০৬:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

সিলেটে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৩:০৯:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জুন ২০২২
  • / ১৫২৯ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সিলেটে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির এখনো তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। কুশিয়ারা নদীর উভয় তীরের উপজেলায় বন্যা যেন স্থায়ী রূপ নিয়েছে। নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ায় নিম্নাঞ্চলের বানভাসি মানুষ বাড়িতে থাকতে না পেরে বাধ্য হচ্ছেন আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে। তাদের দুর্ভোগ এখন চরমে। আর যেসব এলাকার পানি কমেছে, সেখানে বেরিয়ে আসছে বিধ্বস্ত চিত্র। ঘর-বাড়ি ভেঙ্গে তছনছ। জেলা প্রশাসক বলছেন, ঘর-বাড়ি হারানো মানুষের তালিকা করে সহায়তা দেয়া হবে।

সিলেটের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি স্থায়ী রুপ নিয়েছে। মহানগরীর বেশিরভাগ এলাকার পানি কমলেও, নিম্নাঞ্চল এখনও ডুবে আছে। পানি কমছে মন্থর গতিতে। তবে কানাইঘাট, গোলাপগঞ্জ, কোম্পানীগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, ফেঞ্চুগঞ্জ, বালাগঞ্জ, ওসমানীনগর, সিলেট সদর উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের নিচু এলাকা এখনও তলিয়ে আছে।

কুশিয়ারা নদীর দু’তীর এবং হাকালুকি হাওর পাড়ের বিয়ানীবাজার, ফেঞ্চুগঞ্জ, বালাগঞ্জ,ওসমানীনগর ও মৌলভীবাজারের বড়লেখা,কুলাউড়া, জুড়ী, রাজনগর ও মৌলভীবাজার সদর এই ৯ উপজেলার পানি কমছেই না। এখনও পানির নিচে ফেঞ্চুগঞ্জ, বালাগঞ্জ এবং মৌলভীবাজারের বড়লেখাসহ ৫ উপজেলা। ফেঞ্চুগঞ্জে কুশিয়ারার উজানে ডান তীরের প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

১৩ দিন যাবৎ মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার সুজানগর, তালিমপুর, বর্নি, দাসেরবাজার ও কুলাউড়া উপজেলার ভূকশিমূল, ব্রাহ্মণবাজার, কুলাউড়া সদরসহ আশপাশ ইউনিয়ন বন্যার পানিতে তলিয়ে আছে। ওই সময় থেকে এসব গ্রামের বেশ কিছু পরিবার রয়ে যায় বাড়িতে। পানি আরও বাড়তে শুরু করলে, তারা টিকতে না পেরেএবার বাড়ি- ঘর ছাড়ছে।

কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে থাকায় তীর উপচে লোকালয় প্লাবিত হচ্ছে। সোমবার সারাদিনে সুরমা নদীর পানি কানাইঘাটে ৩ সেন্টিমিটার কমে সন্ধ্যা ৬টায় বিপদসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার ও কুশিয়ারার পানি ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টেও ৩ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ১০৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সিলেট আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে নতুন করে সিলেট অঞ্চল ও উজানে ভারতীয় অংশে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টি হতে পারে। সেক্ষেত্রে পরিস্থিতির আরও অ্বনতি ঘটতে পারে।

বন্যা শুরুর পর থেকে নিরাপত্তা দেওয়ার পাশাপাশি বানভাসিদের উদ্ধার ও ত্রাণ সহায়তায় পুলিশ কাজ করছে।

বন্যায় শতশত ঘর বাড়ি বিধস্ত হয়েছে। অর্থের অভাবে তা মেরামত করতে পারছেনা বানভাসীরা। সিলেটের জেলা প্রশাসক বলছেন, বিধ্বস্ত ঘর-বাড়ি মেরামতে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে সহায়তা দেয়া হবে।

দ্রুত পানি কমবে, কমবে দুর্গতি। ফিরে পাবে স্বাভাবিক জীবন– এমন প্রত্যাশা সবার।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

