পাহাড়ি এলাকায় পৌছাচ্ছে না সরকারি বেসরকারি সহযোগীতা
- আপডেট সময় : ০৩:৫৭:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ এপ্রিল ২০২০
- / ১৫০৮ বার পড়া হয়েছে
করোনা আতঙ্কে পার্বত্য অঞ্চলের দুর্গম পাহাড়ি এলাকার বাসিন্দাদের জীবণযাত্রায় ছন্দপতন ঘটেছে। হাট বাজার বন্ধ, যোগাযোগের সুব্যবস্থা না থাকায় সেখানে পৌছাচ্ছে না সরকারি বেসরকারি সহযোগীতা। মানবেতন জীবন কাটাচ্ছে পাহাড়ি অধিবাসীরা। নৌবাহিনীর সদস্যরা মাঝে মাঝে কিছু ত্রাণ নিয়ে এলেও, তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। তবে করোনার সংক্রমন ঠেকাতে, লোকালয় থেকে থেকে পাহাড়ের বাসিন্দাদের বিচ্ছিন্ন রাখতে সচেষ্ট থাকার কথা জানান নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা।
রাঙামাটির ধনপাতা ইউনিয়নের ধোপাইপাড়া বাজার। কাপ্তাই লেকের স্বচ্ছ পানিতে অন্তত একঘন্টা ইঞ্জিনের নৌকা চালিয়ে পৌছতে হয় এই বাজারে। আশপাশের ছোট বড় চারটি পাহাড়ি গ্রামের শতাধিক পরিবারের রুটি রুজির একমাত্র মাধ্যম এই বাজারটি। করোনার কারনে গেল একমাস ধরে দোকানপাট বন্ধ থাকায় দিশেহারা এখানকার মানুষ।
ধোপাইপাড়া থেকে ১০ মিনিটের পানি পথ পেরোলে বনিকটিলা গ্রাম। এখানে ২৫টি বাঙালী জেলে পরিবারের বাস। লেক থেকে মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করাই তাদের পেশা। কিন্তু বাজার বন্ধ থাকায় রোজগারও নেই। হতাশ এই পাড়ার বাসিন্দারা।
দুর্গম এসব পাহাড়ি এলাকার বাসিন্দাদের জন্য মাঝে মধ্যে ত্রাণ সহায়তা নিয়ে আসে নৌবাহিনীর সদস্যরা। যদিও প্রয়োজনের তুলনায় তা অপ্রতুল। কর্মকর্তারা জানান, লোকালয় থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে শুধু খাবারের নিশ্চয়তা দিতে পারলে করোনার প্রাদুর্ভাব থেকে অনেকটায় দুরে রাখা সম্ভব তাদের।
দুর্গম এলাকা হওয়ায় জেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের পা পড়ে না পাহাড়ি এসব এলাকায়। লকডাউনের কারণে এনজিও কর্মীরাও আসে না। সবকিছুতেই এখন নিরাপত্তা বাহিনীই তাদের একমাত্র ভরসা।