০৬:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

সুইডেন ও ডেনমার্কে কেন কোরআন নিয়ে সংকট চলছে?

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০১:০০:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অগাস্ট ২০২৩
  • / ১৫৮৪ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ডেনমার্ক ও সুইডেনের ইসলামবিরোধী অ্যাক্টিভিস্টরা সাম্প্রতিক সময়ে মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কোরআনের কয়েকটি কপি পুড়িয়েছেন৷

এতে মুসলিম বিশ্বে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে৷ তারা এমন কাজের উপর নিষেধাজ্ঞা দিতে ওই দেশ দুটির প্রতি দাবি জানিয়েছে৷

দুই দেশের সরকারই কোরআন পোড়ানোর ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে এবং বলেছে, এটি বন্ধ করার জন্য নতুন আইন তৈরির বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে৷

কিন্তু এমন পরিকল্পনার সমালোচকরা বলছেন, দুই দেশের সংবিধানে বাকস্বাধীনতা দেয়া আছে এবং সেটি পরিবর্তনের কোনো উদ্যোগ ঐ স্বাধীনতাকে খর্ব করবে৷

সুইডেনে গত এক মাসে অন্তত তিনবার কোরআন পোড়ানোর পেছনে ছিলেন ইরাকি শরণার্থী সালওয়ান মোমিকা৷ তিনি ইসলামের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে চান এবং কোরানের উপর নিষেধাজ্ঞা চান৷

একই সময়ে ডেনমার্কে ড্যানিশ প্যাট্রিয়টস নামের একটি চরম ডানপন্থি গোষ্ঠী তাদের মুসলিম-বিরোধী বিক্ষোভের সংখ্যা বাড়িয়েছে৷ নরডিক দেশগুলোতে ‘ইসলামাইজেশন’ চলছে বলে তারা মনে করেন৷

গতসপ্তাহে ডেনমার্কে অন্তত ১০ কপি কোরআন পোড়ানো হয়েছে৷

ড্যানিশ-সুইডিশ চরম ডানপন্থি অ্যাক্টিভিস্ট রাসমুস পালুডেন ২০১৭ সাল থেকে নিয়মিত কোরান পুড়িয়ে আসছেন৷ তিনি বলেন, সুইডেনের ন্যাটোতে যোগদানের বিরোধিতা করায় তিনি তুরস্কের উপর ক্ষিপ্ত৷

বিশ্বের অন্যতম ধর্মনিরপেক্ষ ও মুক্ত দেশগুলোর মধ্যে পড়ে ডেনমার্ক ও সুইডেন৷ দেশ দুটি বলেছে, মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে উত্তেজনা কমাতে তারা কোরান পোড়ানোর বিষয়টি আইনগতভাবে সীমিত করা যায় কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখছে৷

ড্যানিশ ও সুইডিশ সরকার বলছে বাকস্বাধীনতার বিষয়টিইতিমধ্যে কিছুটা সীমিত অবস্থায় আছে৷ কারণ জাতি ও লিঙ্গ বিচারে কাউকে অবমাননা করা অবৈধ৷

তবে কোরআন পোড়ানো নিষিদ্ধ করা যায় এমন কোনো আইন ঐ দুই দেশে নেই৷ সুইডেন ১৯৭০ সালে ব্লাসফেমি আইন বাতিল করেছে৷ ডেনমার্ক করেছে ২০১৭ সালে৷

সুইডেনে বিক্ষোভের স্থলে জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকলে পুলিশ বিক্ষোভের আবেদন প্রত্যাখ্যান করতে পারে৷ আর ডেনমার্কে বিক্ষোভের বিষয়টি শুধু পুলিশকে অবহিত করলেই চলে৷

জনশৃঙ্খলা বজায় রাখার আইনে কোনো পরিবর্তন আনা যায় কিনা সেটি পরীক্ষা করে দেখছে সুইডেন৷ তবে ধর্মীয় গ্রন্থ পোড়ানো অবৈধ করার বিষয়টি তারা উড়িয়ে দিয়েছেন৷

ডয়চে ভেলে

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

সুইডেন ও ডেনমার্কে কেন কোরআন নিয়ে সংকট চলছে?

