সবপণ্যের উর্ধ্বমুখী দামে দিশেহারা স্বল্প আয়ের মানুষ
- আপডেট সময় : ০১:৫৬:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ জুলাই ২০২২
- / ১৫১৮ বার পড়া হয়েছে
কোরবানী ঈদের আগেই চড়া গরম মশলার বাজার। বন্যার প্রভাব পড়েছে রাজধানীর কাঁচাবাজারে।
ব্রয়লার মুরগী বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজিতে। পদ্মা সেতুর বাড়তি টোলে মাছের দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ৫০ টাকা। সবপণ্যের উর্ধ্বমুখী দামে দিশেহারা রাজধানীর স্বল্প আয়ের মানুষ।
রুমা ইসলামের আয় দিয়ে তিন পরিবারের সদস্যদের সংসার চালাতে গিয়ে হিমসিম খেতে হচ্ছে।
বাজারে এসে দ্রব্যমূল্যের এমন দাম দেখে দিশেহারা তিনি। দুর্মূল্যের বাজারের ব্যাগ আর ভর্তি করে নেয়ার সাধ্য নেই।
আয় কিছুই বাড়েনি, তবে বেড়েছে আগের তুলনায় ব্যয়।
কোরবানি ঈদের আগেই বাজারে দাম বেড়ে গেছে সকল গরম মশলার দাম।
দারুচিনি, জিরা, লবঙ্গর ৬০ থেকে ১০০ টাকা বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে। কমছে না শুকনা মরিচের দাম।
১৫ টাকা বেড়ে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৫০ টাকা। তেলের দাম ৬ টাকা কমলেও সেই আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে ভোজ্যতেল।
চাল বিক্রিতে দরের হেরফের রয়েই গেছে। মিলার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে চালের দামে নড়চড় হবে বলে আক্ষেপ ক্রেতাদের। বাজেটের আগেই বেড়েছে মুদি পণ্যের দাম। ফলে একই দরে বিক্রিকে সিন্ডিকেটের কারসাজি বলছেন ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ে। ফলে জমছে ক্ষোভ।
এমনিতেই চড়া দামে বিক্রি হয় সব্জি। তার সঙ্গে জুড়েছে বন্যা। ভারত থেকে আমদানী বন্ধ থাকায় ১২০ টাকা বেড়ে গেছে টমেটোর দাম। বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা কেজিতে। ১০ টাকা বেড়ে সাদা ব্রয়লার কিনতে হচ্ছে ১৬০ টাকায়। পদ্মা সেতুর উচ্চহারের টোলের প্রভাব পড়েছে মাছের বাজারে। গরুর দাম আগের মতোই রয়েছে।
বাজারের এমন কঠিন পরিস্থিতিতে সরকারের সঠিক নজরদারীর তাগিদ ক্রেতাবিক্রেতা ও সাধারণ মানুষের।