করোনার কারণে উপার্জন কমে যাওয়ায় আর্থিকভাবে ক্ষতির শিকার সিএনজি অটোরিক্সা চালকদের অনেকেই ধার-দেনা করে সংসার চালাচ্ছেন। এ তালিকায় রয়েছে রাজধানীতে প্রায় ১৩ হাজার সিএনজি চালক। তারা সরকারি বা বেসরকারি কোন খাত থেকে সাহায্য-সহযোগিতা পাওয়ার তালিকায় নেই। ফলে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে নিরবে-নিভৃতে অনাহারে দিন পার করছেন। আবার ৩/৪ মাস ধরে বাসা ভাড়া না দিতে পেরে অনেকেই ঢাকা ছেড়েছেন।

রাজধানীর সড়কে দীর্ঘদিন সিএনজি অটোরিক্সা চালান ষাটোর্ধ বয়সী কাজী মাহতাব উদ্দীন। পাঁচ সদস্যের পরিবারের একমাত্র উপার্যন ক্ষম তিনিই। একসময় পরিবার নিয়ে ভালো ভাবে দিন কাটালেও বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে অনেকটা অসহয় হয়ে পড়েছেন। কাজী মাহতাব উদ্দীনের মতো রাজধানীর প্রায় ১৩ হাজার সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকের একই আবস্থা। রাস্তায় যাত্রী কম থাকায় রাস্তার পাশে সিএনজি রেখে অনেক চালককে ঘন্টার পর ঘন্টা যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।

চালকদের সাথে কথা বলে জানাযায়, করোনাভাইরাস আতঙ্কে কেউ এখন একান্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। ফলে স্বাভাবিক সময়ে যেখানে তারা দৈনিক দুই থেকে তিন হাজার টাকার মতো ভাড়া পেতেন সেখানে এখন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকাও পাচ্ছেন না।  তবে আয় না হলেও দিন শেষে মালিকদের নিয়মিত ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে। মালিকরা জানান, আগের মতো এখনও দৈনিক জমার টাকা চালকদের থেকে আদায় করা হয় না। তাছাড়া বেশিরভাগ চালকই পরিস্থিতি দেখে গাড়ি রেখে গ্রামের বাড়িতে চলে গেছেন। ফলে গাড়ি ভাড়া দিতে না পেরে তারাও রয়েছে বিপাকে। এই দঃসময়ে সরকার এসব নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে দাড়াবে এসমটাই প্রত্যাশা তাদের।