সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি, পানিবন্দী প্রায় ৫০ লাখ মানুষ
- আপডেট সময় : ০২:০৮:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ জুলাই ২০২২
- / ১৫১৫ বার পড়া হয়েছে
সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটেছে। পানিবন্দী জেলার প্রায় ৫০ লাখ মানুষ।
কুশিয়ারা নদী ও মৌলভীবাজারের হাকালুকি হাওরের পানি না কমায় তলিয়ে আছে ৯ উপজেলা।
কর্তৃপক্ষ বলছে, বন্যা প্রতিরোধে নেয়া প্রকল্প যতদিন পর্যন্ত বাস্তবায়িত হবে না, ততদিন বন্যা মোকাবেলা করেই থাকতে হবে সিলেটবাসীকে।
স্থায়ী ব্যবস্থার জন্য ৪ হাজার ৯২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।
ভারি বৃষ্টিপাত আর উজানের পানিতে সিলেট মহানগরীর নিম্নাঞ্চল এবং মৌলভীবাজার জেলা আবারো বন্যার কবলে। তলিয়ে গেছে গ্রামের পর গ্রাম সড়ক ও বাজার। পানিতে ভাসছে বালাগঞ্জ, ফিঞ্চুগঞ্জ, জকিগঞ্জসহ বেশ কয়েকটি উপজেলার সব স্থাপনা। ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন।
একই অবস্থা সিলেট মহানগরীর নিম্নাঞ্চলের। দীর্ঘস্থায়ী বন্যার কবলে পড়েছে রাস্তাঘাট খেলার মাঠ গো-চারণ ভূমিও।
এতে খাদ্য সংকটে পড়েছে গৃহপালিত পশু-পক্ষী ও বন্য পাখিও।
সব কিছু মিলিয়ে এক দুর্বিসহ জীবণ কাটাচ্ছেন বানভাসিরা।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় সিলেট বিভাগসহ বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হতে পারে। বন্যার ছোবল যেন সিলেট বাসীর পিছুই ছাড়ছে না। এরমধ্যে বেড়েছে চোর ডাকাতের উপদ্রব।
কুশিয়ারার নদীর পানি বৃদ্ধিতে গোলাপগঞ্জ উপজেলার ৮ ইউনিয়নের ঘরবাড়ি নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। সিলেটে সুরমা-কুশিয়ারা ও লোভা নদীতে পানি বেড়ে বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি টইটুম্বুর হয়ে আছে। সিলেট মহানগরীর নিচু এলাকাসহ কিছু এলাকার ঘর বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এখন পানির নীচে।
সিলেট আবহাওয়া অফিস তথ্য দিচ্ছে, মাস খানেক ধরে রেকর্ড বৃষ্টিপাতে নদীর পানি হ্রাস পাওয়ার কোন আভাস নেই। সিলেটের সবনদীর সব পয়েন্টের পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
৩য় দফা বন্যায় সিলেটবাসীর দিন কাটছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায়।
সিলেটের নদীগুলোর বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধ ও বন্যার প্রতিবন্ধকতা দূর করতে চার হাজার ৯২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।
মৌলভীবাজারের হাকালুকি হাওরের পানি কি কারণে কমছে না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানালেন এই কর্মকর্তা।