একের পর এক পুকুর, জলাশয় ও জলাভূমি ভরাট করে নির্মাণ করা হচ্ছে ভবন
- আপডেট সময় : ০৪:৪১:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ মার্চ ২০২০
- / ১৫০৮ বার পড়া হয়েছে
খুলনা অঞ্চলে একের পর এক পুকুর, জলাশয় ও জলাভূমি ভরাট করে নির্মাণ করা হচ্ছে ভবন। দ্রুত নগরায়ন, জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও আবাসন ব্যবস্থার প্রয়োজনে বর্তমানে এ অঞ্চলের অর্ধেকের বেশি জলাশয় ভরাট হয়ে গেছে। অধিকাংশ পুকুরের ওপর নির্মাণ করা হয়েছে বহুতল ভবন। সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে, এভাবে জলাশয় ভরাট করায় পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে
২০১০ সালে খুলনা মহানগরীতে ৩ হাজার ৫৯২টি পুকুর ও জলাশয় থাকলেও বর্তমানে কতটির অস্তিত্ব রয়েছে তা জানা নেই খুলনা সিটি করপোরেশনের। তথ্য বলছে, নগরীর ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ছিল ২০৫টি পুকুর ও ৬৬টি ডোবা । কিন্তু এখন এই ওয়ার্ডে জলাশয়ের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া দায়। নগরবাসীর বলছে, জলাশয় ভরাটের এ মহোৎসব চলছে নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডেই। নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে অধিকাংশ জলাশয় ভরাট করে গড়ে তোলা হচ্ছে আবাসিক প্লট ও অট্টালিকা।
কেসিসির চীফ প্লানিং অফিসার বললেন, লোকবলের অভাব আর খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে নগরীর জলাধার সংরক্ষণ করা সম্ভভ হচ্ছেনা। তবে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের দাবি, জলাধার সংরক্ষণ আইন মেনেই ভবন নির্মানের অনুমতি দিচ্ছেন তারা। আর জলাধার সংরক্ষণ তাদের একার দায়িত্বও নয়। অপরিকল্পিতভাবে খুলনা মহানগরীর পুকুর ও জলাশয় ভরাট হওয়া মহানগরীতে কেবল জলাব্ধতাই সৃষ্টি হচ্ছে না, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর আশঙ্কাজনকভাবে নেমে যাচ্ছে। পরিবেশ রক্ষার দায়িত্বে থাকা পরিবেশ অধিদপ্তর মহানগরীর জলাশয় সংরক্ষণে কখনই কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।খুলনার পরিবেশ রক্ষায় জলাধার সংরক্ষনে সরকারি সংস্থাগুলোর সমন্বিত কার্যক্রমের দাবি নগরবাসীর।