১৫৪ রানে এগিয়ে থেকে ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে দৃঢ় অবস্থানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে, দ্বিতীয় ইনিংসে কিছুটা চাপে ক্যারিবিয়রা। ৩ উইকেটে ৪১ রান নিয়ে দিন শেষ করেছে উইন্ডিজ। এ ম্যাচে শন মসলি’র উইকেট নিয়ে চতুর্থ বাংলাদেশি হিসেবে টেস্টে দ্রুত ১০০ উইকেটে নেয়ার কীর্তি গড়লেন মিরাজ। এর আগে, মুশফিক, লিটন ও মেহেদী’র ফিফটিতে প্রথম ইনিংসে ২৯৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। কর্নওয়াল নেন পাঁচ উইকেট।

কাদের করার কথা ছিলো আর করলেন কারা। সেই যাই হোক। ফলোঅন এড়িয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামানোটাই বড় স্বার্থকতা বাংলাদেশের। সপ্তম উইকেটে ১২৬ রানের জুটি গড়ে সে কাজটি করলেন লিটন কুমার দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ।

অথচ তৃতীয় দিনে আশার প্রতিক হয়েছিলেন যে দু’জন। সেই মুশফিক-মিথুনও হতাশ করেছেন বাংলাদেশকে। ১৫ করে ফিরেছেন মিথুন। আর সেট হয়েও মুশফিক নিজের উইকেট অবহেলায় নাকি অবজ্ঞায় হালেন তা তিনিই জানেন। দলের স্কোর তখন ৬ উইকেটে ১৫৫।

ফলোঅন এড়াতে তখনও ষাট রান প্রয়োজন। হাল ধরেন লিটন-মিরাজ। চাপ নিয়ে প্রায় দেড় সেশন ক্যারিবীয় বোলারদের শাসন করেছে এ জুটি। নিজেদের জোড়া ফিফটিতে উইকেট শূন্য রেখেছেন দ্বিতীয় সেসন।

দিনের দ্বিতীয় সেসনের স্বস্তি অস্বস্তিতে রূপ নিতেও সময় নেয়নি। ক্যারিয়ারের সপ্তম ফিফটি করা লিটন ৭১ রানে বিদায়ের পর নাইম খেলতে পেরেছেন মাত্র ৩ বল। শূন্যতে নাইমকে ফিরিয়ে টেস্টে দ্বিতীয়বারের মতো পাঁচ উইকেট তুলে নিলেন রাকিম কর্নওয়াল।

সঙ্গী হারিয়ে পথ ভ্রষ্ট মেহেদীও। গ্যাব্রিয়েল পেসে কাটা পড়েন ৫৭-তে। এরপর অলআউট শুধুই সময়ের অপেক্ষা।

১১৩ রানে এগিয়ে থাকা ক্যারিবিয়রা দ্বিতীয় ইনিংসে ছন্দহীন। বোর্ডে ৩৯ রান তুলতেই নেই তিন উইকেট। দলীয় ১১ রানে উইন্ডিজ অধিনায়ককে ফেরান নাইম হাসান।

ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও কন্ট্রিবিউট মেহেদী মিরাজের। শন মসলিকে ফিরিয়ে চতুর্থ বাংলাদেশি হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ১০০ উইকেট নেয়ার কীর্তি গড়লেন মিরাজ।

তৃতীয় দিনে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে জন ক্যাম্পবেলকে সাজঘরে পাঠান তাইজুল ইসলাম। তাতে কিছুটা বিপর্যস্ত সফরকারীরা। তবে, দিন শেষে ১৫৪ রানের লিড আর ৭ উইকেট নি:সন্দেহে আত্মবিশ্বাসের চূড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।