্তা।

পঞ্চগড়সহ পাশ্ববর্তী এলাকায় প্রায় সাড়ে ১১ হাজার একর জমিতে চা চাষ করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে জেলায় ১ কোটি ৮০ লক্ষ কেজি কাঁচা চা পাতা উত্তোলন করা যাবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেছেন চা সংশ্লিষ্টরা।