০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪

অবশেষে জামিন পেলেন সাংবাদিক শামসুজ্জামান

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৪:২১:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ এপ্রিল ২০২৩
  • / ১৫৪২ বার পড়া হয়েছে

ছবি- সংগৃহীত

এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর রমনা থানায় করা মামলায় ২০ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন পেয়েছেন প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান৷ পুলিশ প্রতিবেদন না দেওয়া পর্যন্ত তাঁকে জামিন দেওয়া হয়েছে৷

আজ সোমবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে দ্বিতীয়বার জামিন আবেদন করেন শামসুজ্জামান৷ আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেছেন৷ শামসুজ্জামানের আইনজীবী প্রশান্ত কর্মকার বিষয়টি জানিয়েছেন৷

গত বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সিএমএম আদালতে আনা হয় শামসুজ্জামানকে৷ পরে রমনা থানা-পুলিশ তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে৷ সাংবাদিক শামসুজ্জামানের জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী৷ ওই দিন উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন৷

শামসুজ্জামানকে ওই দিন আদালত থেকে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়৷ পরদিন শুক্রবার সেখান থেকে তাঁকে গাজীপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়৷ এর পরদিন শনিবার আবার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়৷
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে  শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে  রাজধানীর তেজগাঁও  থানায় আরেকটি মামলা রয়েছে৷

গত বুধবার ভোর চারটার দিকে সাভারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের আমবাগান এলাকায় শামসুজ্জামানের বাসায় যান ১৪ থেকে ১৫ জন৷ নিজেদের পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্য পরিচয়ে শামসুজ্জামানের থাকার কক্ষ তল্লাশি করে তার ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপ, দুটি মুঠোফোন ও একটি পোর্টেবল হার্ডডিস্ক নিয়ে যান৷ পরে তারা শামসুজ্জামানকে নিয়ে যান৷

বাসা থেকে তুলে নেওয়ার ২০ ঘণ্টার বেশি সময় পর গত শুক্রবার দিবাগত রাতে শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়৷ প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানকে এই মামলার প্রধান আসামি করা হয়৷ তিনি গতকাল এই মামলায় ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছেন৷ এই মামলার বাদী আইনজীবী আবদুল মালেক (মশিউর মালেক)৷ তিনি নিজেকে হাইকোর্টের আইনজীবী পরিচয় দিয়েছেন৷

২৬ মার্চ প্রথম আলো অনলাইনের একটি প্রতিবেদন ফেসবুকে প্রকাশের সময় দিনমজুর জাকির হোসেনের উদ্ধৃতি দিয়ে একটি ‘কার্ড’ তৈরি করা হয় সেখানে উদ্ধৃতিদাতা হিসেবে দিনমজুর জাকির হোসেনের নাম থাকলেও ছবি দেওয়া হয় একটি শিশুর পোস্ট দেওয়ার পর অসংগতি নজরে আসে এবং দ্রুত তা প্রত্যাহার করা হয় পাশাপাশি প্রতিবেদন সংশোধন করে সংশোধনীর বিষয়টি উল্লেখসহ পরে আবার অনলাইনে প্রকাশ করা হয় প্রতিবেদনের কোথাও বলা হয়নি যে উক্তিটি ওই শিশুর; বরং স্পষ্টভাবেই বলা হয়েছে, উক্তিটি দিনমজুর জাকির হোসেনের৷

এ ঘটনার জেরে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টা ১৫ মিনিটে তাঁর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন সৈয়দ মো. গোলাম কিবরিয়া নামের এক ব্যক্তি৷ তিনি বলেন, থানায় নথিভুক্ত হওয়া এজাহার অনুযায়ী মামলাটি হয়েছে৷ বাদীর পরিচয় লেখা হয়েছে, তিনি ঢাকার কল্যাণপুরের বাসিন্দা৷ তার ফেসবুক পেজের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিনি যুবলীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক৷ তিনি আগে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন৷

