চট্টগ্রামে কোরবানীর পশুর চামড়া ক্রয়ে আগ্রহ নেই ট্যানারী মালিকদের
- আপডেট সময় : ০২:০৭:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই ২০২১
- / ১৫০৬ বার পড়া হয়েছে
করোনার কারণে গেল বছরের চেয়ে এবার অন্তত ২০ শতাংশ কোরবানী কম হবে। তারপরও এই ঈদে ৩ থেকে সাড়ে ৩ লাখ পশুর চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে চট্টগ্রামের চামড়া ব্যবসায়ী ও আড়ৎদার সমিতি। কিন্তু ট্যানারী মালিকদের অনাগ্রহে বিপুল পরিমাণ চামড়া সংগ্রহ নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন তারা। আর ট্যানারী মালিকরা বলছেন, গেল বছরের ৪০ শতাংশ চামড়া এখনো স্টকলক থাকায় এবার অন্যান্যবারের মতো ব্যাপকভাবে চামড়া কেনার আগ্রহ নেই তাদেরও।
গেল দুই বছর ধরে কোরবানীর পশুর চামড়া এভাবেই নষ্ট হয় চট্টগ্রামে। ঈদের পরদিন রাস্তার মোড়ে মোড়ে মৌসুমী ও ফরিয়াদের ফেলে যাওয়া বিপুল পরিমাণ চামড়া ডাম্পিং করে সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা। আড়ৎদারদের দাবি ট্যানারী মালিকরা বকেয়া টাকা না দেয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
এবারের কোরবানীর ঈদেও শুধু চট্টগ্রামেই সাড়ে তিন লাখ চামড়া উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে প্রাণীসম্পদ অধিদফতর। কিন্তু বিপুল পরিমান এই চামড়া সংগ্রহে অনিশ্চয়তা কাটেনি এখনো।
আর ট্যানারী মালিকরা বলছেন, মুলতো রপ্তানীর ওপর নির্ভর করেই বাংলাদেশের চামড়া শিল্পের বিকাশ। কিন্তু করোনার কারনে টানা দেড় বছর ধরে মুখ থুবড়ে পড়েছে বিশ্ববাজার। তাই গেলবারের অধিকাংশ চামড়াই এখনো অবিক্রিত পড়ে আছে ট্যানারীগুলোতে। এই বাস্তবতায় অনেক ট্যানারীই চামড়া কিনতে আগ্রহী নয় এবার।
আর চামড়া শিল্প বিশ্লেষকরা বলছেন, উৎপাদনকারীর কাছ থেকে একটি চামড়া ট্যানারী পর্যন্ত পৌছতে অন্তত ৫ টি হাত বদল হয়। এখানে শৃঙ্খলা ফেরাতে না পারলে চামড়ার বাজারে স্থীরতা ফেরানো কঠিন হবে।
ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি মাদ্রাসা ও এতিমখানাসহ বিভিন্ন ধরণের সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে অন্তত ১০ শতাংশ চামড়া লবণজাত করা হতো অন্যান্য বছর। কিন্তু করোনার কারনে সেই প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় এবার আড়ৎদারদের ওপর চাপ বাড়বে। তাই এখন থেকেই চামড়া রক্ষনাবেক্ষণের পরিকল্পনা না নিলে এবারো নষ্ট হবে জাতীয় সম্পদ; এমনটাই মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।