সিলেটে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি

আপডেট সময় : ০৩:০৯:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জুন ২০২২

সিলেটে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির এখনো তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। কুশিয়ারা নদীর উভয় তীরের উপজেলায় বন্যা যেন স্থায়ী রূপ নিয়েছে। নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ায় নিম্নাঞ্চলের বানভাসি মানুষ বাড়িতে থাকতে না পেরে বাধ্য হচ্ছেন আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে। তাদের দুর্ভোগ এখন চরমে। আর যেসব এলাকার পানি কমেছে, সেখানে বেরিয়ে আসছে বিধ্বস্ত চিত্র। ঘর-বাড়ি ভেঙ্গে তছনছ। জেলা প্রশাসক বলছেন, ঘর-বাড়ি হারানো মানুষের তালিকা করে সহায়তা দেয়া হবে।

সিলেটের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি স্থায়ী রুপ নিয়েছে। মহানগরীর বেশিরভাগ এলাকার পানি কমলেও, নিম্নাঞ্চল এখনও ডুবে আছে। পানি কমছে মন্থর গতিতে। তবে কানাইঘাট, গোলাপগঞ্জ, কোম্পানীগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, ফেঞ্চুগঞ্জ, বালাগঞ্জ, ওসমানীনগর, সিলেট সদর উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের নিচু এলাকা এখনও তলিয়ে আছে।

কুশিয়ারা নদীর দু’তীর এবং হাকালুকি হাওর পাড়ের বিয়ানীবাজার, ফেঞ্চুগঞ্জ, বালাগঞ্জ,ওসমানীনগর ও মৌলভীবাজারের বড়লেখা,কুলাউড়া, জুড়ী, রাজনগর ও মৌলভীবাজার সদর এই ৯ উপজেলার পানি কমছেই না। এখনও পানির নিচে ফেঞ্চুগঞ্জ, বালাগঞ্জ এবং মৌলভীবাজারের বড়লেখাসহ ৫ উপজেলা। ফেঞ্চুগঞ্জে কুশিয়ারার উজানে ডান তীরের প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

১৩ দিন যাবৎ মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার সুজানগর, তালিমপুর, বর্নি, দাসেরবাজার ও কুলাউড়া উপজেলার ভূকশিমূল, ব্রাহ্মণবাজার, কুলাউড়া সদরসহ আশপাশ ইউনিয়ন বন্যার পানিতে তলিয়ে আছে। ওই সময় থেকে এসব গ্রামের বেশ কিছু পরিবার রয়ে যায় বাড়িতে। পানি আরও বাড়তে শুরু করলে, তারা টিকতে না পেরেএবার বাড়ি- ঘর ছাড়ছে।

কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে থাকায় তীর উপচে লোকালয় প্লাবিত হচ্ছে। সোমবার সারাদিনে সুরমা নদীর পানি কানাইঘাটে ৩ সেন্টিমিটার কমে সন্ধ্যা ৬টায় বিপদসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার ও কুশিয়ারার পানি ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টেও ৩ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ১০৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সিলেট আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে নতুন করে সিলেট অঞ্চল ও উজানে ভারতীয় অংশে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টি হতে পারে। সেক্ষেত্রে পরিস্থিতির আরও অ্বনতি ঘটতে পারে।

বন্যা শুরুর পর থেকে নিরাপত্তা দেওয়ার পাশাপাশি বানভাসিদের উদ্ধার ও ত্রাণ সহায়তায় পুলিশ কাজ করছে।

বন্যায় শতশত ঘর বাড়ি বিধস্ত হয়েছে। অর্থের অভাবে তা মেরামত করতে পারছেনা বানভাসীরা। সিলেটের জেলা প্রশাসক বলছেন, বিধ্বস্ত ঘর-বাড়ি মেরামতে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে সহায়তা দেয়া হবে।

দ্রুত পানি কমবে, কমবে দুর্গতি। ফিরে পাবে স্বাভাবিক জীবন– এমন প্রত্যাশা সবার।