০৪:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৫ বছর : চাওয়াপাওয়ার হিসেবে ফারাক

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৩:১৩:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ১৫৭০ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আজ ২ ডিসেম্বর; পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৫ বছর পূর্তি হচ্ছে। চুক্তির পর পাহাড়ে উন্নয়নের ধারা বয়ে গেলেও, কাঙ্খিত শান্তি ফিরেনি। হানাহানি আর রক্তক্ষয়ী সংঘাতে এখনো অশান্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম। ২৫ বছর পরেও পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন হয়নি বলে অভিযোগ করছেন পাহাড়িরা। আর সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক কতিপয় ধারা সংশোধন করে পার্বত্য চুক্তি পূর্ণ:মূল্যায়নের দাবি তুলেছে স্থানীয় বাঙ্গালীরা।

দেশের এক দশমাংশ পার্বত্য চট্টগ্রামে দুই দশকের বেশি সময় চলে রক্তক্ষয়ী সংঘাত। ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর সরকার আর পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে সম্পাদিত হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি। এটি শান্তি চুক্তি নামেই বেশি পরিচিত। তৎকালীন সরকারের পক্ষে জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ ও উপজাতীয়দের পক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি
সমিতির চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় ওরফে সন্তু লারমা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

পার্বত্য চুক্তির লক্ষ্য ছিলো পাহাড়ে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। চুক্তির পর কেটে যায় ২৫ বছর। পাহাড়ে উন্নয়ন ত্বরান্বিত হলেও, কাঙ্খিত শান্তির দেখা পায়নি পার্বত্যবাসী। অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার আর চাঁদাবাজিতে অস্থির পার্বত্য চট্টগ্রাম।

চুক্তির ৭২টি ধারার মধ্যে অধিকাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে দাবি করে সরকার পক্ষ বলছে পাহাড়ে মানুষ চুক্তির সুফল পেতে শুরু করেছে।

সরকারের আন্তরিকার অভাবে ২৫ বছরেও পার্বত্য চুক্তি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হচ্ছে না বলে অভিযোগ চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী জেএসএসের।

এদিকে পার্বত্য চুক্তিতে সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করা হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাঙ্গালীদের।

অস্ত্র সমর্পন করে চুক্তি সম্পাদন করা হলেও পাহাড়ে এখনো অবৈধ অস্ত্র নিয়ে বিচরণ করছে পাহাড়িদের অন্তত পাঁচটি গ্রুপ। এমন বাস্তবতায় পার্বত্য চুক্তি আদৌ পাহাড়ে শান্তি আনতে পারবে কিনা সে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৫ বছর : চাওয়াপাওয়ার হিসেবে ফারাক

আপডেট সময় : ০৩:১৩:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ ডিসেম্বর ২০২২

আজ ২ ডিসেম্বর; পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৫ বছর পূর্তি হচ্ছে। চুক্তির পর পাহাড়ে উন্নয়নের ধারা বয়ে গেলেও, কাঙ্খিত শান্তি ফিরেনি। হানাহানি আর রক্তক্ষয়ী সংঘাতে এখনো অশান্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম। ২৫ বছর পরেও পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন হয়নি বলে অভিযোগ করছেন পাহাড়িরা। আর সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক কতিপয় ধারা সংশোধন করে পার্বত্য চুক্তি পূর্ণ:মূল্যায়নের দাবি তুলেছে স্থানীয় বাঙ্গালীরা।

দেশের এক দশমাংশ পার্বত্য চট্টগ্রামে দুই দশকের বেশি সময় চলে রক্তক্ষয়ী সংঘাত। ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর সরকার আর পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে সম্পাদিত হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি। এটি শান্তি চুক্তি নামেই বেশি পরিচিত। তৎকালীন সরকারের পক্ষে জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ ও উপজাতীয়দের পক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি
সমিতির চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় ওরফে সন্তু লারমা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

পার্বত্য চুক্তির লক্ষ্য ছিলো পাহাড়ে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। চুক্তির পর কেটে যায় ২৫ বছর। পাহাড়ে উন্নয়ন ত্বরান্বিত হলেও, কাঙ্খিত শান্তির দেখা পায়নি পার্বত্যবাসী। অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার আর চাঁদাবাজিতে অস্থির পার্বত্য চট্টগ্রাম।

চুক্তির ৭২টি ধারার মধ্যে অধিকাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে দাবি করে সরকার পক্ষ বলছে পাহাড়ে মানুষ চুক্তির সুফল পেতে শুরু করেছে।

সরকারের আন্তরিকার অভাবে ২৫ বছরেও পার্বত্য চুক্তি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হচ্ছে না বলে অভিযোগ চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী জেএসএসের।

এদিকে পার্বত্য চুক্তিতে সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করা হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাঙ্গালীদের।

অস্ত্র সমর্পন করে চুক্তি সম্পাদন করা হলেও পাহাড়ে এখনো অবৈধ অস্ত্র নিয়ে বিচরণ করছে পাহাড়িদের অন্তত পাঁচটি গ্রুপ। এমন বাস্তবতায় পার্বত্য চুক্তি আদৌ পাহাড়ে শান্তি আনতে পারবে কিনা সে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।