চট্টগ্রামে মেয়াদোত্তীর্ণ এক হাজার সিএনজি অটোরিক্সা স্ক্র্যাপ ঘোষণা
- আপডেট সময় : ০১:৩০:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ মে ২০২২
- / ১৫০৯ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রামে মেয়াদউত্তীর্ণ এক হাজার সিএনজি অটোরিক্সাকে স্ক্র্যাপ ঘোষণা করে ধ্বংসের প্রক্রিয়া শুরু করেছে বিআরটিএ। ধ্বংস করা সিএনজি মালিককে ডকুমেন্টের ওপর ভিত্তি করে নতুন অটোরিক্সা কেনার অনুমোদন দেবে সরকার। নতুন উদ্যোগে নগরীর রাস্তায় পরিবেশ বান্ধব অটোরিক্সা চলাচলের সুযোগ সৃষ্টি হবে। একই সঙ্গে আইন অমান্য করে অটোরিক্সা চালানোর প্রবণতা কমবে।
বিআরটিএ’র চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের সামনের চিত্র এটি। মেয়াদউতত্তীর্ণ পরিত্যক্ত সিএনজি অটোরিক্সার দীর্ঘ সারি। এতোদিন প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে রাস্তায় চলাচল করলেও, এখন তা ধ্বংস করতে নিয়ে এসেছেন মালিকরা। কারণ, বিআরটিএ বলেছে পুরনো গাড়ি ধ্বংস করলে, নতুন অটোরিক্সা কেনার অনুমোদন মিলবে।
নিজের সিএনজি অটোরিক্সা নিয়ে বিআরটিএ’র বুথে রেজিষ্ট্রেশনের পর ধ্বংসের জন্য নির্ধারিত জয়গায় নিয়ে যাচ্ছেন মালিকরা।
বিআরটিএ বলছে, সিএনজি অটোরিক্সার মেয়াদ সর্বোচ্চ ১৫ বছর। ২০০৫ সালের পর নতুন কোন অটোরিক্সার অনুমোদন দেয়নি সরকার। তাই মেয়াদউত্তীর্ণ অটোরিক্সা পরিবেশ দুষণের পাশাপাশি সাধারণ যাত্রীদের জন্যও ঝুঁকিপুর্ণ হয়ে উঠে।
ধ্বংস করা অটোরিক্সা ডাম্পিং করার জায়গা না থাকায়, স্ক্র্যাপ করার পর মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দিচ্ছে বিআরটিএ। এতে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশংকা থাকলেও অচিরেই তা কাটিয়ে ওঠার আশা বিআটিএ’র।
চট্টগ্রাম মহানগরীতে চলাচলের জন্য বৈধ অনুমোদন আছে ১৩ হাজার সিএনজি অটোরিক্সার। যার বেশিরভাগই মেয়াদউত্তীর্ণ। গেলো বছর তিন দফায় ৪ হাজার সিএনজি অটোরিক্সা স্ক্র্যাপ করার পর এবার আরো এক হাজার অটোরিক্সাকে ধ্বংস করা হলো।