০৮:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

রেলওয়েতে যুক্ত ১০টি ইঞ্জিন কেনায় মানা হয়নি শর্ত

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৩:১২:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ মে ২০২২
  • / ১৫৬৮ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রেলওয়ের বহরে যুক্ত হওয়া ১০টি মিটারগেজ ইঞ্জিন কেনায় নির্ধারিত শর্ত মানা হয়নি। ৩ হাজার হর্স-পাওয়ার ইঞ্জিন দেয়ার কথা থাকলেও, সরবরাহ করা অলটারনেটর ইঞ্জিনের সক্ষমতা মাত্র ২ হাজার হর্স পাওয়ার। খোদ রেলওয়ের তদন্তেই এই অনিয়ম প্রমাণিত হয়েছে। এরপরও সরবরাহকারী কোম্পানীকে লোক দেখানো জরিমানা করেই দায়মুক্তি এবং বিষয়টি ধামাচাপার চেষ্টা চালায় প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। অকপটে তা স্বীকারও করেছেন রেলওয়ে শীর্ষ কর্মকর্তারা। আর টিআইবি বলছে, কথিত জরিমানার মাধ্যমে এতোবড় অনিয়মকে বৈধতা দিলে, ভেঙ্গে পড়বে প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা।

রেলওয়ের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরো শক্তিশালী করতে বেশ ক’বছর ধরেই নানামুখি উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে ২০২০ সালে ১০টি মিটারগেজ লোকমোটিভ বা ইঞ্জিণ ক্রয়ের উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ রেলওয়ে। সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ইঞ্জিণগুলো সরবরাহের দায়িত্ব পায় দক্ষিণ কোরিয়ার হুন্দায় রোটাম কোম্পানি।

২০২০ সালের ৩১ আগস্ট পিএসআই সনদ ছাড়াই লোকমোটিভগুলো চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে পৌছে। পরীক্ষা নিরিক্ষা ছাড়াই খালাসের পর টেস্ট, ট্রায়াল রানে গিয়ে ইঞ্জিনের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পরে তদন্ত করে নির্ধারিত শর্তের তিনটি ক্যাপিটাল কম্পোনেন্টে ভিন্নতা পাওয়া যায়।

অধিকতর তদন্তে দেখা যায়, অলটারনেটর ইঞ্জিনের পাওয়ার তিন হাজার পরিবর্তে ২ হাজার হর্স পাওয়ার, টিএ-১২ মডেলের অলটারনেটরের পরিবর্তে টিএ-৯ মডেল ও ২৯০৯-৯ মডেল ট্রাকশন মোটরের পরিবর্তে শুধু ২৯০৯ মডেলের মোটর পাওয়া যায়। বিষয়টি স্বীকার করে, সাপ্লায়ার কোম্পানীর কাছ থেকে জরিমানা আদায় করার কথা জানান, প্রকল্প পরিচালক।

দুর্নীতি বিরোধী প্রতিষ্ঠান টিআইবি বলছে, যোগসাযোস ছাড়া এতবড় ত্রুটিপুর্ণ লোকমোটিভ রিসিভ হওয়ার কথা নয়। প্রকল্প পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আড়াল করতেই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে জরিমানার বিষয়টি সামনে আনা হয়েছে।

শুরুতে এই প্রকল্পের পরিচালক ছিলেন, নুর আহমেদ হোসেন। তিনি অবসরে যাওয়ার পর নতুন পিডি হন হাসান মনসুর। দুই কর্মকর্তার কেউই লোকমোটিভগুলোর দুর্বলতার কথা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে আগে থেকে জানাননি।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

রেলওয়েতে যুক্ত ১০টি ইঞ্জিন কেনায় মানা হয়নি শর্ত

আপডেট সময় : ০৩:১২:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ মে ২০২২

রেলওয়ের বহরে যুক্ত হওয়া ১০টি মিটারগেজ ইঞ্জিন কেনায় নির্ধারিত শর্ত মানা হয়নি। ৩ হাজার হর্স-পাওয়ার ইঞ্জিন দেয়ার কথা থাকলেও, সরবরাহ করা অলটারনেটর ইঞ্জিনের সক্ষমতা মাত্র ২ হাজার হর্স পাওয়ার। খোদ রেলওয়ের তদন্তেই এই অনিয়ম প্রমাণিত হয়েছে। এরপরও সরবরাহকারী কোম্পানীকে লোক দেখানো জরিমানা করেই দায়মুক্তি এবং বিষয়টি ধামাচাপার চেষ্টা চালায় প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। অকপটে তা স্বীকারও করেছেন রেলওয়ে শীর্ষ কর্মকর্তারা। আর টিআইবি বলছে, কথিত জরিমানার মাধ্যমে এতোবড় অনিয়মকে বৈধতা দিলে, ভেঙ্গে পড়বে প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা।

রেলওয়ের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরো শক্তিশালী করতে বেশ ক’বছর ধরেই নানামুখি উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে ২০২০ সালে ১০টি মিটারগেজ লোকমোটিভ বা ইঞ্জিণ ক্রয়ের উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ রেলওয়ে। সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ইঞ্জিণগুলো সরবরাহের দায়িত্ব পায় দক্ষিণ কোরিয়ার হুন্দায় রোটাম কোম্পানি।

২০২০ সালের ৩১ আগস্ট পিএসআই সনদ ছাড়াই লোকমোটিভগুলো চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে পৌছে। পরীক্ষা নিরিক্ষা ছাড়াই খালাসের পর টেস্ট, ট্রায়াল রানে গিয়ে ইঞ্জিনের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পরে তদন্ত করে নির্ধারিত শর্তের তিনটি ক্যাপিটাল কম্পোনেন্টে ভিন্নতা পাওয়া যায়।

অধিকতর তদন্তে দেখা যায়, অলটারনেটর ইঞ্জিনের পাওয়ার তিন হাজার পরিবর্তে ২ হাজার হর্স পাওয়ার, টিএ-১২ মডেলের অলটারনেটরের পরিবর্তে টিএ-৯ মডেল ও ২৯০৯-৯ মডেল ট্রাকশন মোটরের পরিবর্তে শুধু ২৯০৯ মডেলের মোটর পাওয়া যায়। বিষয়টি স্বীকার করে, সাপ্লায়ার কোম্পানীর কাছ থেকে জরিমানা আদায় করার কথা জানান, প্রকল্প পরিচালক।

দুর্নীতি বিরোধী প্রতিষ্ঠান টিআইবি বলছে, যোগসাযোস ছাড়া এতবড় ত্রুটিপুর্ণ লোকমোটিভ রিসিভ হওয়ার কথা নয়। প্রকল্প পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আড়াল করতেই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে জরিমানার বিষয়টি সামনে আনা হয়েছে।

শুরুতে এই প্রকল্পের পরিচালক ছিলেন, নুর আহমেদ হোসেন। তিনি অবসরে যাওয়ার পর নতুন পিডি হন হাসান মনসুর। দুই কর্মকর্তার কেউই লোকমোটিভগুলোর দুর্বলতার কথা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে আগে থেকে জানাননি।