পরিবেশ অধিদপ্তরের চূড়ান্ত ছাড়পত্র ছাড়াই রাজশাহীতে উদ্বোধন হলো মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ট্রিটমেন্ট প্লান্ট। প্রতিদিন গড়ে প্রায় তিন টন করে ক্ষতিকর মেডিকেল বর্জ্য পরিশোধন করা হবে এখানে। এই সুবিধা নিতে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে দিতে হবে ফি। তবে, ফি নির্ধারণ নিয়ে অখুশি প্রাইভেট ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক মালিক সমিতি। সিটি মেয়র বলেন, নগরীকে স্বাস্থ্যঝুঁকিমুক্ত করতে এটি এক বড় অর্জন।

দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সবচেয়ে বড় সরকারি হাসপাতাল রাজশাহীতেই। এর বাইরেও রয়েছে বড় বড় ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। প্রতিদিন হাজার হাজার রোগীর চিকিৎসা হয় এসব প্রতিষ্ঠানে। ২০০৮ সালের চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়াজাতকরণ বিধিমালা অনুযায়ী নিজ নিজ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নিজস্ব বর্জ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের ব্যবস্থা থাকার কথা। কিন্ত তা নেই। তবে, বেসরকারি সংস্থা প্রিজম বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তায় বৃহস্পতিবার নগরীর সিটি হাট এলাকায় কেন্দ্রীয় ডাম্পিং ইয়ার্ডের পাশে ‘মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ট্রিটমেন্ট প্লান্টের উদ্বোধন করেন মেয়র।

পুরো প্রক্রিয়াটিই পরিচালিত হবে ওই সংস্থাটিরই ব্যবস্থাপনায়। এজন্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে পরিশোধ করতে হবে টাকা। তবে এ ফি অতিরিক্ত হারে ধরা হয়েছে বলে অভিযোগ। এ ধরনের ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপনে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু তা এখনো চূড়ান্ত হয় নি।

তবে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানিয়েছে প্রিজম বাংলাদেশ। আর ভোক্তা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে চড়া হারে ফি নেয়া কথা স্বীকার করেছে তারা। মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনে ২০১৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন ও প্রিজমের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। প্রতিদিন গড়ে প্রায় তিন টন করে ক্ষতিকর মেডিকেল বর্জ্য সংগ্রহের পর তা পরিশোধন করা হবে এখানে।