সীতাকুণ্ডে ক্ষুদ্র নৃগোষ্টির একটি পাড়াকে উচ্ছেদ করার সবপথ তৈরীর অভিযোগ
- আপডেট সময় : ০২:৪৫:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল ২০২০
- / ১৫০৫ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ক্ষুদ্র নৃগোষ্টি ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের একটি পাড়াকে উচ্ছেদ করার সবপথ তৈরীর অভিযোগ উঠেছে ইস্পাত শিল্পের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান- জিপিএইচ ইস্পাতের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে পাড়াটির যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, দখল করে নেয়া হয়েছে একমাত্র পুকুরও। পাড়ার বাসিন্দারা জানান, নিজেদের জমি না থাকায় নরক যন্ত্রণা নিয়ে বসবাস করছেন তারা। আর জিপিএইচ কর্তৃপক্ষ বলছে, ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের এই পাড়াটিকে দেখেশুনেই রাখেন তারা। বিষয়টি এখনো জানেন না দাবি করে সীতাকুণ্ডের ইউএনও বলছেন, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবেন তিনি।
ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে মাত্র আধা কিলোমিটারের মধ্যে দুর্গম এই পাহাড়ের ঢালে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের ৩০টি পরিবারের বাস। দেশ স্বাধীনের পর সরকারী সম্পত্তি ভেবে এখানেই ঘর বাধেন অবহেলিত এই ক্ষুদ্রনৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মানুষগুলো। ৫০ বছর পর এসে শুনছেন, বসতি পাহাড়সহ পুরো এলাকাটিই কিনে নিয়েছে জিপিএইচ ইস্পাত নামের একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান।
৫০ বছর ধরে তিল তিল করে একটি মাটির পথ তৈরী করেছিলেন এই পাড়ার বাসিন্দারা। গেল বছর তাও দখল করে নিয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় এই ইস্পাত কারখানাটি। পাশের যে পুকুরে সবাই গোসল করতেন সেখানেও যাওয়ার অনুমতি নেই। খাবার পানির যোগান আসতো যে পাহাড়ী ছড়া থেকে সেখানেও পড়েছে কারখানার বাধ। সবমিলিয়ে নরক যন্ত্রণায় ভুগছেন অবহেলিত এই পাড়াটির বাসিন্দারা।
ত্রিপুরা পাড়ার ভেতরে বসানো হয়েছে কারখানার ওয়াচ টাওয়ার। কারখানার নিরাপত্ত্বা কর্মিরা এখানে বসেই নজরদারি করেন পাড়ার বাসিন্দা আর আগতদের। এসএটিভির টিমকেও পাড়ায় প্রবেশে বাধা দেন তারা। পড়ে উর্দ্ধতন এক কর্মকর্তা এসে অনুমতি দিলেও সাথে দিয়ে দেন দু’জন গার্ডকে। তাদের চোখ এড়িয়ে যতটুকু যতটুতু বলতে পেরেছেন বাস্তবতা তার চেয়ে অনেক বেশি।
অবশ্য জিপিএইচ কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের কেনা জমিতেই বসবাস করছেন ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের বাসিন্দারা। তাদের নিরাপত্ত্বার স্বার্থেই বন্ধ করা হয়েছে রাস্তাটি। তবে পাহাড়ের ভেতর দিয়ে বিকল্প রাস্তা গড়ে দেয়ার কাজ চলছে।
আর সীতাকুণ্ডের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বললেন কোন পাড়ার যাতায়াত পথ বন্ধ করার অধিকার কারো নেই। এমন অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবেন তিনি।
সিংক: মিল্টন রায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সীতাকুণ্ড।
সীতাকুণ্ডের তিনটি ত্রিপাড়া পাড়ার বাসিন্দাদের নিজস্ব কোন জমি নেই। দুর্গম পাহাড়ের ঢালেই তাদের বাস। তাই মাঝে মধ্যেই ভুমিদুস্যু আর পাহাড় খেকোদের চোখ রাঙানী দেখতে হয় অসহায় এই মানুষদের। ফুটেজ-৪