০৫:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

চট্টগ্রাম বন্দরে ৩০ জুন ২ শতাধিক কন্টেইনার নিলামে তুলছে কাস্টমস

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৬:১৮:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুন ২০২০
  • / ১৫১২ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জট নিরসনে চট্টগ্রাম বন্দরের অনুরোধে আগামী ৩০ জুন ২ শতাধিক কন্টেইনার নিলামে তুলছে কাস্টম হাউস। বন্দর ও কাস্টমসের ইতিহাসে সবচে’ বড়– প্রায় শত কোটি টাকার এই চালান নিলামে উঠবে। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বলছে, নিয়ম অনুযায়ী এক মাসের জায়গায় ছয় মাস সময় দেয়ার পরও আমদানীকারকরা পণ্য খালাস করছে না। তাই বাধ্য হয়েই এসব পণ্য নিলাম তুলতে হচ্ছে। তবে আমদানীকারক ও ব্যবসায়ী নেতারা করোনাকাল বিবেচনায় আরো কিছু সময় দেবার দাবি জানিয়েছেন।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানী করা নামি-দমি ব্রান্ডের বিলাসবহুল এসব গাড়ি পড়ে আছে চট্টগ্রাম বন্দরের কারশেডে। মাসের পর মাস ধরে অপেক্ষার পর আমদানীকারকদের খুঁজে না পেয়ে এমন ৩৮২ ইউনিট গাড়ি নিলামযোগ্য ঘোষণা করেছে কাস্টমস। ফুটেজ-১

এর বাইরে কাস্টমসের নিলাম শাখায় জমে আছে ৭ হাজার ৭শ টিউস কন্টেইনার ও ৫ হাজার ৪শ টন খোলা পণ্য। এর মধ্যে মাত্র ২ শোটি কন্টেইনার আর ৪ টি বিলাশবহুল গাড়ি নিলামে তোলার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে কাস্টমস। মামলাসহ আইনগত জটিলতা নিরসন না হওয়ায় নিলামযোগ্য বাকি পণ্যগুলো এবারো নিলামে তোলা সম্ভব হচ্ছে। যে ২ শো টি কন্টেইনার নিলামে যাচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে, স্টীল পণ্য, গার্মেন্টস এক্সোসরিজ, ফেব্রিকস, ইলেক্ট্রনিক্স পণ্যসহ পচনশীল পণ্যও।

বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, আমদানীকারকের কোন পণ্য জাহাজ থেকে নামার পর ৩০ দিনের মধ্যে খালাস না করলে তা নিলামে তোলার বিধান রয়েছে। বন্দরের পক্ষ থেকে নিলামযোগ্য পণ্যগুলো নিয়মিত হস্তান্তর করা হলেও আইনগত জটিলতায় নিলামের ধারা অব্যহত রাখতে পারে না কাস্টম হাউজ। বন্দরের ইয়ার্ডে মাঝে মধ্যে জট সৃষ্টি হওয়ার এটিও একটি কারণ।

আর আমদানীকারক ও ব্যাবসায়ী নেতারা বলছেন, করোনার কারনে কলকারখানাগুলো বন্ধ থাকায় ব্যবসা বাণিজ্যে ভাটা পড়েছে। ব্যাংক লোন পেতেও বেগ পেতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। এই বাস্তবতায় নতুন আসা পণ্যগুলো নিলামের বাইরে রাখার আহবান তাদের।
সিংক: গিয়াস উদ্দিন,আমদানিকারক এবং সাবেক সভাপতি, জুনিয়র চেম্বার।

নিলামযোগ্য এসব পণ্যের মধ্যে ৬ মাস থেকে ৬ বছরের পুরনো পণ্যও রয়েছে। জটিল আইনি প্রক্রিয়ার কারণে নিলামের এই ধারা ধরে রাখতে পারে না কাস্টমস। তাই নিলামে ওঠা পণ্যের বড় অংশটিই ব্যবহার উপযোগী থাকে না। তাই কাঙ্খিত দামও আসে না নিলামে। এছাড়া সিন্ডিকেটের তৎপরতায় সঠিক মূল্য পাবে কিনা তা নিয়েও সংশয় রয়েছে বলে আশংকা করছেন ব্যবসায়ীরা।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

