০৮:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

ডলারের বাড়তি দরে আমদানিতে ১৪ টাকা বেশি পরিশোধ : টান পড়ছে রিজার্ভে

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০২:৩৪:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ মে ২০২২
  • / ১৫১৪ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ডলারের বাজারে চরম অস্থিরতা চলছে। প্রতি ডলারের দাম উঠেছে ১০২ টাকা পর্যন্ত। সরকারি মুল্যের চেয়ে এই দর ১৪ টাকা বেশি। সরকার দাম ধরে রাখার চেষ্টা করলেও, খোলা বাজার নিয়ন্ত্রণের বাইরে। আমদানির ক্ষেত্রে প্রতি ডলারে ব্যবসায়ীদের ১০ থেকে ১৪ টাকা বেশি পরিশোধ করতে হচ্ছে। আর, সরকারি রেট কম থাকায় রেমিটেন্স কমেছে। টান পড়তে শুরু করেছে রিজার্ভে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এভাবে বেশিদিন চললে জাতীয় অর্থনীতিতে বিপর্যয় নেমে আসবে।

দেশে রপ্তানি আয়ের চেয়ে আমদানি ব্যয় সব সময়ই বেশি। যা প্রায় ১৩ শতাংশ। বৈধ পথে আসা রেমিটেন্স দিয়ে, এতোদিন এই ঘটতি মিটিয়েও ধীরে ধীরে ৪৮ বিলিয়ন ডলারের স্মার্ট রিজার্ভ গড়ে তোলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

টাকার বিপরীতে ডলার শক্তিশালী হয়ে ওঠায়, এবং সরকারি রেটের চেয়ে খোলা বাজারের পার্থক্য বাড়ায়, ক্রমেই অস্থির হয়ে ওঠে ডলার বাজার। অবস্থা এতোটাই খারাপ হয় যে, পরিস্থিতি সামাল দিতে, সরকার ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমায়। কিন্তু তাতেও অবস্থার উন্নতি হয়নি। খোলা বাজারে ডলারের দাম বাড়তে বাড়তে একশ ২ টাকা হয়েছে। অথচ অবমূল্যায়নের পরও ডলারের সরকারি দাম ৮৭ টাকা ৩০ পয়সা।

ডলার বাজারের অস্থিরতায়, আমদানি পণ্যের দাম বাড়ার পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভেও টান পড়েছে। অর্থবছরের শেষ ৮ মাসে সরকারকে অন্তত ৭ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ ভেঙ্গে সংকট মোকাবিলা করতে হয়েছে ।

আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য পর্যালোচনা করে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, চলতি ক্যালেন্ডার বছরের শেষে আমদানি ব্যয় ৮০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াবে। বিপরীতে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি ধরলেও, রপ্তানি আয় ৫০ বিলিয়ন হতে পারে। আর রেমিটেন্স থেকে বড় জোর ২০ বিলিয়ন ডলার আসবে। ফলে ১০ বিলিয়ন ডলার ঘাটতি থেকেই যাবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, করোনার পর যুদ্ধের ধাক্কা সামলাতে টালমাটাল অবস্থায় বিশ্ব অর্থনীতি। এই অবস্থায় নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখতে নানা ছল-চাতুরি করবে বিশ্ব মোড়লরা। যা সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করে প্রতিফলন ঘটাতে হবে বৈদেশিক মুদ্রানীতিতে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা বাজারের অস্থিরতার মধ্যে ইতিহাসের সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতি চলছে বাংলাদেশে। তাই ডলারের বাজার নিয়ন্ত্রনের পাশাপাশি আমদানী কমিয়ে দেশীয় উৎপাদন বাড়াতে উদ্যোগী হওয়ার পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ডলারের বাড়তি দরে আমদানিতে ১৪ টাকা বেশি পরিশোধ : টান পড়ছে রিজার্ভে

আপডেট সময় : ০২:৩৪:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ মে ২০২২

ডলারের বাজারে চরম অস্থিরতা চলছে। প্রতি ডলারের দাম উঠেছে ১০২ টাকা পর্যন্ত। সরকারি মুল্যের চেয়ে এই দর ১৪ টাকা বেশি। সরকার দাম ধরে রাখার চেষ্টা করলেও, খোলা বাজার নিয়ন্ত্রণের বাইরে। আমদানির ক্ষেত্রে প্রতি ডলারে ব্যবসায়ীদের ১০ থেকে ১৪ টাকা বেশি পরিশোধ করতে হচ্ছে। আর, সরকারি রেট কম থাকায় রেমিটেন্স কমেছে। টান পড়তে শুরু করেছে রিজার্ভে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এভাবে বেশিদিন চললে জাতীয় অর্থনীতিতে বিপর্যয় নেমে আসবে।

দেশে রপ্তানি আয়ের চেয়ে আমদানি ব্যয় সব সময়ই বেশি। যা প্রায় ১৩ শতাংশ। বৈধ পথে আসা রেমিটেন্স দিয়ে, এতোদিন এই ঘটতি মিটিয়েও ধীরে ধীরে ৪৮ বিলিয়ন ডলারের স্মার্ট রিজার্ভ গড়ে তোলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

টাকার বিপরীতে ডলার শক্তিশালী হয়ে ওঠায়, এবং সরকারি রেটের চেয়ে খোলা বাজারের পার্থক্য বাড়ায়, ক্রমেই অস্থির হয়ে ওঠে ডলার বাজার। অবস্থা এতোটাই খারাপ হয় যে, পরিস্থিতি সামাল দিতে, সরকার ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমায়। কিন্তু তাতেও অবস্থার উন্নতি হয়নি। খোলা বাজারে ডলারের দাম বাড়তে বাড়তে একশ ২ টাকা হয়েছে। অথচ অবমূল্যায়নের পরও ডলারের সরকারি দাম ৮৭ টাকা ৩০ পয়সা।

ডলার বাজারের অস্থিরতায়, আমদানি পণ্যের দাম বাড়ার পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভেও টান পড়েছে। অর্থবছরের শেষ ৮ মাসে সরকারকে অন্তত ৭ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ ভেঙ্গে সংকট মোকাবিলা করতে হয়েছে ।

আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য পর্যালোচনা করে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, চলতি ক্যালেন্ডার বছরের শেষে আমদানি ব্যয় ৮০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াবে। বিপরীতে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি ধরলেও, রপ্তানি আয় ৫০ বিলিয়ন হতে পারে। আর রেমিটেন্স থেকে বড় জোর ২০ বিলিয়ন ডলার আসবে। ফলে ১০ বিলিয়ন ডলার ঘাটতি থেকেই যাবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, করোনার পর যুদ্ধের ধাক্কা সামলাতে টালমাটাল অবস্থায় বিশ্ব অর্থনীতি। এই অবস্থায় নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখতে নানা ছল-চাতুরি করবে বিশ্ব মোড়লরা। যা সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করে প্রতিফলন ঘটাতে হবে বৈদেশিক মুদ্রানীতিতে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা বাজারের অস্থিরতার মধ্যে ইতিহাসের সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতি চলছে বাংলাদেশে। তাই ডলারের বাজার নিয়ন্ত্রনের পাশাপাশি আমদানী কমিয়ে দেশীয় উৎপাদন বাড়াতে উদ্যোগী হওয়ার পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের।