করোনার কারণে দীর্ঘ প্রায় ৫ মাস পর প্রায় ১৪ টি নির্দেশনা দিয়ে সীমিত আকারে খুলে দেয়া হলো কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। এর ফলে স্বাস্থ্যবিধি মানা সাপেক্ষে সীমিত আকারে সৈকত তীরের হোটেল, মোটেল, কটেজ, রেস্ট্যুরেন্টসহ পর্যটনশিল্প সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো খোলার অনুমতি দিল জেলা প্রশাসন। তবে এটিকে পরীক্ষামূলক খুলে দেয়া বলে উল্লেখ করেছেন জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন। অন্যদিকে উদ্যোক্তারা বলছেন, শুধু খুলে দেয়া নয়, ক্ষতি পোষাতে অবশ্যই প্রণোদনার বিকল্প নেই।

দেশের পর্যটন খাতের মোট আয়ের প্রায় ৮০ শতাংশ আসে কক্সবাজার থেকে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কক্সবাজার থেকে বছরে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়।তবে করোনায় টানা প্রায় ৫ মাস বন্ধের কারণে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে দেশের সর্ববৃহৎ এ পর্যটন খাত। ৩০ জুন প্রকাশিত বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিবেদনেও বলা হয়, মহামারীতে পর্যটন খাতের ক্ষতির কারণে জিডিপি থেকে এ বছর ২০৩ কোটি ডলার বা প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার কোটি টাকা হারাতে পারে বাংলাদেশ।

খুশির কথা হলো ৫ মাস পর শর্তশাপেক্ষে সীমিত আকারে খোলার সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন।লকডাউন শিথিলের খবরে ইতোমধ্যেই অনেকেই ভীড় করেছেন দীর্ঘতম এ সমুদ্র সৈকতে।যে ক’টি হোটেল খোলা আছে, সেখানেই কাটাচ্ছেন দীর্ঘ সময় ঘরে আটকে থাকার অবসাদ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন এখাতে সরকারের সুদৃষ্টি একান্ত প্রয়োজন।তাদের মতে, সরাসরি ৪ লাখ ২০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান যেন করোনার ঝুঁকিতে না পড়ে সেটাই এখন মুখ্য বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে।