বিটিসিএলের ল্যান্ডফোনে হয়রানি-দুর্নীতি না কমায় ক্ষোভের শেষ নেই গ্রাহকদের
- আপডেট সময় : ০৭:৪৬:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
- / ১৫১১ বার পড়া হয়েছে
যোগাযোগ প্রযুক্তির সুবর্ণ সময়ে এসেও বিটিসিএলের ল্যান্ডফোন গ্রাহকদের হয়রানির শেষ নেই। আগের মতোই মাসের পর মাস ঘুরতে হয়–একটি সংযোগ পেতে। শুধু ডিমান্ড নোট ইস্যুতেই জমা দিতে হয়–নানা কাগজপত্র। আর সবটা দিতে না পারলে—উৎকোচের বিনিময়ে নিতে হয় ছাড়পত্র। গ্রাহকদের অভিযোগ, ভোগান্তি কমাতে বিটিসিএল কর্তৃপক্ষের কোন তৎপরতাই নেই। তাই মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন–ল্যান্ডফোন গ্রাহকরা। তবে অনলাইনে আবেদন করে দ্রুত সমাধান মিলবে বলে মনে করেন বিটিসিএলের এমডি রফিকুল মতিন।
সংযোগ পেতে জটিলতা এবং নানা হয়রানী থাকলেও ইন্টারনেট সংযোগ সুবিধা থাকায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বাসা বাড়িতে বিটিসিএলের ল্যান্ডফোন ব্যবহার করতে চায় মানুষ। গেল বছরও ৩২ হাজার নতুন গ্রাহক যোগ হয়েছে সরকারি টেলিযোগাযোগ সেবায়। প্রতিদিন পড়ে নতুন সংযোগের আবেদন।
নতুন সংযোগ নিতে মিরপুর বিটিসিএলের শাখা অফিসে আসা দুই গ্রাহক জানান, সংযোগ পাওয়ার জন্য, ট্রেড লাইসেন্স, অফিস ভাড়ার চুক্তি, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং সত্যায়িত ছবিসহ যেসব তথ্য চেয়েছে এসব তথ্যের নামে হয়রানী ছাড়া আর কিছুই না। তাছাড়া বিনামূল্যে লাইন সংযোগ বলা হলেও এক গ্রাহকের কাছে ৬ হাজার টাকা ঘুষ চাওয়া হয় বলেও জানান তিনি।
মিরপুর এলাকায় আরেকজন গ্রাহক জানান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য বিটিসিএল’র নতুন সংযোগের আবেদনের তিন মাসেও সংযোগ মিলেনি বলে জানান তারা।
তবে সংযোগ শর্ত শিথিল করার পাশাপশি ল্যান্ডফোনে গ্রাহক টানতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান বিটিসিএলএর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল মতিন।
দীর্ঘসময় ধরে চলে আসা নিয়ম কানুন থেকে বের হয়ে আসতে কিছুটা সময় লাগলেও আবারও মানুষ ঘরে ঘরে ল্যান্ডফোন ব্যবহার করার প্রত্যাশা বিটিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের।