১০:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

অবৈধ গ্যাসের লাইনের লিকেজের থেকে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ছেলেসহ প্রাণ গেলো বাবা ও মায়ের

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ১২:১৭:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জুলাই ২০২০
  • / ১৫০৯ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সাভারের আশুলিয়ার দূর্গাপুরে অবৈধ গ্যাসের লাইনের লিকেজের থেকে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে ১০ বছরের ছেলেসহ প্রাণ গেলো বাবা ও মায়ের।

গেলো রাতে অগ্নিকান্ডে দগ্ধ গৃহবধূ ফাতেমা বেগম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।এর আগে ৪ জুলাই সকালে দূর্গাপুরে পূর্ব চালা এলাকার শহীদ হাজির মালিকানাধীন বাড়িতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর অগ্নিদগ্ধ বাবা আবুল কাশেম ও ছেলে আল আমীনকে চিকিৎসার জন্য সাভারের এনাম মেডিকেলে নেওয়া হলে সেখানে মারা যান। নিহতরা ময়মনসিংহের নান্দাইলের বাসিন্দা। আবুল কাশেম ও ফাতেমা বেগম কাজ করতেন আশুলিয়ায় পোশাক কারখানায়।

নিহতের স্বজনরা জানান, আশুলিয়া ইউনিয়নের দুর্গাপুর চালা গ্রামের শহীদ হাজির বাড়িতে স্ত্রীও একমাত্র ছেলেকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন। শনিবার ভোরে ফাতেমা রান্নার আয়োজন করেন। তখন তাঁর স্বামী ও সন্তান ঘুমিয়ে ছিলেন। যাবতীয় আয়োজন শেষ করে ফাতেমা দিয়াশলাইয়ের কাঠি জ্বালানো মাত্রই বিকট শব্দ করে পুরো কক্ষে আগুন ধরে যায়। এসময় তারা ৩ জনই গুরুতর দগ্ধ হন। বিকট শব্দ শুনে স্থানীয়রা এসে অগ্নিদগ্ধ শিশু ছেলে আল আমীনসহ আবুল কাশেম ও ফাতেমাকে বাড়ি থেকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।হাসপাতালে নেয়া হলে কাশেম ও ছেলে আল আমীনের মৃত্যু হয়। ফাতেমাকে এনাম মেডিকেলে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিন্তু পরিবারের পক্ষে অর্থ জোগান দেওয়া সম্ভব না হওয়ায় স্বজনেরা তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিয়ে আসেন। মঙ্গলবার রাতে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের সময় তিনি মারা যান।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রিজাউল হক দিপু জানান, এ বিষয়ে আমাদের এখনো কেউ কিছু জানায়নি। তবে এমন ঘটনা খুবই দু:খজনক। তদন্ত করে দ্রুতই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

অবৈধ গ্যাসের লাইনের লিকেজের থেকে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ছেলেসহ প্রাণ গেলো বাবা ও মায়ের

আপডেট সময় : ১২:১৭:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জুলাই ২০২০

সাভারের আশুলিয়ার দূর্গাপুরে অবৈধ গ্যাসের লাইনের লিকেজের থেকে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে ১০ বছরের ছেলেসহ প্রাণ গেলো বাবা ও মায়ের।

গেলো রাতে অগ্নিকান্ডে দগ্ধ গৃহবধূ ফাতেমা বেগম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।এর আগে ৪ জুলাই সকালে দূর্গাপুরে পূর্ব চালা এলাকার শহীদ হাজির মালিকানাধীন বাড়িতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর অগ্নিদগ্ধ বাবা আবুল কাশেম ও ছেলে আল আমীনকে চিকিৎসার জন্য সাভারের এনাম মেডিকেলে নেওয়া হলে সেখানে মারা যান। নিহতরা ময়মনসিংহের নান্দাইলের বাসিন্দা। আবুল কাশেম ও ফাতেমা বেগম কাজ করতেন আশুলিয়ায় পোশাক কারখানায়।

নিহতের স্বজনরা জানান, আশুলিয়া ইউনিয়নের দুর্গাপুর চালা গ্রামের শহীদ হাজির বাড়িতে স্ত্রীও একমাত্র ছেলেকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন। শনিবার ভোরে ফাতেমা রান্নার আয়োজন করেন। তখন তাঁর স্বামী ও সন্তান ঘুমিয়ে ছিলেন। যাবতীয় আয়োজন শেষ করে ফাতেমা দিয়াশলাইয়ের কাঠি জ্বালানো মাত্রই বিকট শব্দ করে পুরো কক্ষে আগুন ধরে যায়। এসময় তারা ৩ জনই গুরুতর দগ্ধ হন। বিকট শব্দ শুনে স্থানীয়রা এসে অগ্নিদগ্ধ শিশু ছেলে আল আমীনসহ আবুল কাশেম ও ফাতেমাকে বাড়ি থেকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।হাসপাতালে নেয়া হলে কাশেম ও ছেলে আল আমীনের মৃত্যু হয়। ফাতেমাকে এনাম মেডিকেলে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিন্তু পরিবারের পক্ষে অর্থ জোগান দেওয়া সম্ভব না হওয়ায় স্বজনেরা তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিয়ে আসেন। মঙ্গলবার রাতে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের সময় তিনি মারা যান।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রিজাউল হক দিপু জানান, এ বিষয়ে আমাদের এখনো কেউ কিছু জানায়নি। তবে এমন ঘটনা খুবই দু:খজনক। তদন্ত করে দ্রুতই ব্যবস্থা নেয়া হবে।