বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের লভ্যাংশ নিয়ে নানা প্রশ্ন
- আপডেট সময় : ০২:৩৯:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১
- / ১৫০৬ বার পড়া হয়েছে
শুধু কাগজ-কলমেই সীমাবদ্ধ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের লভ্যাংশ । ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২১৮ কোটি টাকা লাভ হয়েছে দাবিও করা হলেও এ নিয়ে নানা ধরনের প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিমান এখন ঋণের বোঝায় কাহিল। এত পরিমাণ ঋণের টাকা মাথায় নিয়ে বিমানের লাভ হয়েছে এ কথা বলাটা যুক্তিযুক্ত নয়। আর বিমান প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সনীতি ঘোষণা করায় লাভ হচ্ছে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের বিশ্লেষণে পত্রিকার পাতায় নজর দেয়া যাক।
গণমাধ্যমের রিপোর্ট বলছে, ১০ বছরের মধ্যে ছয় বছর বিমানের মোট লোকসান এক হাজার ৪৫৬ কোটি টাকা। বাকি সময়ে সংস্থাটির মোট লাভ ৭৭৭ কোটি টাকা। কিন্তু এ সময়ে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে বিমান। এখনো ১০ হাজার ৪০০ কোটি টাকা বকেয়া। এর মধ্যে ফ্লাইট পরিচালনা বাবদ বিমানের কাছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের পাওনা এক হাজার ৪০০ কোটি টাকা। আর বাকিতে তেল দেয়া পদ্মা অয়েল পাবে এক হাজার ৯০ কোটি টাকা। ২০০৭ সালে বিশ্বব্যাংক থেকে নেয়া ২৯০ কোটি টাকা ঋণ বেড়ে দাড়িয়েছে ৪১৯ কোটি টাকা।
এখনো পরিশোধ করা হয়নি ১৯৮৪ সালে ডিসি-১০ কেনার ঋণের ২২২ কোটি টাকা। বকেয়া কর, যন্ত্রাংশ আমদানি ও গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং বিল বাবদ সরকারের কাছে বিমানের দেনা ২ হাজার কোটি টাকারও বেশি। এমন বিশাল ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে বিমান কিভাবে লাভের মুখ দেখে ? এমন প্রশ্ন ছিল বেসামরিক-বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রীর কাছে।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিমান মোট আয় করেছে পাঁচ হাজার ৭৯১ কোটি টাকা, একই সময়ে সংস্থাটির ব্যয় হয় পাঁচ হাজার ৫১৯ কোটি টাকা। এতে ২১৮ কোটি টাকা লাভ হয় সংস্থাটির। কিন্তু মাত্র এক বছরের মধ্যে লোকসান কাটিয়ে মুনাফা করার দাবি পুরোপুরি যৌক্তিক মনে করেন না বিশ্লেষকরা।
বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জানান, বিমানের কাছে পাওনা সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা।সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনাই বিমানকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে।
এসব বিষয়ে জানতে বিমানের সদরদপ্তর বলাকায় গেলে ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেশে না থাকার অজুহাতে দেখিয়ে বিমানের কেউ কথা বলতে রাজি হয়নি।