বর্ষার পরেই স্থায়ী সমাধান, বর্ষা শেষে সওজের আর দেখা মেলে না
- আপডেট সময় : ০৩:৪২:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
- / ১৫০৮ বার পড়া হয়েছে
গত চার বছরে, পর পর তিনবার সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের তিন কিলোমিটার সড়ক শুধু ইট-সুড়কি দিয়ে আংশিক মেরামত করা হয়েছে । শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার,বিদ্যুৎ কেন্দ্র, নির্মিতব্য শেখ হাসিনা মেরিন একাডেমিসহ অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করতে হয় এই রাস্তা দিয়ে। স্থায়ী মেরামতের উদ্যোগ না নেয়ায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের দায়িত্বহীনতাকে দুষছে সংশ্লিষ্টরা। তিনবার আলাদা আলাদাভাবে মেরামত করায় ঠিকাদারকে বিলও দিতে হয়েছে অতিরিক্ত টাকা।
২০১৭ সালের জুনে প্রথম দফা সাময়িকভাবে ইট-সুড়কি দিয়ে মেরামত করা হয় সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের ভাঙ্গা অংশ। এর মধ্যে ছিল সিলেট নগরীর সুবিদ বাজার, মদিনা মার্কেট ও শহরতলীর টুকেরবাজার এলাকা। বরাদ্দ পেলে স্থায়ী মেরামতের কথা থাকলেও, তা আর হয়নি। এরপর, বৃষ্টি ও অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে ভেঙ্গে গেলে একইভাবে দ্বিতীয় দফা মেরামত করা হয়। গত বছরের শেষ দিকে, আবারো মেরামত করতে হয়েছে। বর্ষায় আবারো ধুঁয়ে-মুছে গেছে সেই, ইট-সুড়কি। শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে তিমুখি পর্যন্ত এখন একমুখী চলাচল। প্রতিদিনই ঘটছে নানা দুর্ঘটনা।
বর্ষার পরেই স্থায়ী সমাধান হবে বলে প্রতিবছর প্রতিশ্রুতি দেয় সড়ক ও জনপথ বিভাগ।তাদের অনুরোধে এলাকার মানুষ রাস্তার পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে।কিন্তু,বর্ষা শেষে সওজের আর দেখা মেলে না বলে অভিযোগ করেন, স্থানীয় এই ইউপি সদস্য।
ঝুঁকি নিয়ে এই রাস্তায় সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের হাই-প্রোফাইল বন্দীদের আদালতে আনা–নেয়া করে, সংশ্লিষ্টরা।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ নিজেরা কিছু ইট ফেলে চলাচলের ব্যবস্থা করার কথা জানান। পরবর্তীতে , সাময়িক মেরামতের জন্য এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ২৭ লাখ টাকা দেয়ার কথা স্বীকার করলেও বিভাগীয় প্রধানের দোহাই দিয়ে ক্যামেরায় বক্তব্য দেননি সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী।
উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তদারকি থাকলে রাষ্ট্রীয় অর্থের সদ্ব্যবহার হবে এবং মানুষের দুর্ভোগ কমবে বলে মনে করেন ভুক্তভোগীরা।