সাউদাম্পটনকে নিয়ে রীতিমতো ছেলে খেলা করেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
- আপডেট সময় : ০১:৫৩:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১
- / ১৫০৩ বার পড়া হয়েছে
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে সাউদাম্পটনকে নিয়ে রীতিমতো ছেলে খেলা করেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ঘরের মাঠে ওদের ৯-০ গোলে বিধ্বস্ত করে ইপিএল ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড স্পর্শ করলো রেড ডেভিলরা। তবে, হোচট খেয়েছে আর্সেনাল। আগে লিড নিয়েও উলভারহাম্পটন কাছে হেরেছে ২-১ গোলে। এদিকে, রোনালদোর জোড়া গোলে কোপা ইতালিয়া ইন্টার মিলানকে ২-১ গোলে হারিয়েছে জুভেন্টাস।
ঘর যখন বিভীষণ তখন ঘুড়ে দাঁড়ানো ছাড়া আর উপায় কি? চলতি মৌসুমে চারটি ম্যাচ হেরেছে ম্যান ইউ, চারটিই ঘরের মাঠে। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে তাই সাউদাম্পটনের বিপক্ষে রেড ডেভিলদের হার এড়ানোর চ্যালেঞ্জ। কিন্তু কে জানতো এদিন চ্যালেঞ্জকে ছাপিয়ে ইতিহাস গড়ার অপেক্ষায় শোলশায়ার শীষ্যরা।
ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই বড় ধাক্কা খায় সাউদাম্পটন। লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন মিডফিল্ডার আলেকজান্দ্রে ইয়ানকোভিতস।
যে সুযোগে ১৮ মিনিটে ওয়ান বিসাকার গোলে লিড নেয় ম্যান ইউ। সাত মিনিট পর রাশফোর্ডের গোলে ব্যবধান দ্বিগুন।
৩৪ মিনিটে ইয়ান বেদনারেকের আত্মঘাতী গোলে ব্যবধান বাড়ে রেড ডেভিলদের। পাঁচ মিনিট পর স্কোরলাইন ৪-০ করেন এডিনসন কাভানি।
দ্বিতীয়ার্ধেও ব্যবধান গড়তে না পারা সাউদাম্পটন আরও দুই গোল খায় ম্যাচের ৬৯ আর ৭১ মিনিটে।
৮৬ মিনিটে সাউদাম্পটনের হতশ্রী দশা আরও বাড়ে জন বেডনারেক লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে।
৮৭ থেকে ৯৩। এ ছয় মিনিটে আরও তিন গোল দিয়ে ইপিএলে ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড স্পর্শ করে শোলশায়ার দল। ১৯৯৫’র পর আবারো প্রতিপক্ষের জালে ৯ গোল দিল পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
তবে, হেরেছে আর্সেনাল। গানারদের বিপক্ষে উলভারহাম্পটনের জয় ২-১ গোলে।
আর্সেনাল-উলভারহাম্পটন ম্যাচের টার্নিং পয়েন্টও একাধিক লাল কার্ড। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে ডিফেন্ডার ডেভিড লুইজ এবং ৭২ মিনিটে গেল রক্ষক বার্নড লেনোর লাল কার্ডে কপার পোড়ে গানারদের।
অথচ নিকোলাস পেপের গোলে শুরুতে এগিয়ে গিয়েছিলো সফরকারীরা। কিন্তু নেভাস আর মতিনহো নয় ম্যাচে প্রথম জয় উপহার দেন উলভারহাম্পটনকে।
কোপা ইতালিয়ায় যেন আর্সেনালের পথ অনুসরণ করেছে ইন্টার মিলান। সেমিফাইনালের প্রথম লেগে এগিয়ে গিয়ে জুভেন্টাসের কাছে ২-১ গোলে হেরেছে নেরাজ্জুরিরা।
৯ মিনিটে লাউতারো মার্টিনেজ এগিয়ে নেন ইন্টার মিলানকে। এরপর শুধুই রোনালদো শো’।
প্রথমার্ধেই এ পর্তুগীজ সুপারস্টার জোড়া গোল করলে আর ম্যাচে ফেরা হয়নি ইন্টারের। হোম ম্যাচ হারায় ফাইনালের পথ কঠিন হলো অ্যান্তোনিও কন্তের দলের।