রাণীশংকৈলে সার সংকটের জেরে কৃষি কর্মকর্তার ওপর হামলা
- আপডেট সময় : ০৭:১৯:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫
- / ১৫০৩ বার পড়া হয়েছে
ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলায় সার না পেয়ে উত্তেজিত কৃষকদের হট্টগোলে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আকতার হোসেন মারধরের শিকার হয়েছেন। এতে তার দাঁত ভেঙে যায়। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার উমরাডাঙ্গী বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার উমরাডাঙ্গী বাজারে মল্লিক ট্রের্ডাসের প্রতিনিধি মোজাম্মেল হোসেন সার বিতরণ করছিলেন। এসময় অভিযোগ ওঠে, তিনটি ভ্যানে করে পাঁচজন ব্যক্তি একজনের নামে ৩৩ বস্তা সার নেওয়ার চেষ্টা করেন। এতে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা কৃষকদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দেয় এবং মুহূর্তেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিশৃঙ্খলা বাড়তে থাকায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আকতার হোসেন সেখান থেকে সরে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার উমরাডাঙ্গী বাজারে মল্লিক ট্রের্ডাসের প্রতিনিধি মোজাম্মেল হোসেন সার বিতরণ করছিলেন। এসময় অভিযোগ ওঠে, তিনটি ভ্যানে করে পাঁচজন ব্যক্তি একজনের নামে ৩৩ বস্তা সার নেওয়ার চেষ্টা করেন। এতে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা কৃষকদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দেয় এবং মুহূর্তেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিশৃঙ্খলা বাড়তে থাকায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আকতার হোসেন সেখান থেকে সরে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
পরবর্তীতে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা মামুনুর রশিদ মামুন ঘটনাস্থলে গিয়ে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং দ্রুত উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে উপস্থিত হওয়ার অনুরোধ জানান। কৃষি কর্মকর্তা সহিদুল ইসলাম ও উপ-সহকারী কর্মকর্তা আকতার হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে পৌঁছালে ক্ষুব্ধ জনতা আকতার হোসেনের ওপর চড়াও হয় এবং তাকে মারধর করে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাণীশংকৈল হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে তাকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। মল্লিক ট্রের্ডাসের মালিকপক্ষ বা প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সহিদুল ইসলাম জানান, “আকতার হোসেনের অবস্থা বেশ গুরুতর। মাথায় আঘাত লেগেছে, দাঁত ভেঙে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দিনাজপুরে নেওয়া হয়েছে। সুস্থ হওয়ার পর ভুক্তভোগীর মত অনুযায়ী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”রাণীশংকৈল থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, “কৃষি অফিস অভিযোগ দিলে বিষয়টি আমরা তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।