ডয়চে ভেলে

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

অবশেষে জামিন পেলেন সাংবাদিক শামসুজ্জামান

আপডেট সময় : ০৪:২১:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ এপ্রিল ২০২৩

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর রমনা থানায় করা মামলায় ২০ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন পেয়েছেন প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান৷ পুলিশ প্রতিবেদন না দেওয়া পর্যন্ত তাঁকে জামিন দেওয়া হয়েছে৷

আজ সোমবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে দ্বিতীয়বার জামিন আবেদন করেন শামসুজ্জামান৷ আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেছেন৷ শামসুজ্জামানের আইনজীবী প্রশান্ত কর্মকার বিষয়টি জানিয়েছেন৷

গত বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সিএমএম আদালতে আনা হয় শামসুজ্জামানকে৷ পরে রমনা থানা-পুলিশ তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে৷ সাংবাদিক শামসুজ্জামানের জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী৷ ওই দিন উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন৷

শামসুজ্জামানকে ওই দিন আদালত থেকে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়৷ পরদিন শুক্রবার সেখান থেকে তাঁকে গাজীপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়৷ এর পরদিন শনিবার আবার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়৷
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে  শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে  রাজধানীর তেজগাঁও  থানায় আরেকটি মামলা রয়েছে৷

গত বুধবার ভোর চারটার দিকে সাভারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের আমবাগান এলাকায় শামসুজ্জামানের বাসায় যান ১৪ থেকে ১৫ জন৷ নিজেদের পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্য পরিচয়ে শামসুজ্জামানের থাকার কক্ষ তল্লাশি করে তার ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপ, দুটি মুঠোফোন ও একটি পোর্টেবল হার্ডডিস্ক নিয়ে যান৷ পরে তারা শামসুজ্জামানকে নিয়ে যান৷

বাসা থেকে তুলে নেওয়ার ২০ ঘণ্টার বেশি সময় পর গত শুক্রবার দিবাগত রাতে শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়৷ প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানকে এই মামলার প্রধান আসামি করা হয়৷ তিনি গতকাল এই মামলায় ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছেন৷ এই মামলার বাদী আইনজীবী আবদুল মালেক (মশিউর মালেক)৷ তিনি নিজেকে হাইকোর্টের আইনজীবী পরিচয় দিয়েছেন৷

২৬ মার্চ প্রথম আলো অনলাইনের একটি প্রতিবেদন ফেসবুকে প্রকাশের সময় দিনমজুর জাকির হোসেনের উদ্ধৃতি দিয়ে একটি ‘কার্ড’ তৈরি করা হয় সেখানে উদ্ধৃতিদাতা হিসেবে দিনমজুর জাকির হোসেনের নাম থাকলেও ছবি দেওয়া হয় একটি শিশুর পোস্ট দেওয়ার পর অসংগতি নজরে আসে এবং দ্রুত তা প্রত্যাহার করা হয় পাশাপাশি প্রতিবেদন সংশোধন করে সংশোধনীর বিষয়টি উল্লেখসহ পরে আবার অনলাইনে প্রকাশ করা হয় প্রতিবেদনের কোথাও বলা হয়নি যে উক্তিটি ওই শিশুর; বরং স্পষ্টভাবেই বলা হয়েছে, উক্তিটি দিনমজুর জাকির হোসেনের৷

এ ঘটনার জেরে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টা ১৫ মিনিটে তাঁর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন সৈয়দ মো. গোলাম কিবরিয়া নামের এক ব্যক্তি৷ তিনি বলেন, থানায় নথিভুক্ত হওয়া এজাহার অনুযায়ী মামলাটি হয়েছে৷ বাদীর পরিচয় লেখা হয়েছে, তিনি ঢাকার কল্যাণপুরের বাসিন্দা৷ তার ফেসবুক পেজের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিনি যুবলীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক৷ তিনি আগে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন৷

ডয়চে ভেলে