০২:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ০১ মে ২০২৪

কুড়িগ্রাম, জামালপুর ও সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ১২:০৮:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জুলাই ২০২০
  • / ১৫১১ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কুড়িগ্রাম, জামালপুর ও সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে লাখো মানুষ। এদিকে, যমুনার পানি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায়, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, পাবনা ও মাদারীপুরে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ ভাঙন।

কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি সামান্য কমলেও ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি এখনও বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে । ঘরবাড়ী থেকে পানি নেমে না যাওয়ায় দুর্ভোগ কমেনি প্রায় দেড় লাখ বানভাসী মানুষের। সরকারিভাবে ত্রাণ তৎপরতা শুরু হলেও অনেকের ভাগ্যে তা জুটছে না । জেলার ৯ উপজেলার ৫০ ইউনিয়নের বন্যা কবলিত এলাকার রাস্তাঘাট তলিয়ে থাকায় বিচ্ছিন্ন রয়েছে এসব এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি ৬৪ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে ৫৩ সেন্টিমিটার এবং ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে ৪৩ সেন্টিমিটার বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে।

সিরাজগঞ্জে নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার নদী অববাহিকার ৫টি উপজেলার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। অনেক এলাকায় শুরু হয়েছে নদী ভাঙন।গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষাবাঁধ পয়েন্টে আরো ৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে সকাল ৬ টায় বিপদসীমার ৪৮ সেন্টিমিটার এবং কাজিপুর পয়েন্টে ১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোফাজ্জল হোসেন জানান, সকালে যমুনা নদীর পানি নগরবাড়ি পয়েন্টে বিপদসীমার ৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর পদ্মা নদীর পানি পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে বিপদ সীমার ২ দশমিক ৫৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে বইছে।

গত ২৪ ঘন্টায় বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে যমুনার পানি ১ সেন্টিমিটার কমে সকালে বিপদসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকায় জেলায় ৬ টি উপজেলার ৪২ টি ইউনিয়নের ৩১২ গ্রামের ও ৫টি পৌরসভার ৩ লাখ ৮ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যার পানিতে ডুবে ও সাপের কামড়ে এখন পর্যন্ত ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

অতিবৃষ্টি আর উজানের ঢলে গত ২৪ ঘন্টায় টাঙ্গাইলের সকল নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে যমুনা নদীর পানি টাঙ্গাইল অংশে বিপদ সীমার ৪৭ সে.মি, ঝিনাই নদীর পানি ৭৬ সে.মি ও ধলেশ্বরী নদীর পানি বিপদসীমার ৪৫ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে, মাদারীপুরের শিবচরের পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। হঠাৎ করে অস্বাভাবিকভাবে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এরই মধ্যে নতুন করে শিবচরের ৩ ইউনিয়নের অন্তত কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে শত শত মানুষ। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে বন্দরখোলা ইউনিয়নের পদ্মা নদীর পাশের একমাত্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়, স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্স, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, হাট-বাজারসহ বহু স্থাপনা।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

কুড়িগ্রাম, জামালপুর ও সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি

আপডেট সময় : ১২:০৮:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জুলাই ২০২০

কুড়িগ্রাম, জামালপুর ও সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে লাখো মানুষ। এদিকে, যমুনার পানি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায়, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, পাবনা ও মাদারীপুরে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ ভাঙন।

কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি সামান্য কমলেও ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি এখনও বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে । ঘরবাড়ী থেকে পানি নেমে না যাওয়ায় দুর্ভোগ কমেনি প্রায় দেড় লাখ বানভাসী মানুষের। সরকারিভাবে ত্রাণ তৎপরতা শুরু হলেও অনেকের ভাগ্যে তা জুটছে না । জেলার ৯ উপজেলার ৫০ ইউনিয়নের বন্যা কবলিত এলাকার রাস্তাঘাট তলিয়ে থাকায় বিচ্ছিন্ন রয়েছে এসব এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি ৬৪ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে ৫৩ সেন্টিমিটার এবং ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে ৪৩ সেন্টিমিটার বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে।

সিরাজগঞ্জে নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার নদী অববাহিকার ৫টি উপজেলার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। অনেক এলাকায় শুরু হয়েছে নদী ভাঙন।গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষাবাঁধ পয়েন্টে আরো ৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে সকাল ৬ টায় বিপদসীমার ৪৮ সেন্টিমিটার এবং কাজিপুর পয়েন্টে ১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোফাজ্জল হোসেন জানান, সকালে যমুনা নদীর পানি নগরবাড়ি পয়েন্টে বিপদসীমার ৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর পদ্মা নদীর পানি পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে বিপদ সীমার ২ দশমিক ৫৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে বইছে।

গত ২৪ ঘন্টায় বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে যমুনার পানি ১ সেন্টিমিটার কমে সকালে বিপদসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকায় জেলায় ৬ টি উপজেলার ৪২ টি ইউনিয়নের ৩১২ গ্রামের ও ৫টি পৌরসভার ৩ লাখ ৮ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যার পানিতে ডুবে ও সাপের কামড়ে এখন পর্যন্ত ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

অতিবৃষ্টি আর উজানের ঢলে গত ২৪ ঘন্টায় টাঙ্গাইলের সকল নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে যমুনা নদীর পানি টাঙ্গাইল অংশে বিপদ সীমার ৪৭ সে.মি, ঝিনাই নদীর পানি ৭৬ সে.মি ও ধলেশ্বরী নদীর পানি বিপদসীমার ৪৫ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে, মাদারীপুরের শিবচরের পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। হঠাৎ করে অস্বাভাবিকভাবে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এরই মধ্যে নতুন করে শিবচরের ৩ ইউনিয়নের অন্তত কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে শত শত মানুষ। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে বন্দরখোলা ইউনিয়নের পদ্মা নদীর পাশের একমাত্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়, স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্স, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, হাট-বাজারসহ বহু স্থাপনা।