টেক্সাসে ৬ বাংলাদেশীর মরদেহ উদ্ধারের পর পাবনায় স্বজনদের মধ্যে চলছে শোকের মাতম। তাদের কান্নায় আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে উঠছে। নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের খবরে রীতিমত চমকে গেছেন এলাকাবাসীও। নিস্তব্ধ এখন পাবনা শহরের দোহারপাড়া। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও মরদেহ দেশে আনার দাবি স্বজনদের।

পাবনার মেয়ে আফলাতুন্নেসা। দু’ বছর যাবত মেয়ে আইরিন ইসলামের সঙ্গে থাকতেন যুক্তরাষ্ট্রে। ১এপ্রিল নিজ বাড়িতে ফেরার কথা থাকলেও তারিখ পরিবর্তন হয়ে ফেরার কথা ছিলো ৭ এপ্রিল। কিন্তু….সশরীরে আর ফেরা হলো না আলতাফুন্নেসার।

ডিভি পেয়ে স্বামীকে নিয়ে স্বপ্নের দেশ আমেরিকায় পাড়ি জমিয়েছিলেন আফলাতুন্নেসার মেয়ে আইরিন ইসলাম। স্বামী সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলামকে নিয়ে ২৫ বছরের প্রবাসী জীবন তাঁর। ৩সন্তান তানভীর তাওহীদ, ফারহান তৌহিদ ও ফারবিন তৌহিদ। ৬ এপ্রিল আফলাতুন্নেসাসহ বাকী ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করে টেক্সাস পুলিশ। স্বজনদের দাবি, আমলাতান্ত্রিক সব জটিলতা কাটিয়ে, দাফনের জন্য দেশের মাটিই যেন নসীব হয় তাঁদের।

নিহতদের স্বজনদের স্বান্তনা দিতে গিয়ে বাকরুদ্ধ প্রতিবেশিরা। এমন মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্তের দাবি তাদের।

মৃত্যুর আগে আইরিনের দুই ছেলে আত্মহননের নোট রেখে গেছে। সেখানে বাবা, মা, বোন ও নানীকে হত্যার স্বাকীরোক্তি দিয়ে নিজেরা আত্মহত্যা করেছে বলে উল্লেখ আছে।