চট্টগ্রাম বন্দরে ৩০ জুন ২ শতাধিক কন্টেইনার নিলামে তুলছে কাস্টমস

আপডেট সময় : ০৬:১৮:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুন ২০২০

জট নিরসনে চট্টগ্রাম বন্দরের অনুরোধে আগামী ৩০ জুন ২ শতাধিক কন্টেইনার নিলামে তুলছে কাস্টম হাউস। বন্দর ও কাস্টমসের ইতিহাসে সবচে’ বড়– প্রায় শত কোটি টাকার এই চালান নিলামে উঠবে। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বলছে, নিয়ম অনুযায়ী এক মাসের জায়গায় ছয় মাস সময় দেয়ার পরও আমদানীকারকরা পণ্য খালাস করছে না। তাই বাধ্য হয়েই এসব পণ্য নিলাম তুলতে হচ্ছে। তবে আমদানীকারক ও ব্যবসায়ী নেতারা করোনাকাল বিবেচনায় আরো কিছু সময় দেবার দাবি জানিয়েছেন।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানী করা নামি-দমি ব্রান্ডের বিলাসবহুল এসব গাড়ি পড়ে আছে চট্টগ্রাম বন্দরের কারশেডে। মাসের পর মাস ধরে অপেক্ষার পর আমদানীকারকদের খুঁজে না পেয়ে এমন ৩৮২ ইউনিট গাড়ি নিলামযোগ্য ঘোষণা করেছে কাস্টমস। ফুটেজ-১

এর বাইরে কাস্টমসের নিলাম শাখায় জমে আছে ৭ হাজার ৭শ টিউস কন্টেইনার ও ৫ হাজার ৪শ টন খোলা পণ্য। এর মধ্যে মাত্র ২ শোটি কন্টেইনার আর ৪ টি বিলাশবহুল গাড়ি নিলামে তোলার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে কাস্টমস। মামলাসহ আইনগত জটিলতা নিরসন না হওয়ায় নিলামযোগ্য বাকি পণ্যগুলো এবারো নিলামে তোলা সম্ভব হচ্ছে। যে ২ শো টি কন্টেইনার নিলামে যাচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে, স্টীল পণ্য, গার্মেন্টস এক্সোসরিজ, ফেব্রিকস, ইলেক্ট্রনিক্স পণ্যসহ পচনশীল পণ্যও।

বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, আমদানীকারকের কোন পণ্য জাহাজ থেকে নামার পর ৩০ দিনের মধ্যে খালাস না করলে তা নিলামে তোলার বিধান রয়েছে। বন্দরের পক্ষ থেকে নিলামযোগ্য পণ্যগুলো নিয়মিত হস্তান্তর করা হলেও আইনগত জটিলতায় নিলামের ধারা অব্যহত রাখতে পারে না কাস্টম হাউজ। বন্দরের ইয়ার্ডে মাঝে মধ্যে জট সৃষ্টি হওয়ার এটিও একটি কারণ।

আর আমদানীকারক ও ব্যাবসায়ী নেতারা বলছেন, করোনার কারনে কলকারখানাগুলো বন্ধ থাকায় ব্যবসা বাণিজ্যে ভাটা পড়েছে। ব্যাংক লোন পেতেও বেগ পেতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। এই বাস্তবতায় নতুন আসা পণ্যগুলো নিলামের বাইরে রাখার আহবান তাদের।
সিংক: গিয়াস উদ্দিন,আমদানিকারক এবং সাবেক সভাপতি, জুনিয়র চেম্বার।

নিলামযোগ্য এসব পণ্যের মধ্যে ৬ মাস থেকে ৬ বছরের পুরনো পণ্যও রয়েছে। জটিল আইনি প্রক্রিয়ার কারণে নিলামের এই ধারা ধরে রাখতে পারে না কাস্টমস। তাই নিলামে ওঠা পণ্যের বড় অংশটিই ব্যবহার উপযোগী থাকে না। তাই কাঙ্খিত দামও আসে না নিলামে। এছাড়া সিন্ডিকেটের তৎপরতায় সঠিক মূল্য পাবে কিনা তা নিয়েও সংশয় রয়েছে বলে আশংকা করছেন ব্যবসায়ীরা।