০৯:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বেপরোয়া ইন্টার্ন চিকিৎসকদের রুখবে কে ?

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০২:০৪:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ১৬৫১ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মরদেহ আটকে রেখে মুক্তিযোদ্ধা ও ছেলেকে পিটিয়ে মামলা।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বেপরোয়া ইন্টার্ন চিকিৎসকদের রুখবে কে- এমন প্রশ্ন সকলের। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে তাদের হামলার শিকার হচ্ছেন রোগী ও অ্যান্টেনডেন্টরা। ইন্টার্নদের বর্বর হামলা থেকে বাদ পড়েননি সাংবাদিকরাও। কিন্তু এসব ঘটনায় বিচার তো দুরের কথা ন্যূনতম কোনো ব্যবস্থাও নেয়া হয়নি। তবে এবার মরদেহ আটকে রেখে মুক্তিযোদ্ধা ও তার ছেলেকে পেটানোর ঘটনার বিচার দাবিতে মাঠে নেমেছেন মুক্তিযোদ্ধারা। ন্যায় বিচার না পেলে নিজেদের শরীরে আগুন ধরিয়ে আত্মাহুতির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।

গেল বুধবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিনা চিকিৎসায় মায়ের মৃত্যুর অভিযোগ তুলে উচ্চৈস্বরে কান্নাকাটি করেন তার ছেলে শিক্ষা কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম। এসময় কয়েকজন ইন্টার্ন চিকিৎসক তাকে ভর্ৎসনা করে ওয়ার্ড থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করলে ধস্তাধস্তি হয়। পরে জোটবদ্ধ হয়ে কয়েক দফা রাকিবুল ও তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ইসাহাক আলীর বুকে লাথি মারেন ও বেধড়ক পেটান ইন্টার্নরা।

এঘটনার পর পুলিশ ডেকে রাকিবুলকে ধরিয়ে দেয়া হয়। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কোর্টে পাঠানো হয়। ওইদিনই সন্ধ্যায় জামিনে বেরিয়ে এসে মায়ের দাফন কাজে অংশ নেন রাকিবুল। এদিকে হাসপাতালে এমন ঘটনার বিচার দাবিতে মাঠে নেমেছেন রাজশাহীর মুক্তিযোদ্ধারা। অভিযুক্তদের বিচার না হলে নিজেদের গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মাহুতির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে মানববন্ধন থেকে। বিচারের দাবিতে সোচ্চার বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনগুলোও।

এসব ঘটনার দায় রোগীর স্বজনদের ওপর চাপালেও দু’পক্ষেরই সহনশীল আচরণ প্রয়োজন – বলছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকদের এই নেতা। গেল দশ বছরে এই হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের হাতে রোগী ও তাদের স্বজনদের ওপর হামলা এবং লাঞ্ছিতের শতাধিক ঘটনা ঘটেছে। আর ৬ বছর ধরে নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে সাংবাদিক প্রবেশেও।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বেপরোয়া ইন্টার্ন চিকিৎসকদের রুখবে কে ?

আপডেট সময় : ০২:০৪:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২০

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মরদেহ আটকে রেখে মুক্তিযোদ্ধা ও ছেলেকে পিটিয়ে মামলা।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বেপরোয়া ইন্টার্ন চিকিৎসকদের রুখবে কে- এমন প্রশ্ন সকলের। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে তাদের হামলার শিকার হচ্ছেন রোগী ও অ্যান্টেনডেন্টরা। ইন্টার্নদের বর্বর হামলা থেকে বাদ পড়েননি সাংবাদিকরাও। কিন্তু এসব ঘটনায় বিচার তো দুরের কথা ন্যূনতম কোনো ব্যবস্থাও নেয়া হয়নি। তবে এবার মরদেহ আটকে রেখে মুক্তিযোদ্ধা ও তার ছেলেকে পেটানোর ঘটনার বিচার দাবিতে মাঠে নেমেছেন মুক্তিযোদ্ধারা। ন্যায় বিচার না পেলে নিজেদের শরীরে আগুন ধরিয়ে আত্মাহুতির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।

গেল বুধবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিনা চিকিৎসায় মায়ের মৃত্যুর অভিযোগ তুলে উচ্চৈস্বরে কান্নাকাটি করেন তার ছেলে শিক্ষা কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম। এসময় কয়েকজন ইন্টার্ন চিকিৎসক তাকে ভর্ৎসনা করে ওয়ার্ড থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করলে ধস্তাধস্তি হয়। পরে জোটবদ্ধ হয়ে কয়েক দফা রাকিবুল ও তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ইসাহাক আলীর বুকে লাথি মারেন ও বেধড়ক পেটান ইন্টার্নরা।

এঘটনার পর পুলিশ ডেকে রাকিবুলকে ধরিয়ে দেয়া হয়। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কোর্টে পাঠানো হয়। ওইদিনই সন্ধ্যায় জামিনে বেরিয়ে এসে মায়ের দাফন কাজে অংশ নেন রাকিবুল। এদিকে হাসপাতালে এমন ঘটনার বিচার দাবিতে মাঠে নেমেছেন রাজশাহীর মুক্তিযোদ্ধারা। অভিযুক্তদের বিচার না হলে নিজেদের গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মাহুতির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে মানববন্ধন থেকে। বিচারের দাবিতে সোচ্চার বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনগুলোও।

এসব ঘটনার দায় রোগীর স্বজনদের ওপর চাপালেও দু’পক্ষেরই সহনশীল আচরণ প্রয়োজন – বলছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকদের এই নেতা। গেল দশ বছরে এই হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের হাতে রোগী ও তাদের স্বজনদের ওপর হামলা এবং লাঞ্ছিতের শতাধিক ঘটনা ঘটেছে। আর ৬ বছর ধরে নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে সাংবাদিক প্রবেশেও।