সামান্য বৃষ্টিতেই জলমগ্ন চট্টগ্রাম নগরী
- আপডেট সময় : ০১:৫৬:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুন ২০২১
- / ১৫১০ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পে ফের ডিপিপি সংশোধনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে সিডিএ। অথচ খাতা কলমে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে বহু আগে। সুফল আশাতো দুরের কথা, কবে নাগাদ কাজ শেষ হবে তা নিয়েই তৈরী হয়েছে অনিশ্চয়তা। সিডিএ বলছে সরকার চাহিদা অনুযায়ী পুরো টাকার যোগান দিলেই আগামী দুই বছরের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারবেন তারা। আর বিশ্লেষকরা বলছেন, মেয়াদ শেষ করে ডিপিপি সংশোধনের বিষয়টি বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ আছে। এদিকে মাঝপথে এসে প্রকল্পের কাজে ধীরগতিতে সামান্য বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হয়ে পরছে গোটা নগরী।
কখনো গুড়ি গুড়ি আবার কখনো মুষলধারে বৃষ্টিপাত। এতেই বন্দরনগরী চট্টগ্রামের এই চিরচেনা দৃশ্যপট। সবশেষ গেল পরশু সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয় চট্টগ্রামে। এতে জলাবদ্ধতার সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে যায় নগরীতে। কারণ পানি নিস্কাশনের বড় বড় খালগুলোর সবকটিই এখন বন্ধ।
২০১৭ সাল থেকে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ শুরু করেছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সিডিএ। প্রকল্পের মেয়াদ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে, কিন্তু দৃশ্যমান অগ্রগতির কিছুই হয়নি। এখন আবার ডিপিপি সংশোধনের আবদার করেছে প্রতিষ্ঠানটি। সংশোধিত ডিপিপিতে ব্যায় ও সময় দুটোই বাড়ানোর পাশাপাশি অর্থছাড়ের নিশ্চয়তাও চায় সিডিএ।
আর বিশ্লেষকরা বলছেন, খালের মুখগুলো আটকে রেখে, গোটা নগরীকে পানিতে ডুবিয়ে, খরচ বাড়ানোর নামে অর্থ অপচয়ের এই অপকৌশলের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
গেল মাসের মাঝামাঝিতে সর্বনিন্ম মাত্র ১৬ মিলিমিটার বৃষ্টিতেও পানিতে ডুবেছিলো এই বন্দর নগরী। তখনও সিডিএ বলেছিলো, বন্ধ থাকা খালের মুখগুলো শিগগিরই উন্মুক্ত করে দেবেন তারা। কিন্তু একমাস পর গতকালও সে প্রক্রিয়া শুরু করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি।