আন্তর্জাতিক নারী পাচার চক্রের সর্বোচ্চ নজর এখন বাংলাদেশে। এশিয়ার মধ্যে নারীপাচারের পরিসংখ্যানে নেপালের পরই বাংলাদেশের স্থান। পাচারকারীরা বিভিন্ন পথে নারী ও শিশু পাচার করছে। রুট হিসেবে বিমানে কিছু পাচার হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পাচারকারীরা স্থল সীমান্ত এবং নৌপথ বেছে নিচ্ছে।

মানবপাচারে নিত্য নতুন কৌশল ব্যবহার করছে বিভিন্ন চক্র। কখনও ভালো চাকরি, কখনও বিয়ে আবার কখনওবা স্বপ্ন পূরণের লোভ দেখায় পাচারকারীরা। দরিদ্র ব্যক্তি এবং উচ্চাভিলাসী মানসিকতাকে টার্গেড করে তারা।সুরমাকে পাচারের জন্য বিয়ে করে পাচারকারী চক্রের একজন। বিদেশ যাওয়ার প্রস্তুতির সময় চক্রের উদ্দেশ্য টের পান সুরমা।ভৌগোলিক কারণে নারী ও শিশু পাচারের রুট হিসেবে বাংলাদেশকে ব্যবহার করছে আজন্তর্জাতিক পাচার চক্র। তাদের টার্গেট সুন্দরী, নিম্নবিত্ত, উচ্চাভিলাসী এবং অসহায় নারীরা।

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের চার হাজার ২২২ আর মিয়ানমারের সঙ্গে ২৮৮ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম ও উত্তর সীমান্ত দিয়েই পাচার হয় বেশি। যশোরের বেনাপোল, সাতক্ষীরার শাকারা, ভোমরা, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ, কক্সবাজার, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, রংপুর, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ছয়টিসহ অন্তত ১৮টি রুট দিয়ে আশঙ্কাজনক হারে পাচার হচ্ছে নারী-শিশু।

দেশ থেকে মানব পাচার বন্ধে সরকার আরও সোচ্চার হবে বলে আশা করে, সাধারন মানুষ।