০৯:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪

কারাগারে থেকেও উদোর পিন্ডি ভুদোড় ঘাড়ে চাপাচ্ছেন পীরজাদা সফিউল্লাহ আল মুনির

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০১:৫৮:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ অক্টোবর ২০২০
  • / ১৫৩০ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কারাগারে থেকেও উদোর পিন্ডি ভুদোড় ঘাড়ে চাপাচ্ছেন, দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে জাতীয় পার্টি থেকে বহিস্কৃত প্রেসিডিয়াম সদস্য পীরজাদা সফিউল্লাহ আল মুনির। এমন অভিযোগ, মুনিরের প্রতারনায় ক্ষতিগ্রস্ত হর্স অ্যাণ্ড হর্স রেস্টুরেন্টের মালিক মেহেরীন সারা মনসুরের বাবা, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুরের। জানতে চাওয়া হলে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদ দেশের শত্রু, সব দলের উচিত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া। তবে এ বিষয়ে অনুসন্ধানি প্রতিবেদন তৈরী সময় এসএ টিভিকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন মুনিরে ইনডেক্স গ্রুপের এক্সিকিউটিভ অ্যাকাউন্টস সুব্রত উইলিয়াম রোজারিও।

বহু কাজের কাজী পীরজাদা সফিউল্লাহ আল মুনির। তিনি ২০০৮ সালে পর্ন সিডিসহ পুলিশের হাতে আটক হয়েছিলেন । জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর ব্যবসায়ী পরিচয়ের পাশাপাশি কৌশলে বনে যান ক্রীড়া সংগঠক। অভিযোগ রয়েছে ক্রীড়া সংগঠকের আড়ালে বহুমাত্রিক প্রতারণা করে অল্প সময়ের ব্যবধানে সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলেন মুনির।

সবশেষ গুলশানের হর্স অ্যাণ্ড হর্স রেস্টুরেন্ট থেকে মাদক, অবৈধ বিদেশী মদ ও বিয়ার উদ্ধারে ঘটনায় আবারো আলোচনায় আসেন মুনির। যদিও রেস্টুরেন্টের মালিক মেহেরীন সারা মনসুর। তবুও ওয়ান বিয়ার নামে মুনিরের মালিকাধীন প্রতিষ্ঠানকে একই ঠিকানায় বারের লাইসেন্স দেয় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর। অভিযান শেষে বার মালিক মুনীরের বিরুদ্ধে মামলা না করে রেস্টুরেন্টর মালিককে করা হয় আসামি।এ ঘটনায় মুঠোফোনে এসএ টিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মেহেরীনের বাবা বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুরের অভিযোগ মুনিরের ব্যবসা, তার নামে লাইসেন্স, সে কিভাবে মামলা থেকে বাদ পড়ে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রতারনা ও দুর্নীতির কাজে মুনির তার প্রতিষ্ঠিত ইনডেক্স গ্রুপটিকে ব্যবহার করেন। এমন অভিযোগের উত্তর খুঁজতে গুলশানের হাবিব সুপার মার্কেটের চতুর্থ ও ৬ষ্ঠ তলায় থাকা ইনডেক্স এর অফিসে যায় এসএ টিভি টিম। প্রত্যক্ষ দেখা যায় দুটি ফ্লোরেই নেই কোন কর্মকর্তা ও কর্মচারি। যোগাযোগ করা হয় ইনডেক্স এর অ্যাকাউন্টস এক্সিকিউটিভ সুব্রত উইলিয়াম রোজারিও-র সঙ্গে। এসময় এসএ টিভিকে ম্যানেজ করতে আলাদা দেখা করতে চান তিনি।

প্রতারক মনিরের রাজনীতির দুবৃত্তায়ন প্রসঙ্গে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীরা রাজনীতিকে পুঁজি করে রক্তচোষা দানবে পরিনত হয়েছে। এই অশুভ গোষ্ঠিকে রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করতে রাজনৈতিক নেতৃত্বকেই দায়িত্ব নিতে হবে।

মুনিরের বিরুদ্ধে এতসব অভিযোগের পর ২৩ সেপ্টেম্বর তাকে দলের সব পদ ও দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয় জাতীয় পার্টি। কেন এই অব্যাহতি সে বিষয়ে জানতে চাইলে উত্তর এড়িয়ে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদ দেশের শত্রু, সব দলের উচিত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া

চেক জালিয়াতির মামলায় বর্তমানে কারাগারে থাকায় এতসব অভিযোগের বিষয়ে শফিউল্লাহ আল মুনিরের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

কারাগারে থেকেও উদোর পিন্ডি ভুদোড় ঘাড়ে চাপাচ্ছেন পীরজাদা সফিউল্লাহ আল মুনির

আপডেট সময় : ০১:৫৮:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ অক্টোবর ২০২০

কারাগারে থেকেও উদোর পিন্ডি ভুদোড় ঘাড়ে চাপাচ্ছেন, দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে জাতীয় পার্টি থেকে বহিস্কৃত প্রেসিডিয়াম সদস্য পীরজাদা সফিউল্লাহ আল মুনির। এমন অভিযোগ, মুনিরের প্রতারনায় ক্ষতিগ্রস্ত হর্স অ্যাণ্ড হর্স রেস্টুরেন্টের মালিক মেহেরীন সারা মনসুরের বাবা, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুরের। জানতে চাওয়া হলে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদ দেশের শত্রু, সব দলের উচিত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া। তবে এ বিষয়ে অনুসন্ধানি প্রতিবেদন তৈরী সময় এসএ টিভিকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন মুনিরে ইনডেক্স গ্রুপের এক্সিকিউটিভ অ্যাকাউন্টস সুব্রত উইলিয়াম রোজারিও।

বহু কাজের কাজী পীরজাদা সফিউল্লাহ আল মুনির। তিনি ২০০৮ সালে পর্ন সিডিসহ পুলিশের হাতে আটক হয়েছিলেন । জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর ব্যবসায়ী পরিচয়ের পাশাপাশি কৌশলে বনে যান ক্রীড়া সংগঠক। অভিযোগ রয়েছে ক্রীড়া সংগঠকের আড়ালে বহুমাত্রিক প্রতারণা করে অল্প সময়ের ব্যবধানে সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলেন মুনির।

সবশেষ গুলশানের হর্স অ্যাণ্ড হর্স রেস্টুরেন্ট থেকে মাদক, অবৈধ বিদেশী মদ ও বিয়ার উদ্ধারে ঘটনায় আবারো আলোচনায় আসেন মুনির। যদিও রেস্টুরেন্টের মালিক মেহেরীন সারা মনসুর। তবুও ওয়ান বিয়ার নামে মুনিরের মালিকাধীন প্রতিষ্ঠানকে একই ঠিকানায় বারের লাইসেন্স দেয় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর। অভিযান শেষে বার মালিক মুনীরের বিরুদ্ধে মামলা না করে রেস্টুরেন্টর মালিককে করা হয় আসামি।এ ঘটনায় মুঠোফোনে এসএ টিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মেহেরীনের বাবা বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুরের অভিযোগ মুনিরের ব্যবসা, তার নামে লাইসেন্স, সে কিভাবে মামলা থেকে বাদ পড়ে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রতারনা ও দুর্নীতির কাজে মুনির তার প্রতিষ্ঠিত ইনডেক্স গ্রুপটিকে ব্যবহার করেন। এমন অভিযোগের উত্তর খুঁজতে গুলশানের হাবিব সুপার মার্কেটের চতুর্থ ও ৬ষ্ঠ তলায় থাকা ইনডেক্স এর অফিসে যায় এসএ টিভি টিম। প্রত্যক্ষ দেখা যায় দুটি ফ্লোরেই নেই কোন কর্মকর্তা ও কর্মচারি। যোগাযোগ করা হয় ইনডেক্স এর অ্যাকাউন্টস এক্সিকিউটিভ সুব্রত উইলিয়াম রোজারিও-র সঙ্গে। এসময় এসএ টিভিকে ম্যানেজ করতে আলাদা দেখা করতে চান তিনি।

প্রতারক মনিরের রাজনীতির দুবৃত্তায়ন প্রসঙ্গে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীরা রাজনীতিকে পুঁজি করে রক্তচোষা দানবে পরিনত হয়েছে। এই অশুভ গোষ্ঠিকে রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করতে রাজনৈতিক নেতৃত্বকেই দায়িত্ব নিতে হবে।

মুনিরের বিরুদ্ধে এতসব অভিযোগের পর ২৩ সেপ্টেম্বর তাকে দলের সব পদ ও দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয় জাতীয় পার্টি। কেন এই অব্যাহতি সে বিষয়ে জানতে চাইলে উত্তর এড়িয়ে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদ দেশের শত্রু, সব দলের উচিত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া

চেক জালিয়াতির মামলায় বর্তমানে কারাগারে থাকায় এতসব অভিযোগের বিষয়ে শফিউল্লাহ আল মুনিরের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।