০৮:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

প্রায় অস্তিত্ব হারানো পাগলা নদীতে এখন দু’কূল ছাপানো ঢেউ

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০১:৫৭:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জুলাই ২০২০
  • / ১৫১৪ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রায় অস্তিত্ব হারানো পাগলা নদীতে এখন দু’কূল ছাপানো ঢেউ। ফারাক্কার প্রভাবে পানি সংকটে ভরাট ও দখলের কারণে প্রবাহ ছিল না এ নদীতে। তবে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দখলমুক্ত করে খননের পর সেই মরা নদীতেই ফিরেছে ভরা যৌবন। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, এই পানি সংরক্ষণ করে খরা মওসুমে কৃষিকাজে ব্যবহারের উদ্যোগ নেয়া হবে। এতে বদলে যাবে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষি। ফিরে আসবে মাছের যোগানও।

পাগলার বুকে দু’কুল ছাপানো ঢেউ ও জেলেদের সারি সারি নৌকা ঠিক কত বছর আগে ছিল, তার হিসেব হয়তো ভুলতে বসছিলেন নদীপাড়ের মানুষ। উজানে ফারাক্কা বাঁধের কারণে স্বাভাবিক প্রবাহ না থাকায় প্রায় সারা বছরই পানিশুন্য হয়ে পড়ে নদী।বর্ষায় জমতো সামান্য। তবে খরায় মরা নদী পাড়ি দেয়া যেত পায়ে হেঁটেই। নদীতে চাষ হতো ফসল। এছাড়া, প্রভাবশালীদের দখলে প্রায় অস্তিত্ব হারাতে বসে পাগলা।

তবে ২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে শুরু হয় নদীর তলদেশ খননের কাজ। ফলে গেল বোরো মওসুমে এ নদীর পানিতেই ধান চাষ করেছেন কৃষকরা। বেড়েছে দেশী মাছের উৎপাদনও।

নদী মরে যাওয়ায় শহরে যাতায়াতে সবচেয়ে কষ্টে পড়েছিলেন চরাঞ্চলের মানুষ। তবে খননের পর এখন নাব্য ফেরায় জরুরি চিকিৎসাসেবার জন্য নৌ অ্যাম্বুলেন্সের সুবিধা পেতে যাচ্ছেন চরবাসীর । দেশী মাছের ঘাটতি মেটাতে নদীর আট কিলোমিটারজুড়ে করা হবে অভয়ারণ্য। জেলাজুড়েই এর সুফল মিলবে কৃষিতেও।

এদিকে, পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, বর্ষার পানি ধরতে রাখতে দ্বিতীয় পর্যায়ে ড্যাম নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হবে। এতে খরা মওসুমেও থাকবে পানির যোগান। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দখলমুক্ত করা হয় নদীটি। এরপর ‘ছোট নদী, খাল ও জলাশয় পুনঃখনন প্রকল্পের’ আওতায় নদীর ৪১ কিলোমিটার খনন করা হয়। এ প্রকল্পে খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

প্রায় অস্তিত্ব হারানো পাগলা নদীতে এখন দু’কূল ছাপানো ঢেউ

আপডেট সময় : ০১:৫৭:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জুলাই ২০২০

প্রায় অস্তিত্ব হারানো পাগলা নদীতে এখন দু’কূল ছাপানো ঢেউ। ফারাক্কার প্রভাবে পানি সংকটে ভরাট ও দখলের কারণে প্রবাহ ছিল না এ নদীতে। তবে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দখলমুক্ত করে খননের পর সেই মরা নদীতেই ফিরেছে ভরা যৌবন। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, এই পানি সংরক্ষণ করে খরা মওসুমে কৃষিকাজে ব্যবহারের উদ্যোগ নেয়া হবে। এতে বদলে যাবে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষি। ফিরে আসবে মাছের যোগানও।

পাগলার বুকে দু’কুল ছাপানো ঢেউ ও জেলেদের সারি সারি নৌকা ঠিক কত বছর আগে ছিল, তার হিসেব হয়তো ভুলতে বসছিলেন নদীপাড়ের মানুষ। উজানে ফারাক্কা বাঁধের কারণে স্বাভাবিক প্রবাহ না থাকায় প্রায় সারা বছরই পানিশুন্য হয়ে পড়ে নদী।বর্ষায় জমতো সামান্য। তবে খরায় মরা নদী পাড়ি দেয়া যেত পায়ে হেঁটেই। নদীতে চাষ হতো ফসল। এছাড়া, প্রভাবশালীদের দখলে প্রায় অস্তিত্ব হারাতে বসে পাগলা।

তবে ২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে শুরু হয় নদীর তলদেশ খননের কাজ। ফলে গেল বোরো মওসুমে এ নদীর পানিতেই ধান চাষ করেছেন কৃষকরা। বেড়েছে দেশী মাছের উৎপাদনও।

নদী মরে যাওয়ায় শহরে যাতায়াতে সবচেয়ে কষ্টে পড়েছিলেন চরাঞ্চলের মানুষ। তবে খননের পর এখন নাব্য ফেরায় জরুরি চিকিৎসাসেবার জন্য নৌ অ্যাম্বুলেন্সের সুবিধা পেতে যাচ্ছেন চরবাসীর । দেশী মাছের ঘাটতি মেটাতে নদীর আট কিলোমিটারজুড়ে করা হবে অভয়ারণ্য। জেলাজুড়েই এর সুফল মিলবে কৃষিতেও।

এদিকে, পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, বর্ষার পানি ধরতে রাখতে দ্বিতীয় পর্যায়ে ড্যাম নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হবে। এতে খরা মওসুমেও থাকবে পানির যোগান। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দখলমুক্ত করা হয় নদীটি। এরপর ‘ছোট নদী, খাল ও জলাশয় পুনঃখনন প্রকল্পের’ আওতায় নদীর ৪১ কিলোমিটার খনন করা হয়। এ প্রকল্পে খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা।