০১:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

বন্যার পানি নেমে গেলেও দুর্ভোগে পড়েছেন বানভাসীরা

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ১২:১১:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ অগাস্ট ২০২০
  • / ১৫২২ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বন্যার পানি নেমে গেলেও কুড়িগ্রাম, মাদারীপুর, সিরাজগঞ্জ, মানিকগঞ্জ ও নেত্রকোনায় দুর্ভোগে পড়েছেন বানভাসীরা। দীর্ঘ বন্যার পরবর্তী সময়েও হাতে কোন কাজ না থাকায় খাদ্য সংকটে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে বন্যা দুর্গতদের।

এবারের দীর্ঘ বন্যা শেষে পানি নেমে গেলেও ভালো নেই কুড়িগ্রামে চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের মানুষজন। দুর্গত চরাঞ্চলগুলোতে কর্মহীন মানুষজনের খাদ্য সংকট বেড়েই চলেছে। দিনে দিনে গো-খাদ্যের সংকট প্রকট হয়ে উঠছে। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ঘর-বাড়িতে ফিরতে পারেননি অনেক বানভাসী পরিবার।  সরকারী হিসাবে বন্যায় ৫ শত ঘর-বাড়ি নদী ভাঙ্গন ও পানিতে ভেসে যাওয়ার হিসাব দেয়া হলেও বাস্তবে তা অনেক বেশি।

মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা ও আড়িয়াল খা নদে তীব্র স্রোতে ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। এ পর্যন্ত দুইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কয়েক শতাধিক ঘরবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। পদ্মা ও আড়িয়াল খা নদে তীব্র স্রোতে অব্যাহত থাকায় নদী ভাঙ্গন প্রকট আকার ধারণ করেছে।শিবচরের পদ্মা নদীর চরাঞ্চলের চরজানাজাত, কাঠালবাড়ি, বন্দরখোলা ও সন্যাসীর চর ইউনিয়নে নদী ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে।

যমুনাসহ অভ্যান্তরীণ সকল নদ-নদীর পানি কমা অব্যাহত থাকায় সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থির আরও উন্নতি হয়েছে।গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি শহররক্ষা বাঁধের হার্ডপয়েন্টে আরও ১৭ সেন্টিমিটার কমে সকাল ৬ টা পর্যন্ত বিপদসীমার ৩৯ এবং একই সময় কাজিপুর পয়েন্টেও আরও ১১ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।

মানিকগঞ্জের যমুনা নদীর পানি শিবালয়ের আরিচা পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায়  ১৭ সেন্টিমিটার কমেছে। পানি কমতে থাকায় জেলার ক্ষয়ক্ষতি দৃশ্যমান হচ্ছে। জেলার ৭টি উপজেলার ৬টি উপজেলার অভ্যন্তরীন সড়কে ভেঙ্গে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। অনেক সড়কে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে

এদিকে, নেত্রকোনার পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী খালিয়াজুরী পয়েন্টে ধনু নদীর পানি এখনো বিপদসীমার ৩২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।এতে উপজেলার অনেক মানুষ এখনও পানিবন্দি রয়েছে। এছাড়া কংস, সোমেশ্বরী, উব্দাখালীসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে দীর্ঘ মেয়াদী বন্যায় দুর্ভোগ বেড়েছে বানভাসি মানুষের।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বন্যার পানি নেমে গেলেও দুর্ভোগে পড়েছেন বানভাসীরা

আপডেট সময় : ১২:১১:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ অগাস্ট ২০২০

বন্যার পানি নেমে গেলেও কুড়িগ্রাম, মাদারীপুর, সিরাজগঞ্জ, মানিকগঞ্জ ও নেত্রকোনায় দুর্ভোগে পড়েছেন বানভাসীরা। দীর্ঘ বন্যার পরবর্তী সময়েও হাতে কোন কাজ না থাকায় খাদ্য সংকটে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে বন্যা দুর্গতদের।

এবারের দীর্ঘ বন্যা শেষে পানি নেমে গেলেও ভালো নেই কুড়িগ্রামে চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের মানুষজন। দুর্গত চরাঞ্চলগুলোতে কর্মহীন মানুষজনের খাদ্য সংকট বেড়েই চলেছে। দিনে দিনে গো-খাদ্যের সংকট প্রকট হয়ে উঠছে। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ঘর-বাড়িতে ফিরতে পারেননি অনেক বানভাসী পরিবার।  সরকারী হিসাবে বন্যায় ৫ শত ঘর-বাড়ি নদী ভাঙ্গন ও পানিতে ভেসে যাওয়ার হিসাব দেয়া হলেও বাস্তবে তা অনেক বেশি।

মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা ও আড়িয়াল খা নদে তীব্র স্রোতে ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। এ পর্যন্ত দুইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কয়েক শতাধিক ঘরবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। পদ্মা ও আড়িয়াল খা নদে তীব্র স্রোতে অব্যাহত থাকায় নদী ভাঙ্গন প্রকট আকার ধারণ করেছে।শিবচরের পদ্মা নদীর চরাঞ্চলের চরজানাজাত, কাঠালবাড়ি, বন্দরখোলা ও সন্যাসীর চর ইউনিয়নে নদী ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে।

যমুনাসহ অভ্যান্তরীণ সকল নদ-নদীর পানি কমা অব্যাহত থাকায় সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থির আরও উন্নতি হয়েছে।গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি শহররক্ষা বাঁধের হার্ডপয়েন্টে আরও ১৭ সেন্টিমিটার কমে সকাল ৬ টা পর্যন্ত বিপদসীমার ৩৯ এবং একই সময় কাজিপুর পয়েন্টেও আরও ১১ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।

মানিকগঞ্জের যমুনা নদীর পানি শিবালয়ের আরিচা পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায়  ১৭ সেন্টিমিটার কমেছে। পানি কমতে থাকায় জেলার ক্ষয়ক্ষতি দৃশ্যমান হচ্ছে। জেলার ৭টি উপজেলার ৬টি উপজেলার অভ্যন্তরীন সড়কে ভেঙ্গে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। অনেক সড়কে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে

এদিকে, নেত্রকোনার পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী খালিয়াজুরী পয়েন্টে ধনু নদীর পানি এখনো বিপদসীমার ৩২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।এতে উপজেলার অনেক মানুষ এখনও পানিবন্দি রয়েছে। এছাড়া কংস, সোমেশ্বরী, উব্দাখালীসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে দীর্ঘ মেয়াদী বন্যায় দুর্ভোগ বেড়েছে বানভাসি মানুষের।