রপ্তানীমুখী শিল্পগুলোকে বিধিনিষেধের আওতামুক্ত রাখার দাবি মালিকদের
- আপডেট সময় : ০১:৫৪:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ জুলাই ২০২১
- / ১৫০৭ বার পড়া হয়েছে
ঈদের পর কঠোর বিধিনিষেধে রপ্তানীমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকার ঘোষণায় ইতোমধ্যে ডিসকাউন্ট অফার শুরু করেছে বিদেশী বায়াররা। কেউ কেউ বিমানে পণ্য পাঠানোর তাগিদও দিচ্ছে। এই অবস্থায় রপ্তানীমুখি শিল্পগুলোকে বিধিনিষেধের আওতামুক্ত না রাখলে বাজার হারানোর পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক শ্রমিক-কর্মচারীর কর্মসংস্থানও হুমকিতে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ী নেতারা। আর চট্টগ্রাম চেম্বার বলছে ঈদের ছুটির সঙ্গে বিধিনিষেধ যুক্ত হলে ভয়াবহ জটের মুখে পড়বে চট্টগ্রাম বন্দর।
করোনার কারণে জাতীয় অর্থনীতির সবগুলো অনুসঙ্গই কম-বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে আশার আলো দেখিয়েছে তৈরী পোষাক শিল্প। ২০২০ সালের জুন মাসের চেয়ে গেল জুনে রপ্তানী প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৩ শতাংশের কাছাকাছি। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১৪ দিনে গড়ে প্রতিদিন রপ্তানী হয়েছে ১২০ মিলিয়ন ডলারের বেশি।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইউরোপ আমেরিকার মতো রপ্তানীমুখী দেশগুলো এখন করোনার প্রভাব কাটিয়ে স্বাভাবিক হচ্ছে। এতে আন্তর্জাতিক বাজারে পর্যাপ্ত পণ্যের চাহিদাও রয়েছে। তাই এ মুহুর্তে বাজার ধরতে না পারলে হোচট খাবে দেশের প্রধান রপ্তানীমুখি শিল্প।
বিজিএমইএ বলছে, করোনার শুরু থেকেই বিধিনিষেধ মেনে প্রতিষ্ঠান পরিচালতায় দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে বাংলাদেশের তৈরী পোষাক শিল্প। প্রায় দুই হাজার প্রতিষ্ঠানে ৪০ লাখ শ্রমীকের করোনা সংক্রমনের হার মাত্র শুন্য দশমিক শুন্য চার শতাংশ। তাই প্রতিযোগীতামুলক বাজারে টিকে থাকার প্রয়োজনে বিধিনিষেধে আরো কঠিন শর্ত দিয়ে হলেও কারখানা খোলা রাখতে চান তারা।
আর চট্টগ্রাম চেম্বার বলছে শুধু তৈরী পোষাকই নয়। অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে হলে খোলা রাখতে হবে ভারি ইন্ডাস্ট্রি, পচনশীল ও খাদ্যপণ্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। নচেত ভয়াবহ জটের মুখোমুখি হবে বন্দরগুলো।প্রতিদিন প্রায় ৪ হাজার ট্রাক ও লরি আমদানী পণ্য ডেলিভারী হয় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে। ঈদ ও বিধিনিষেধ মিলিয়ে ১৫ দিনের বন্ধে স্থবিরতা নামবে বন্দরের সার্বিক কার্যক্রমে। এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।