ঢাকার পর এবার চট্টগ্রামেও উদ্ধার হয়েছে নেশার জগতে সবচেয়ে প্রভাবশালী মাদক ক্রিস্টালম্যাথ বা আইস। যা ইয়াবার চেয়ে অন্তত ৯৫ গুণ বেশী শক্তিশালী ও ক্ষতিকর। অষ্ট্রেলিয়া, কোরিয়া, চায়না, মালোয়েশিয়ার মতো উন্নত দেশগুলোতে এতদিন রাজত্ব করলেও ক্রিস্টালম্যাথের নতুন গন্তব্য এখন বাংলাদেশ। যার প্রধান রুট মিয়ানমার ও মালয়েশিয়া। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর বলছে, ভয়ঙ্কর এই আইসের বিস্তার এখনই থামাতে না পারলে বিপর্যয় ঘটবে বাংলাদেশের। আর নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, উৎপাদক দেশগুলোর সঙ্গে কুটনৈতিক তৎপরতা না বাড়াতে পারলে মাদকের আগ্রাসন বন্ধ করা সম্ভব হবে না।

গেল প্রায় এক দশক ধরে বাংলাদেশের নেশার জগতে একছত্র আধিপত্য ধরে রেখেছে ছোট্ট গোলাপী রংয়ের ইয়াবা ট্যাবলেট। প্রশাসনের তৎপরতা আর সবমহলে অতি পরিচিত হয়ে ওঠায় ইয়াবা পরিবহণ এখন কঠিন হয়ে পড়েছে অনেকটাই। তাই গেল দুই বছর ধরেই নতুন মাদকের আবির্ভাব হওয়ার আশংকা করছে মাদকদ্রব্য সংশ্লিষ্টরা। আর নতুন এই মাদকের শীর্ষে রয়েছে ক্রিস্টালম্যাথ বা আইস। সাম্প্রতি ঢাকার পর চট্টগ্রামের যার অস্তিত্ব পেয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।

১০০ মিলিগ্রাম একটি ইয়াবা ট্যাবলেটে নেশার জন্য সর্বোচ্চ ৫ মিলিগ্রাম মিথাইলাম ভিটামিন ব্যবহার করা হয়। আর সমপরিমান ক্রিস্টালম্যাথে মিথাইলাম ভিটামিনের পরিমান থাকে ৯০ শতাংশের কাছাকাছি। তাই ইয়াবার চেয়ে বহুগুনে শক্তিশালী এই নেশাজাত দ্রব্যটির ব্যাপারে উদ্বিগ্ন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরও।

বর্তমানে উন্নত দেশগুলোতে অভিযাত এই মাদকের প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশী। তাই দেশের ভেতরে মাদকের প্রাদুর্ভাব রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্রিয়তার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যায়েও উৎপাদক দেশগুলোর সঙ্গে কুটনৈতিক তৎপরতা বাড়াতে না পারলে মাদকের বিস্তার ঠেকানো সম্ভব হবে না বলে মনে করেন এই নিরাপত্ত্বা বিশ্লেষক।

গেল ২৫ ফেব্রুয়ারি নগরীর খুলশি থেকে ১৪০ গ্রাম ক্রিস্টালম্যাথসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে র্যা ব। তাদেরই একজন বাঁশখালীর ছনুয়া শফিউল। GFX-1 ২০১৯ সালের শেষে আফ্রিকার মোজাম্বিক থেকে দেশে ফেরেন তিনি। ওই বছরের নভেম্বরে ঢাকায় প্রথম ক্রিস্টালম্যাথের সন্ধান পায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ধারনা করা হয় শফিউলের হাত ধরেই ভয়ঙ্কর এই মাদকের প্রবেশ ঘটেছে বাংলাদেশে