১২:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

রিজেন্টের প্রতারক মো. শাহেদ সাতক্ষীরার ছেলে হলেও তার অপরাধের দায় নিতে রাজি নয় স্থানীয়রা

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৩:২৪:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জুলাই ২০২০
  • / ১৫১০ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রিজেন্টের প্রতারক মো. শাহেদ সাতক্ষীরার ছেলে হলেও তার অপরাধের দায় নিতে রাজি নয় স্থানীয়রা । এলাকার বেশিরভাগ মানুষ তাকে না চিনলেও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করেছে। এদিকে পুলিশসহ সরকারের বিভিন্ন বিভাগ শাহেদের ব্যাপারে অধিকতর তদন্তে নেমেছে। সাতক্ষীরার আওয়ামীলীগের দলীয় নেতাকর্মীসহ প্রত্যেকেই তার অপকর্মের শাস্তি দাবি করেছে।

সাতক্ষীরার ছেলে শাহেদ করিম ঢাকায় গিয়ে হয়েছেন মো. শাহেদ। করোনা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে যে ভয়াবহ প্রতারণা করেছেন, তাতে বিস্মিত সারাদেশের মানুষ। গাড়িতে ফ্ল্যাগ স্ট্যান্ড, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্টিকার। সঙ্গে গানম্যান। ক্ষমতাসীনদলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে ছবি তুলে সেই ছবি বিলবোর্ডে সাঁটিয়ে দিয়েছেন হাসপাতালের সামনে।

মো. সাহেদের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহে এবং অপরাধ কর্মকান্ডের খোঁজখবর নিতে মাঠে নেমেছে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ । জানা যায়, শাহেদের বাবা সিরাজুল করিম ও মা মিসেস সাফিয়া করিম শাহেদের অনৈতিক কর্মকান্ড ও তার বিরুদ্ধে মামলার পাহাড়ে চিন্তিত ছিলো। শাহেদ বরাবরই ঢাকাতে থাকতো সাতক্ষীরায় আসতো কম। সাতক্ষীরার মানুষ তার বিরুদ্ধে তেমন কিছুই জানতো না। তার ভিন্নধর্মি শারিরীক অবয়ব ও টেলিভিশন টকশো’তে তাকে দেখে চিনতো, কিন্তু শাহেদ করিম যে সাতক্ষীরার সেটা বেশীরভাগ মানুষ জানে না।

বিএনপি’র আমলেও ক্ষমতাসীন অনেকের সঙ্গে মো. সাহেদর সুস্পর্ক ছিল । ১/১১ সরকারের সময় তিনি দুই বছর জেলে ছিলেন, জেল থেকে বের হয়ে শাহেদ ২০১১ সালে ধানমন্ডির ১৫ নম্বর রোডে খোলেন এমএলএম কোম্পানী বিডিএস ক্লিক ওয়ানের ব্যবসা। এ সময় তার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে শত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে।

স্বাস্থ্য সেবার নামে প্রতারনা করায় হতবাক জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা। তাই সাহেদ বিরুদ্ধে কঠোর আইনী ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের। সাহেদর বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহে এবং অপরাধ কর্মকান্ডের খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার। প্রতারক সাহেদের উপযুক্ত শাস্তির দাবী সাতক্ষীরাবাসীর।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

রিজেন্টের প্রতারক মো. শাহেদ সাতক্ষীরার ছেলে হলেও তার অপরাধের দায় নিতে রাজি নয় স্থানীয়রা

আপডেট সময় : ০৩:২৪:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জুলাই ২০২০

রিজেন্টের প্রতারক মো. শাহেদ সাতক্ষীরার ছেলে হলেও তার অপরাধের দায় নিতে রাজি নয় স্থানীয়রা । এলাকার বেশিরভাগ মানুষ তাকে না চিনলেও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করেছে। এদিকে পুলিশসহ সরকারের বিভিন্ন বিভাগ শাহেদের ব্যাপারে অধিকতর তদন্তে নেমেছে। সাতক্ষীরার আওয়ামীলীগের দলীয় নেতাকর্মীসহ প্রত্যেকেই তার অপকর্মের শাস্তি দাবি করেছে।

সাতক্ষীরার ছেলে শাহেদ করিম ঢাকায় গিয়ে হয়েছেন মো. শাহেদ। করোনা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে যে ভয়াবহ প্রতারণা করেছেন, তাতে বিস্মিত সারাদেশের মানুষ। গাড়িতে ফ্ল্যাগ স্ট্যান্ড, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্টিকার। সঙ্গে গানম্যান। ক্ষমতাসীনদলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে ছবি তুলে সেই ছবি বিলবোর্ডে সাঁটিয়ে দিয়েছেন হাসপাতালের সামনে।

মো. সাহেদের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহে এবং অপরাধ কর্মকান্ডের খোঁজখবর নিতে মাঠে নেমেছে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ । জানা যায়, শাহেদের বাবা সিরাজুল করিম ও মা মিসেস সাফিয়া করিম শাহেদের অনৈতিক কর্মকান্ড ও তার বিরুদ্ধে মামলার পাহাড়ে চিন্তিত ছিলো। শাহেদ বরাবরই ঢাকাতে থাকতো সাতক্ষীরায় আসতো কম। সাতক্ষীরার মানুষ তার বিরুদ্ধে তেমন কিছুই জানতো না। তার ভিন্নধর্মি শারিরীক অবয়ব ও টেলিভিশন টকশো’তে তাকে দেখে চিনতো, কিন্তু শাহেদ করিম যে সাতক্ষীরার সেটা বেশীরভাগ মানুষ জানে না।

বিএনপি’র আমলেও ক্ষমতাসীন অনেকের সঙ্গে মো. সাহেদর সুস্পর্ক ছিল । ১/১১ সরকারের সময় তিনি দুই বছর জেলে ছিলেন, জেল থেকে বের হয়ে শাহেদ ২০১১ সালে ধানমন্ডির ১৫ নম্বর রোডে খোলেন এমএলএম কোম্পানী বিডিএস ক্লিক ওয়ানের ব্যবসা। এ সময় তার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে শত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে।

স্বাস্থ্য সেবার নামে প্রতারনা করায় হতবাক জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা। তাই সাহেদ বিরুদ্ধে কঠোর আইনী ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের। সাহেদর বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহে এবং অপরাধ কর্মকান্ডের খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার। প্রতারক সাহেদের উপযুক্ত শাস্তির দাবী সাতক্ষীরাবাসীর।