রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জাতিসংঘ এবং বিশ্বনেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহবান
- আপডেট সময় : ০২:০৫:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
- / ১৫০৫ বার পড়া হয়েছে
রোহিঙ্গা সংকট দীর্ঘস্থায়ী হলে হুমকির মুখে পড়তে পারে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। যাতে পুরো অঞ্চলই হয়ে উঠতে পারে অস্থিতিশীল। এমন মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার নিউইয়র্কে উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, মানবিক কারণেই রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া হয়েছিল। এই সংকট সমাধানে বিশ্বনেতাদের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানান তিনি। এদিকে, হোয়াইট হাউজে করোনা সংক্রান্ত সম্মেলনে এক ভিডিও বার্তায় করোনা ভাইরাস টিকাকে বৈশ্বিক জনস্বার্থ সামগ্রী ঘোষণার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মহামারি মোকাবিলায় টিকার স্বত্ব বিশ্ববাসীর কাছে উন্মুক্ত করার দাবিও তোলেন তিনি।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমন পীড়নের মুখে ২০১৭ সালের আগস্টে লাখো রোহিঙ্গা পালিয়ে আসে বাংলাদেশে। বর্তমান সরকার মানবিক কারণে তাদের আশ্রয় দিলেও প্রত্যাবর্তন নিয়ে এখনও কোন সুরহা হয়নি। এই নিয়ে বিশ্বনেতাদের সংগে বার বার কথা বলে আসছে বাংলাদেশ সরকার। এবার জাতিসংঘের ৭৬তম অধিবেশন গুরুত্ব পাচ্ছে রোহিঙ্গা ইস্যু।
গেল বুধবার হোটেল লোটে নিউইয়র্ক প্যালেসে উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে নানা বিষয় তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানবিক কারণে তাদের আশ্রয় দেয়া হয়েছিল। এই সংকট দীর্ঘস্থায়ী হলে হুমকির মুখে পড়বে বাংলাদেশ। এই সংকট সমাধানে পাঁচ দফা আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এই সংকটের টেকসই সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে কার্যকর উদ্যোগ নেয়ারও আহবান জানান তিনি।
এদিকে, একইদিনে হোয়াইট হাউজে করোনা সংক্রান্ত সম্মেলনের আয়োজন করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এসময় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় জো বাইডেনকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনার ভ্যাকসিন স্বত্ব নির্দিষ্ট কোন দেশ বা কোম্পানির হাতে না রেখে তা বিশ্ববাসীর কাছে উন্মুক্ত করা উচিত। সেই সাথে উন্নয়নশীল ও এলডিসি দেশগুলোতে স্থানীয়ভাবে ভ্যাকসিন উৎপাদনের অনুমতি অবশ্যই দিতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরো বলে, ২০২২ সালের আগস্টের মধ্যে দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনার পরিকল্পনাও রয়েছে তার। অনুষ্ঠানটিতে আরো বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল সহ বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানরা।