০৯:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

চট্টগ্রাম বন্দরে অফডক মাশুল ১০ শতাংশ বৃদ্ধিতে বিপাকে ব্যবসায়ীরা

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ১২:৫৭:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০১৯
  • / ১৫৩৭ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অফডক মাশুল ১০ শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত কার্যকরের এক মাস হতে চললেও এখনো লিখিত নির্দেশনা জারী করেনি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। ব্যবহারকারীরা বলছেন, বন্দরের লিখিত নির্দেশনা না আশায় বিদেশী প্রতিষ্ঠানগুলোকে মাশুল বৃদ্ধির ব্যাখ্যা দেয়া যাচ্ছে না। আর ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাপিয়ে দেয়া অতিরিক্ত চার্জ দিতে হিমসিম খাচ্ছেন তারা। এদিকে মাশুল বৃদ্ধির ব্যাপারে অনড় অবস্থানে অফডক মালিকদের সংগঠন বিকডা। সংকট নিরসনে সবপক্ষকে সঙ্গে নিয়ে আজ ঢাকায় বৈঠক ডেকেছে নৌ-পরিবহণ মন্ত্রণালয়।

উর্ধমুখী আমদানী-রপ্তানী নির্বিঘ্ন রাখতে চট্টগ্রাম বন্দরকে ঘিরে গড়ে উঠেছে ১৯ টি বেসরকারী কন্টেইনার ডিপো বা অফডক। তাদের প্রধান কাজ নির্ধারিত মাশুলের বিনিময়ে রপ্তানী মুখী কন্টেইনার জাহাজীকরণের সঙ্গে আমদানীকারককে পণ্য তার গুদামে পৌছে দেয়া। সাম্প্রতি বন্দর কর্তৃপক্ষের মৌখিক অনুমতি নিয়ে সবগুলো ক্যাটাগরিতে ১০ শতাংশ মাশুল বৃদ্ধি করেছে অফডক কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বিষয়টি লিখিত না হওয়ায় বেঁধেছে বিপত্তি।

অফডক মালিকদের সংগঠন বিকডা বলছে, নানা খাতে ব্যায় বৃদ্ধির কারণে মাশুল বৃদ্ধির বিকল্প নেই তাদের কাছে। বিষয়টির যৌক্তিকতা বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত দিয়েছে বন্দর। অচিরেই লিখিত নির্দেশনাও জারি হবে বলে প্রত্যাশা সংগঠনটির।

আর বেসরকারী কন্টেইনার ডিপোর সবচেয়ে বড় গ্রাহক বিজিএমইএ বলছে, অপারেশনে আধুনিক যন্ত্রাংশের সংযোজন না করায় খরচ বাড়ছে অফডক কর্তৃপক্ষের, কিন্তু তার দায় তারা আমদানী-রপ্তানীকারকদের ওপর চাপাতে চাচ্ছে। যা সম্পুর্ণ অনৈতিক বলেও দাবি করেন বিজিএমইএর এই নেতা।

গেল মাসের ২২ তারিখে বন্দর কর্তৃপক্ষের এক বৈঠকের পর থেকে এই অতিরিক্ত চার্জ আদায় শুরু করেছে বিকডা। আর শুরু থেকেই বিকডার এই সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করছে বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, চট্টগ্রাম চেম্বার, ফ্রেইট ফরোয়ার্ডাসসহ ব্যবসায়ী ও বন্দর ব্যবহারকারীদের সংগঠনগুলো। অবশেষে বিষয়টির সমাধানে এগিয়ে এসেছে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

চট্টগ্রাম বন্দরে অফডক মাশুল ১০ শতাংশ বৃদ্ধিতে বিপাকে ব্যবসায়ীরা

আপডেট সময় : ১২:৫৭:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০১৯

অফডক মাশুল ১০ শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত কার্যকরের এক মাস হতে চললেও এখনো লিখিত নির্দেশনা জারী করেনি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। ব্যবহারকারীরা বলছেন, বন্দরের লিখিত নির্দেশনা না আশায় বিদেশী প্রতিষ্ঠানগুলোকে মাশুল বৃদ্ধির ব্যাখ্যা দেয়া যাচ্ছে না। আর ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাপিয়ে দেয়া অতিরিক্ত চার্জ দিতে হিমসিম খাচ্ছেন তারা। এদিকে মাশুল বৃদ্ধির ব্যাপারে অনড় অবস্থানে অফডক মালিকদের সংগঠন বিকডা। সংকট নিরসনে সবপক্ষকে সঙ্গে নিয়ে আজ ঢাকায় বৈঠক ডেকেছে নৌ-পরিবহণ মন্ত্রণালয়।

উর্ধমুখী আমদানী-রপ্তানী নির্বিঘ্ন রাখতে চট্টগ্রাম বন্দরকে ঘিরে গড়ে উঠেছে ১৯ টি বেসরকারী কন্টেইনার ডিপো বা অফডক। তাদের প্রধান কাজ নির্ধারিত মাশুলের বিনিময়ে রপ্তানী মুখী কন্টেইনার জাহাজীকরণের সঙ্গে আমদানীকারককে পণ্য তার গুদামে পৌছে দেয়া। সাম্প্রতি বন্দর কর্তৃপক্ষের মৌখিক অনুমতি নিয়ে সবগুলো ক্যাটাগরিতে ১০ শতাংশ মাশুল বৃদ্ধি করেছে অফডক কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বিষয়টি লিখিত না হওয়ায় বেঁধেছে বিপত্তি।

অফডক মালিকদের সংগঠন বিকডা বলছে, নানা খাতে ব্যায় বৃদ্ধির কারণে মাশুল বৃদ্ধির বিকল্প নেই তাদের কাছে। বিষয়টির যৌক্তিকতা বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত দিয়েছে বন্দর। অচিরেই লিখিত নির্দেশনাও জারি হবে বলে প্রত্যাশা সংগঠনটির।

আর বেসরকারী কন্টেইনার ডিপোর সবচেয়ে বড় গ্রাহক বিজিএমইএ বলছে, অপারেশনে আধুনিক যন্ত্রাংশের সংযোজন না করায় খরচ বাড়ছে অফডক কর্তৃপক্ষের, কিন্তু তার দায় তারা আমদানী-রপ্তানীকারকদের ওপর চাপাতে চাচ্ছে। যা সম্পুর্ণ অনৈতিক বলেও দাবি করেন বিজিএমইএর এই নেতা।

গেল মাসের ২২ তারিখে বন্দর কর্তৃপক্ষের এক বৈঠকের পর থেকে এই অতিরিক্ত চার্জ আদায় শুরু করেছে বিকডা। আর শুরু থেকেই বিকডার এই সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করছে বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, চট্টগ্রাম চেম্বার, ফ্রেইট ফরোয়ার্ডাসসহ ব্যবসায়ী ও বন্দর ব্যবহারকারীদের সংগঠনগুলো। অবশেষে বিষয়টির সমাধানে এগিয়ে এসেছে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়।