০৭:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

চট্টগ্রাম বন্দরে ৭’শ টন রাসায়নিক ধ্বংসে পরিবেশ অধিদপ্তরে কাস্টমসের চিঠি

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০২:১৩:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জুন ২০২২
  • / ১৫৩১ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণের পর, চট্টগ্রাম বন্দরের সেডে ছড়িয়ে থাকা ৭’শ টন রাসায়নিক ধ্বংস করতে পরিবেশ অধিদপ্তরে মতামত চেয়ে চিঠি দিয়েছে কাস্টমস। তাদের দাবি, নিলামে তোলা হলেও আগ্রহ না দেখায়না বিডাররা, ফলে ২০ বছর ধরে বন্দরেই আটকে আছে এসব রাসায়নিক।বিশেষজ্ঞরা বলছেন,লেবাননের বৈরুত বন্দরে বিস্ফোরণের পর–চট্টগ্রাম বন্দরে আটকে থাকা রাসায়নিক রক্ষণাবেক্ষণে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিলেও তা বাস্তবায়ন করেনি বন্দর ও কাস্টমস।

চট্টগ্রাম বন্দরের বর্ধিত অংশ বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ৪ জুন রাতে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড ভর্তি একটি কন্টেইনারে বিস্ফোরণে ভষ্মিভুত হয় পুরো ডিপোটি। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৫০ জনের মৃত্যু ও বহু মানুষ আহত হন।

এই ঘটনার পর নড়ে চড়ে বসে বন্দর ও কাস্টমস। কারণ চট্টগ্রাম বন্দরের পি-সেডসহ বিভিন্ন এলাকায় নানা ধরণের রাসায়নিক ভর্তি কন্টেইনার বছরের পর বছর ধরে আটকে আছে। আমদানী নিষিদ্ধ হওয়ায় অনেক রাসায়নিক নিলামে তোলা সম্ভব হয়নি। ফুটেজ-২ কিছু কিছু নিলামে তুললেও বিডাররা তাতে আগ্রহ দেখায়নি। পরিবেশ নষ্টের আশংকায় সাধারণ প্রক্রিয়ায় ধ্বংস করা সম্ভব হচ্ছে না। উপায়ন্তর না পেয়ে পরিবেশ অধিদফতরের স্মরণাপন্ন হয়েছে কাস্টমস।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৈরুত বন্দরে বিস্ফোরনের পর চট্টগ্রাম বন্দরের অনুরোধে রাসায়নিক রাখা সেডগুলো পরীক্ষা নিরিক্ষা করে তারা। তাপ নিয়ন্ত্রিত সেড তৈরী ছাড়াও রাসায়নিকের কন্টেইনার সাধারণ কন্টেইনার থেকে আলাদা রাখার সুপারিশ করে তারা।

পরিবেশ অধিদফতর বলছে, শুধু বন্দরই নয়, আমদানী রপ্তানী কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ২১ টি অফডকে রাসায়নিক পরিবহণ, সংরক্ষণ ও জাহাজীকরণ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা প্রণয়ন করছেন তারা।

কাস্টমসের তালিকা অনুযায়ী বন্দরের বিভিন্ন সেডে ছড়িয়ে থাকা রাসায়নিকের মধ্যে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড, ডাইথোনাইট, সালফক্সিলেট, হাইড্রোক্লোরাইড, নাইট্রো গ্লু সলিউশন, কস্টিক সোডাসহ অন্তত ২৩ ধরণের রাসায়নিকের রয়েছে। এসব রাসায়নিক থেকে ছোট-খাটো বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বন্দরের ভেতরেও ঘটেছে একাধিকবার।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

চট্টগ্রাম বন্দরে ৭’শ টন রাসায়নিক ধ্বংসে পরিবেশ অধিদপ্তরে কাস্টমসের চিঠি

আপডেট সময় : ০২:১৩:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জুন ২০২২

সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণের পর, চট্টগ্রাম বন্দরের সেডে ছড়িয়ে থাকা ৭’শ টন রাসায়নিক ধ্বংস করতে পরিবেশ অধিদপ্তরে মতামত চেয়ে চিঠি দিয়েছে কাস্টমস। তাদের দাবি, নিলামে তোলা হলেও আগ্রহ না দেখায়না বিডাররা, ফলে ২০ বছর ধরে বন্দরেই আটকে আছে এসব রাসায়নিক।বিশেষজ্ঞরা বলছেন,লেবাননের বৈরুত বন্দরে বিস্ফোরণের পর–চট্টগ্রাম বন্দরে আটকে থাকা রাসায়নিক রক্ষণাবেক্ষণে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিলেও তা বাস্তবায়ন করেনি বন্দর ও কাস্টমস।

চট্টগ্রাম বন্দরের বর্ধিত অংশ বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ৪ জুন রাতে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড ভর্তি একটি কন্টেইনারে বিস্ফোরণে ভষ্মিভুত হয় পুরো ডিপোটি। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৫০ জনের মৃত্যু ও বহু মানুষ আহত হন।

এই ঘটনার পর নড়ে চড়ে বসে বন্দর ও কাস্টমস। কারণ চট্টগ্রাম বন্দরের পি-সেডসহ বিভিন্ন এলাকায় নানা ধরণের রাসায়নিক ভর্তি কন্টেইনার বছরের পর বছর ধরে আটকে আছে। আমদানী নিষিদ্ধ হওয়ায় অনেক রাসায়নিক নিলামে তোলা সম্ভব হয়নি। ফুটেজ-২ কিছু কিছু নিলামে তুললেও বিডাররা তাতে আগ্রহ দেখায়নি। পরিবেশ নষ্টের আশংকায় সাধারণ প্রক্রিয়ায় ধ্বংস করা সম্ভব হচ্ছে না। উপায়ন্তর না পেয়ে পরিবেশ অধিদফতরের স্মরণাপন্ন হয়েছে কাস্টমস।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৈরুত বন্দরে বিস্ফোরনের পর চট্টগ্রাম বন্দরের অনুরোধে রাসায়নিক রাখা সেডগুলো পরীক্ষা নিরিক্ষা করে তারা। তাপ নিয়ন্ত্রিত সেড তৈরী ছাড়াও রাসায়নিকের কন্টেইনার সাধারণ কন্টেইনার থেকে আলাদা রাখার সুপারিশ করে তারা।

পরিবেশ অধিদফতর বলছে, শুধু বন্দরই নয়, আমদানী রপ্তানী কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ২১ টি অফডকে রাসায়নিক পরিবহণ, সংরক্ষণ ও জাহাজীকরণ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা প্রণয়ন করছেন তারা।

কাস্টমসের তালিকা অনুযায়ী বন্দরের বিভিন্ন সেডে ছড়িয়ে থাকা রাসায়নিকের মধ্যে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড, ডাইথোনাইট, সালফক্সিলেট, হাইড্রোক্লোরাইড, নাইট্রো গ্লু সলিউশন, কস্টিক সোডাসহ অন্তত ২৩ ধরণের রাসায়নিকের রয়েছে। এসব রাসায়নিক থেকে ছোট-খাটো বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বন্দরের ভেতরেও ঘটেছে একাধিকবার।