আপডেট সময় : ০১:০০:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অগাস্ট ২০২৩

ডেনমার্ক ও সুইডেনের ইসলামবিরোধী অ্যাক্টিভিস্টরা সাম্প্রতিক সময়ে মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কোরআনের কয়েকটি কপি পুড়িয়েছেন৷

এতে মুসলিম বিশ্বে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে৷ তারা এমন কাজের উপর নিষেধাজ্ঞা দিতে ওই দেশ দুটির প্রতি দাবি জানিয়েছে৷

দুই দেশের সরকারই কোরআন পোড়ানোর ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে এবং বলেছে, এটি বন্ধ করার জন্য নতুন আইন তৈরির বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে৷

কিন্তু এমন পরিকল্পনার সমালোচকরা বলছেন, দুই দেশের সংবিধানে বাকস্বাধীনতা দেয়া আছে এবং সেটি পরিবর্তনের কোনো উদ্যোগ ঐ স্বাধীনতাকে খর্ব করবে৷

সুইডেনে গত এক মাসে অন্তত তিনবার কোরআন পোড়ানোর পেছনে ছিলেন ইরাকি শরণার্থী সালওয়ান মোমিকা৷ তিনি ইসলামের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে চান এবং কোরানের উপর নিষেধাজ্ঞা চান৷

একই সময়ে ডেনমার্কে ড্যানিশ প্যাট্রিয়টস নামের একটি চরম ডানপন্থি গোষ্ঠী তাদের মুসলিম-বিরোধী বিক্ষোভের সংখ্যা বাড়িয়েছে৷ নরডিক দেশগুলোতে ‘ইসলামাইজেশন’ চলছে বলে তারা মনে করেন৷

গতসপ্তাহে ডেনমার্কে অন্তত ১০ কপি কোরআন পোড়ানো হয়েছে৷

ড্যানিশ-সুইডিশ চরম ডানপন্থি অ্যাক্টিভিস্ট রাসমুস পালুডেন ২০১৭ সাল থেকে নিয়মিত কোরান পুড়িয়ে আসছেন৷ তিনি বলেন, সুইডেনের ন্যাটোতে যোগদানের বিরোধিতা করায় তিনি তুরস্কের উপর ক্ষিপ্ত৷

বিশ্বের অন্যতম ধর্মনিরপেক্ষ ও মুক্ত দেশগুলোর মধ্যে পড়ে ডেনমার্ক ও সুইডেন৷ দেশ দুটি বলেছে, মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে উত্তেজনা কমাতে তারা কোরান পোড়ানোর বিষয়টি আইনগতভাবে সীমিত করা যায় কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখছে৷

ড্যানিশ ও সুইডিশ সরকার বলছে বাকস্বাধীনতার বিষয়টিইতিমধ্যে কিছুটা সীমিত অবস্থায় আছে৷ কারণ জাতি ও লিঙ্গ বিচারে কাউকে অবমাননা করা অবৈধ৷

তবে কোরআন পোড়ানো নিষিদ্ধ করা যায় এমন কোনো আইন ঐ দুই দেশে নেই৷ সুইডেন ১৯৭০ সালে ব্লাসফেমি আইন বাতিল করেছে৷ ডেনমার্ক করেছে ২০১৭ সালে৷

সুইডেনে বিক্ষোভের স্থলে জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকলে পুলিশ বিক্ষোভের আবেদন প্রত্যাখ্যান করতে পারে৷ আর ডেনমার্কে বিক্ষোভের বিষয়টি শুধু পুলিশকে অবহিত করলেই চলে৷

জনশৃঙ্খলা বজায় রাখার আইনে কোনো পরিবর্তন আনা যায় কিনা সেটি পরীক্ষা করে দেখছে সুইডেন৷ তবে ধর্মীয় গ্রন্থ পোড়ানো অবৈধ করার বিষয়টি তারা উড়িয়ে দিয়েছেন৷

ডয়চে ভেলে