দুর্বল বাজার মনিটরিংয়ে খাদ্যপণ্যের মুল্য বৃদ্ধি, ক্রেতাদের নাভিশ্বাস
- আপডেট সময় : ০৩:১৩:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১
- / ১৫০৯ বার পড়া হয়েছে
সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম বেড়েছে। শাক-সবজির দাম কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও দাম চড়া মাছ, মুরগী, চাল, ডাল, তেলসহ সব ধরণের খাদ্যপণ্যের। সরকার চিনির দাম নির্ধারিত করে দিলেও প্রতি কেজি চিনি ১০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে বাজারে। প্রতিনিয়ত নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চল যাচ্ছে খাদ্যপণ্য। ক্রেতাদের অভিযোগ, সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবে ইচ্ছামত দাম বাড়াচ্ছে ব্যবসায়ীরা।
গত দুই সপ্তাহ যাবত অস্বাভাবিক চিনির দাম। হঠাৎ ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা। এর লাগাম টানতে বৃহস্পতিবার সরকার খোলা এবং প্যাকেটজাত চিনির দাম যথাক্রমে ৭৪ এবং ৭৫ টাকা নির্ধারণ করে। এরপরও কেজি প্রতি ৮ থেকে ১০ টাকা বেশি দরে বিক্রি করতে দেখা যায় বাজারে।
ভোজ্যতেলও বিক্রি হচ্ছে সরকারের বেঁধে দেয়া দামের চেয়ে অনেক বেশি দরে। মুশুর ডালের দামও কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।এদিকে বিগত কয়েকদিন চালের দাম কিছুটা কম থাকলেও প্রকারভেদে আবারও দাম বেড়েছে চিকন ও সরু চালের।শাক-সবজির দাম কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে মাছ, মুরগী। গরু ও খাসির মাংসের দাম রয়েছে অপরিবর্তিত।
তবে সরবরাহ থাকায় কিছুটা দাম কমেছে ইলিশের।অপরদিকে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরণের ফল। ১শ’ টাকার মালটা বিক্রি হচ্ছে ৩শ টাকায়।করোনাকালে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের কথা ভেবে সরকারের প্রতি নিয়মিত বাজার মনিটরিং এর দাবি জানিয়েছেন ভোক্তারা।