উজানের ঢল আর বৃষ্টিতে আবারো বাড়তে শুরু করেছে দেশের উত্তরাঞ্চলের নদনদীর পানি। পদ্মা, আড়িয়াল খাঁ, যমুনা, করতোয়া নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় ওই এলাকার নিম্নাঞ্চল নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে ধান ও সব্জির ক্ষেত।

৩দিন ধরে হঠাৎ পানি বাড়তে শুরু করেছে পদ্মা নদীতে ও আড়িয়াল খাঁ নদে। ফলে মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী, চরজানাজাত, বন্দরখোলা, মাদবরের চর ও সন্ন্যাসীর চর ইউনিয়নের প্রায় আট হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। মাদারীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য নূর-ই-আলম চৌধুরী বন্যা পরিস্থিতির সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর নিচ্ছেন। পানিবন্দি কোনো পরিবার যেন খাদ্য সহায়তা থেকে বঞ্চিত না হয়, তা নিশ্চিতের নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।

জামালপুরে যমুনা নদীর পানি আজ বেড়েছে। বইছে বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে। ফলে জামালপুরের ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে এলাকার রোপা আমন ক্ষেত তলিয়ে গেছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে।

উজানের ঢলে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সিরাজগঞ্জের দুটি পয়েন্টে আবারও বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি। বাড়তি পানির কারণে যমুনা ও জেলার অভ্যন্তরীণ করতোয়া, ফুলজোর, হুরাসাগর ও ইছামতী নদীর অববাহিকার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।নষ্ট হচ্ছে ক্ষেতের উঠতি সবজি, ভেসে যাচ্ছে পুকুর ও ঘেরের মাছ।

গত কয়েক দিনের বৃষ্টি ও উজানি ঢলে গাইবান্ধায় বন্যা দেখা দিয়েছে। জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ঘাঘট ও করতোয়া নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার পানিতে গোবিন্দগঞ্জ শহরের হাসপাতালসহ বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানি উঠায় গোবিন্দগঞ্জ-দিনাজপুর ভায়া ঘোড়াঘাট আঞ্চলিক মহাসড়কে ঝুকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে।