১২:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

আগামী অর্থবছরের জন্য আসছে ৬ লাখ ৭৯ হাজার ৩৫০ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০২:৪৭:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ মে ২০২২
  • / ১৫২০ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সাড়ে ৭ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি আর সাড়ে ৫ শতাংশ মূল্যস্ফীতি ধরে ২০২২-২৩ অর্থবছরের ৬ লাখ ৭৯ হাজার ৩৫০ কোটি টাকার বাজেট আসছে। আগামী ৯ জুন জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এটি বর্তমান অর্থমন্ত্রীর টানা তৃতীয় এবং দেশের ৫১তম বাজেট। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আগামী বছর নির্বাচন, করোনার পর ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি বিশ্ব অর্থনীতির নানা সমীকরণের কারণে, এবারের বাজেট হতে হবে গতানুগতিকের বাইরে স্বতন্ত্র। আর তা বাস্তবায়নেও থাকতে হবে মুন্সীয়ানা।

গেল বছরের শেষ সময়েও জিডিপি প্রবৃদ্ধি, রেমিটেন্সে অগ্রগতি, স্মার্ট রিজার্ভ, রপ্তানীতে সুখবরসহ অর্থনীতির সবকটি সুচকেই এগিয়ে ছিলো বাংলাদেশ। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় রাজনৈতিক বিপর্যয়সহ প্রতিবেশী দেশের অস্থিরতার ঢেউ লেগেছে বাংলাদেশে।

চলতি অর্থবছরের শেষ সময়ে এসে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে। রেমিটেন্সে টান পড়ায় ডলারের বাজার অস্থির। আমদানী রপ্তানীর পার্থক্য মেলাতে সরকারকে রিজার্ভে হাত দিতে হয়েছে।

এতসব প্রতিবন্ধকতার মধ্যে বাজেট ঘোষণা করবেন অর্থমন্ত্রী। তাই প্রস্তাবিত বাজেটকে আর দশটা বাজেট থেকে আলাদা করে দেখতে চান অর্থনীতিবিদরা।

২ লাখ ৪২ হাজার ৯৪১ কোটি টাকার ঘাটতি ধরে আসন্ন বাজেটের আকার হচ্ছে ৬ লাখ ৭৯ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা। নিজস্ব উৎস থেকে ৪ লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে–যা বিশ্ব অর্থনীতির বর্তমান অস্থিরতার মধ্যে বাস্তবায়ন কঠিন বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

চলতি অর্থবছরে ৭ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি আর মুদ্রাস্ফীতি ৫ দশমিক ৩ শতাংশে বেধে রাখার ঘোষণা থাকলেও, অর্জিত হয়নি একটিও। জিডিপি অর্জনে ঘাটতির সঙ্গে পয়েন্ট টু পয়েন্ট হিসেবে মুদ্রাস্ফীতিও ছাড়িয়েছে ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ। ক্রমবর্ধমান এই অস্থিরতা ঠেকানোই বাজেটের প্রধান চ্যালেঞ্জ।

বরাবরের মতো এবারও ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বাজেট বাস্তবায়নে এনবিআরের কাঁধেই ভর করতে চায় সরকার। প্রতিষ্ঠানটিকে ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা আদায় করার লক্ষ্যমাত্রা বেধে দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি এনবিআর বহির্ভুত ১৮ হাজার কোটি টাকা আর কর বহির্ভুত রাজস্ব থেকে ৪৯ হাজার কোটি টাকা আয় করার বড় লক্ষ্য নিয়ে এগোতে চান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

আগামী অর্থবছরের জন্য আসছে ৬ লাখ ৭৯ হাজার ৩৫০ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট

আপডেট সময় : ০২:৪৭:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ মে ২০২২

সাড়ে ৭ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি আর সাড়ে ৫ শতাংশ মূল্যস্ফীতি ধরে ২০২২-২৩ অর্থবছরের ৬ লাখ ৭৯ হাজার ৩৫০ কোটি টাকার বাজেট আসছে। আগামী ৯ জুন জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এটি বর্তমান অর্থমন্ত্রীর টানা তৃতীয় এবং দেশের ৫১তম বাজেট। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আগামী বছর নির্বাচন, করোনার পর ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি বিশ্ব অর্থনীতির নানা সমীকরণের কারণে, এবারের বাজেট হতে হবে গতানুগতিকের বাইরে স্বতন্ত্র। আর তা বাস্তবায়নেও থাকতে হবে মুন্সীয়ানা।

গেল বছরের শেষ সময়েও জিডিপি প্রবৃদ্ধি, রেমিটেন্সে অগ্রগতি, স্মার্ট রিজার্ভ, রপ্তানীতে সুখবরসহ অর্থনীতির সবকটি সুচকেই এগিয়ে ছিলো বাংলাদেশ। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় রাজনৈতিক বিপর্যয়সহ প্রতিবেশী দেশের অস্থিরতার ঢেউ লেগেছে বাংলাদেশে।

চলতি অর্থবছরের শেষ সময়ে এসে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে। রেমিটেন্সে টান পড়ায় ডলারের বাজার অস্থির। আমদানী রপ্তানীর পার্থক্য মেলাতে সরকারকে রিজার্ভে হাত দিতে হয়েছে।

এতসব প্রতিবন্ধকতার মধ্যে বাজেট ঘোষণা করবেন অর্থমন্ত্রী। তাই প্রস্তাবিত বাজেটকে আর দশটা বাজেট থেকে আলাদা করে দেখতে চান অর্থনীতিবিদরা।

২ লাখ ৪২ হাজার ৯৪১ কোটি টাকার ঘাটতি ধরে আসন্ন বাজেটের আকার হচ্ছে ৬ লাখ ৭৯ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা। নিজস্ব উৎস থেকে ৪ লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে–যা বিশ্ব অর্থনীতির বর্তমান অস্থিরতার মধ্যে বাস্তবায়ন কঠিন বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

চলতি অর্থবছরে ৭ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি আর মুদ্রাস্ফীতি ৫ দশমিক ৩ শতাংশে বেধে রাখার ঘোষণা থাকলেও, অর্জিত হয়নি একটিও। জিডিপি অর্জনে ঘাটতির সঙ্গে পয়েন্ট টু পয়েন্ট হিসেবে মুদ্রাস্ফীতিও ছাড়িয়েছে ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ। ক্রমবর্ধমান এই অস্থিরতা ঠেকানোই বাজেটের প্রধান চ্যালেঞ্জ।

বরাবরের মতো এবারও ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বাজেট বাস্তবায়নে এনবিআরের কাঁধেই ভর করতে চায় সরকার। প্রতিষ্ঠানটিকে ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা আদায় করার লক্ষ্যমাত্রা বেধে দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি এনবিআর বহির্ভুত ১৮ হাজার কোটি টাকা আর কর বহির্ভুত রাজস্ব থেকে ৪৯ হাজার কোটি টাকা আয় করার বড় লক্ষ্য নিয়ে এগোতে চান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল।