০৬:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০১ মে ২০২৪

চার স্পটে ডলার ক্রয়-বিক্রয়ে হেরফের

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০২:৪৫:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ১৫১৫ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দেশের বাজারে অন্তত চারটি আলাদা আলাদা দামে বেচাকেনা হচ্ছে ডলার। রপ্তানীকারকরা পাচ্ছেন ৯৯ থেকে ১’শ টাকা, এলসি করতে দিতে হচ্ছে ১০৮ টাকা, প্রণোদনাসহ প্রবাসীরা পাচ্ছেন ১১০ টাকা ৫০ পয়সা। আর খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকা। রপ্তানীকারকরা বলছেন, এতোবড় বৈষম্যের কারণে, হুমকির মুখে পড়তে যাচ্ছে রপ্তানী বাণিজ্য। আর অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এভাবে চলতে থাকলে রপ্তানীকারকরাও ঝুঁকবে হুন্ডির দিকে।এতে অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা ভেঙ্গে পড়বে।

ডলার বাজারের কারসাজি কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। এতে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পাওয়াসহ আমদানী রপ্তানী বাণিজ্যে লেগেছে ভাটার টান।ডলারের দাম ধরে রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নানামুখী পদক্ষেপ নিলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। বরং সংশ্লিষ্টদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরী হচ্ছে ।

সম্প্রতি ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্সের প্রবাহ বাড়াতে ২ টাকা প্রনোদোনাসহ একশো ১০ টাকা ৫০ পয়সা ডলারের দাম ঠিক করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিন্তু রপ্তানীকারকদের বেলায় তা এখনো ৯৯ টাকা। এতোবড় বৈষম্য মেনে নিতে পারছেন না রপ্তানীকারকরা।

বিজিএমইএ বলছে, ৯০ দিনের টাইমফ্রেম বেধে ব্যাক টু ব্যাক এলসির মাধ্যমে পরিচালিত হয় আরএমজি সেক্টর। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে মন্দাভাবের কারণে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পেমেন্ট আসতে দেরি হচ্ছে। এই সুযোগে ফোর্স লোন দিয়ে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ব্যাংকগুলো। যা মরার ওপর খরার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাচার ঠেকাতে প্রবাসী আয়ে প্রনোদনাসহ ডলারের দামও বাড়িয়েছে সরকার। কিন্তু রপ্তানীকারকদের বেলায় সেই নীতির প্রতিফলন নেই। এতে অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা ভেঙ্গে পরার আশংকা তৈরী হয়েছে।

খোলাবাজারের কথা বাদ দিলেও ব্যাংকিং খাতেই অন্তত তিনটি দামে কেনাবেচা হচ্ছে ডলার। যা অরাজকতা হিসেবেই দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

চার স্পটে ডলার ক্রয়-বিক্রয়ে হেরফের

আপডেট সময় : ০২:৪৫:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

দেশের বাজারে অন্তত চারটি আলাদা আলাদা দামে বেচাকেনা হচ্ছে ডলার। রপ্তানীকারকরা পাচ্ছেন ৯৯ থেকে ১’শ টাকা, এলসি করতে দিতে হচ্ছে ১০৮ টাকা, প্রণোদনাসহ প্রবাসীরা পাচ্ছেন ১১০ টাকা ৫০ পয়সা। আর খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকা। রপ্তানীকারকরা বলছেন, এতোবড় বৈষম্যের কারণে, হুমকির মুখে পড়তে যাচ্ছে রপ্তানী বাণিজ্য। আর অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এভাবে চলতে থাকলে রপ্তানীকারকরাও ঝুঁকবে হুন্ডির দিকে।এতে অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা ভেঙ্গে পড়বে।

ডলার বাজারের কারসাজি কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। এতে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পাওয়াসহ আমদানী রপ্তানী বাণিজ্যে লেগেছে ভাটার টান।ডলারের দাম ধরে রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নানামুখী পদক্ষেপ নিলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। বরং সংশ্লিষ্টদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরী হচ্ছে ।

সম্প্রতি ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্সের প্রবাহ বাড়াতে ২ টাকা প্রনোদোনাসহ একশো ১০ টাকা ৫০ পয়সা ডলারের দাম ঠিক করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিন্তু রপ্তানীকারকদের বেলায় তা এখনো ৯৯ টাকা। এতোবড় বৈষম্য মেনে নিতে পারছেন না রপ্তানীকারকরা।

বিজিএমইএ বলছে, ৯০ দিনের টাইমফ্রেম বেধে ব্যাক টু ব্যাক এলসির মাধ্যমে পরিচালিত হয় আরএমজি সেক্টর। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে মন্দাভাবের কারণে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পেমেন্ট আসতে দেরি হচ্ছে। এই সুযোগে ফোর্স লোন দিয়ে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ব্যাংকগুলো। যা মরার ওপর খরার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাচার ঠেকাতে প্রবাসী আয়ে প্রনোদনাসহ ডলারের দামও বাড়িয়েছে সরকার। কিন্তু রপ্তানীকারকদের বেলায় সেই নীতির প্রতিফলন নেই। এতে অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা ভেঙ্গে পরার আশংকা তৈরী হয়েছে।

খোলাবাজারের কথা বাদ দিলেও ব্যাংকিং খাতেই অন্তত তিনটি দামে কেনাবেচা হচ্ছে ডলার। যা অরাজকতা হিসেবেই দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।